সংগঠনের গঠনতন্ত্র বা সংবিধান
জয় হরিচাঁদ জয় শান্তিমাতা
জয় গুরুচাঁদ
হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল
১। ঘোষণাপত্র
সনাতন ধর্মের সূক্ষ্ম শাশ্বত বাণী যখন মনুবাদী ব্রাহ্মণ্যবাদে আচ্ছন্ন হয়ে বিলুপ্ত হতে থাকে, তখন জাতিগত অস্পৃশ্যতার নিষ্পেষণে সমাজের নিম্নশ্রেণিভুক্ত তথা দলিত মানুষেরা হয়ে ওঠে নিরুপায়। উচ্চশ্রেণির মানুষ বিভিন্ন কৌশলে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহ নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করে নিম্ন শ্রেণির মানুষকে দলিত, পতিত করে রাখে, তারা শুধুমাত্র দাস হয়। তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজ এই দলিত শ্রেণিকে পশুর চেয়েও অধম মনে করত। এই অস্পৃশ্যতার গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে দলিত শ্রেণি দলে দলে ধর্মান্তরিত হতে থাকে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে এই বর্তমান ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ও খৃষ্টান এই ধর্মান্তরিত দলিত মানুষ। এই অবস্থায় পতিত জাতির মুক্তির বাণী নিয়ে ক্ষীরোদসায়ী হরি স্বনামে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর নাম ধারণ করে বাংলা ১২১৮ সালের ২৯শে ফাল্গুন বুধবার মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।
“নীচ হয়ে করিব যে নীচের উদ্ধার।
অতি নিম্নে না নামিলে কিসে অবতার।।”
--- শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত (কবি রসরাজ তারক চন্দ্র সরকার)
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর আদি সূক্ষ্ম সনাতন ধর্মের বাণী প্রচার করলেন। আদি তত্ত্ব নতুন রূপে প্রদান করেন এবং তার অনুসারীদের নাম হয় মতুয়া এবং সেই আদি তত্ত্ব হরিতত্ত্ব বা মতুয়া তত্ত্ব নামে প্রসিদ্ধ হয়। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ আধ্যাত্মিক মুক্তির মহামন্ত্র ‘হরিবোল’ নাম প্রদান করেন। এবং হাতে তুলে দেন লাল নিশান আর জয়ডঙ্কা। লাল নিশান ও জয়ডঙ্কা নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মনুবাদী সংস্কৃতির সাথে মহাযুদ্ধে। অচিরেই তারা লাভ করে ধর্মের অধিকার, মানুষের অধিকার। আর সূক্ষ্ম রূপে প্রকাশিত জাগতিক মুক্তির মূলমন্ত্র ‘শিক্ষা’র প্রচার করেন শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর। বাংলা ১২৫২ সালের পহেলা চৈত্র শুক্রবার দোল পূর্ণিমার দিন এই মহাত্মা জন্ম গ্রহণ করেন।
“নমশূদ্র জাতি যদি বাঁচিবারে চাও।
যাক প্রাণ সেও ভালো বিদ্যা শিখে লও।।
বিদ্যা ধর্ম বিদ্যা কর্ম অন্য সব ছাড়।
বিদ্যা ছাড়া কথা নাই বিদ্যা কর সার।।
খাও বা না খাও তাতে দুঃখ নাই।
ছেলে মেয়ে শিক্ষা দাও এই আমি চাই।।
মোর পিতা হরিচাঁদ বলে গেছে মোরে।
বিদ্যা শিক্ষা স্বজাতিকে দিতে হবে ঘরে।।”
--- শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত (আচার্য মহানন্দ হালদার)
এই বাণীকে লক্ষ্য করে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রী হরিঠাকুরের তিরোধানের পর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধানরূপে গণিত হন। তিনি এই পতিত জাতিকে শিক্ষার আলো দিয়ে শিক্ষিত করে তোলেন। এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক আরম্ভ হয় ইংরেজি ১৮৮০ সালে শ্রীধাম ওঢ়াকাঁদিতে প্রথম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর তার এই কর্মে ড. সি এস মীডকে সহযোগী হিসেবে নেন। এই মীড সাহেবের সহযোগিতায় ১৯০৮ সালে শ্রীধাম ওঢ়াকাঁদিতে প্রথম “ওঢ়াকাঁদি মীড হাই স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১১ সালে গুরুচাদ ঠাকুর এই জাতির চণ্ডালত্ব মোচন করে জাতিকে “নমঃশূদ্র” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার শিক্ষাসহ নানাবিধ সংস্কারের কারণে এই দলিত সমাজ উন্নত হতে থাকে। যেমন শিক্ষিত হতে থাকে তেমনি রাজনৈতিক ভাবেও এরা উন্নত হতে থাকে। “যার দল নেই, তার বল নেই” গুরুচাঁদ ঠাকুরের এই বাণীকে আত্মিকরণ করে মতুয়ারা তথা দলিত সমাজ দলবদ্ধ হয় এবং সকল প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে।
এই মতুয়াদের সংগঠিত ভাবে চলার জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুর ২৪ আশ্বিন ১৩৩৯ সালের (৯ অক্টোবর ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দ) রবিবার “শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ মিশন” প্রতিষ্ঠা করেন। এবং এখনও এই মিশনের কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়। দিনে দিনে বিভিন্ন এলাকার মতুয়ারা দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সংঘ, মিশন বা সংস্থা গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। যা কিছু কিছু এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে প্রচার মাধ্যম পরিচালিত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের তরুণ সমাজ মতুয়াদের একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। কয়েকজন তরুণ অনলাইনে একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। আরও ভক্তদের জানাতে থাকেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে “শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। হরিবোল।
২। প্রস্তাবনা
আমরা, বাংলাদেশের মতুয়ারা ও প্রবাসী মতুয়াগণ বাংলা ১৪২১ সালের ২০ শে ফাল্গুন, ইংরেজি ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ১৭০তম জন্ম জয়ন্তীতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ ঐক্যমতের ভিত্তিতে “শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ” নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি।
আমরা সজ্ঞানে অঙ্গিকার করছি যে, শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের নীতি তথা মতুয়ার নীতি ‘সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা’ হবে এই সংগঠনের মূলনীতি।
আমরা আরও অঙ্গীকার করছি যে, মতুয়া সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নতিকল্পে সচেষ্ট থাকব। এই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন পরিচালনায় শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নীতি প্রতিষ্ঠায় সতত সচেষ্ট থাকব।
এতদ্দ্বারা আমাদের এই সভায়, অদ্য ১৪২১ বঙ্গাব্দের ২০ শে ফাল্গুন, ইংরেজি ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ‘শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ’ সংগঠনের এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করে সমবেতভাবে গৃহীত হল।
৩। সংগঠনের নাম:
বাংলা: শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
ইংরেজি: Shree Shree Hari-Guruchand Matuya Samaj
সংক্ষিপ্ত নাম: মতুয়া সমাজ
৪। প্রধান কার্যালয়
বাসাইল, আগৈলঝাড়া, বরিশাল বাংলাদেশ।
৫। সংগঠনের প্রকৃতি
গণতান্ত্রিক, অলাভজনক, অরাজনৈতিক, ব্রাহ্মন্যবাদ বিরেধী ও সমাজ কল্যাণ এবং সেবামূলক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত হবে।
৬। প্রতিষ্ঠাকাল
বাংলা ১৪২১ সালের ২০ শে ফাল্গুন, ইংরেজি ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার।
৭। পতাকা
মতুয়াদের প্রচলিত লাল নিশানের কেন্দ্রে সংগঠনের লোগো। লাল নিশান ও লোগোর ক্ষেত্রফলের অনুপাত হবে ৫:৩ (পাঁচঃতিন)।
৮। শ্লোগান
মতুয়া মত, সত্য পথ।
৯। লোগো বা চিহ্ন এর বর্ণনা
গোলাকার দ্বিমাত্রিক পৃথিবীর মধ্যে উপরে সংগঠনের নাম “শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ” পরিধির নিকট বাঁকা করে লেখা থাকবে। তার নীচে কেন্দ্রীয় লাইনের দুইপাশে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও জগত জননী শান্তিমাতা যুগল ছবি থাকবে। তার নীচে বামপাশে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতিকৃতি ও ডানপাশে মতুয়াদের ব্যবহৃত লাল নিশান থাকবে। এর নীচে কেন্দ্রীয় লাইনের বামপাশে “হরিবোল হরিবোল” এবং ডানপাশে সংগঠনের শ্লোগান “মতুয়া মত, সত্য পথ” পরিধির নিকট বাঁকা করে লেখা থাকবে। তবে এই লেখাগুলো সংগঠনের নামের তুলনায় ছোট অক্ষরে হবে। পুরো লোগোর ব্যাকগ্রাউন্ডে মতুয়া দলের প্রতিকৃতি জলছবি হিসেবে হাল্কা দৃশ্যমান হবে।
১০। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১০.১। হরিনাম প্রচার করা।
১০.২। মতুয়াতত্ত্ব বা হরিতত্ত্ব প্রচার করা।
১০.৩। মতুয়া সম্প্রদায়ের সর্বসাধারণের মধ্যে পারস্পারিক একটা, সৌহার্দ, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব সহমর্মিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের সার্বজনীন উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া।
১০.৪। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ প্রচার করা এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা ও করতে সহায়তা করা।
১০.৫। প্রকাশন কার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রাথমিক পর্যায়ে পত্রিকা, ক্যালেন্ডার, লিফলেট বা বই প্রকাশ করা যেতে পারে।
১০.৬। স্বল্প পরিসরে হলেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং এতে সহায়তা করা। মন্দির ভিত্তিক হতে পারে। যেখানে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ শিক্ষা বিশেষ করে আলোচনা হবে।
১০.৭। একটি মতুয়া দল গঠন করতে হবে। যারা বিভিন্ন জায়গায় নিমন্ত্রিত হয়ে যাবে এবং লীলামৃতযজ্ঞ বা এই ধরনের অনুষ্ঠান করবে শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত্র ও সুধা আলোকে। এবং প্রতি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনার সাথে সাথে গুরুচাঁদের শিক্ষানীতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা।
১০.৮। মতুয়াদের সকল ক্রিয়াকর্ম মতুয়া মতে করতেই হবে। শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত অথবা শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত্র সুধা আলোকে।
১০.৯। মন্দির ও সংগঠন ভিত্তিক লাইব্রেরী স্থাপন করা।
১০.১০। রেডিও বা টিভিতে মতুয়া তত্ত্ব বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করা।
১০.১১। মতুয়া বিধানাবলী পালনের কারণে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া মতুয়াদের পাশে নীতিগতভাবে অবস্থান নেওয়া এবং তা দূরীভূতকরণে সচেষ্ট হওয়া।
১১। সদস্যপদের যোগ্যতাসমূহ
১১.১। সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্র, কর্মসূচীতে আস্থা স্থানপকারী যে কোন মতুয়া সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ক্রমে সদস্য হতে পারবেন।
১১.২। সাধারণ সদস্য ও নির্বাহী সদস্যের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ (আঠার) বছর হতে হবে।
১১.৩। সভাপতি পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২৫ (পচিশ) বছর হতে হবে।
১১.৪। উপদেষ্টা পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বছর বয়স হতে হবে। তবে বিশেষ বিবেচনায় নির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যের সম্মতিতে সর্বনিম্ন বয়স ২৫ (পচিশ) বছর করা যেতে পারে।
১১.৫। বাংলাদেশের আইনে দোষী স্বীকৃত হতে পারবে না বা কেউ দোষী সাবস্ত হলে সাজাভোগ করার পরে সদস্য হতে পারবে।
১১.৬। বাংলাদেশের আদালত যদি কাউকে দোষী সাবস্ত নাও করে, কিন্তু নির্বাহী কমিটি যদি মনে করে যে তিনি দোষী তবে তিনি সদস্য হতে পারবেন না।
১২। সদস্য নিয়োগের নিয়মাবলী
১২.১। সদস্যপদের যোগ্যতাসমূহ পূর্ণ করা সাপেক্ষে যে কেউ সদস্য ফর্ম পূর্ণ করে সদস্য হতে পারবে। সদস্য ফর্মের মূল্য ২০ (বিশ) টাকা, ভবিষ্যৎ মূল্যে আনুপাতিক হারে অথবা তৎকালীন নির্বাহী সদস্যবৃন্দ ঐক্যমতের ভিত্তিতে যাঁহা নির্ধারণ হবে।
১২.২। সদস্য হতে হলে এককালীন বাংলাদেশী টাকায় ২০০ (দুইশত) টাকা ভবিষ্যৎ মূল্যে আনুপাতিক হারে অথবা তৎকালীন নির্বাহী সদস্যবৃন্দ ঐক্যমতের ভিত্তিতে যাঁহা নির্ধারণ করিবে তাই জমা দিতে হবে। এবং এককালীন টাকার সাথে অন্তত একমাসের মাসিক চাঁদা ১০০ (একশত) টাকা, ভবিষ্যৎ মূল্যে আনুপাতিক হারে প্রদান করতে হবে।
১২.৩। কোন সদস্য এককালীন বা মাসিক চাঁদার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত প্রদান করতে পারবে, তবে তা অনুদান হিসেবে গৃহীত হবে।
১২.৪। সদস্য নিয়োগের পর সংগঠনের শপথ বাক্যে পাঠ করতে হবে এবং লিখতি শপথ বাক্যে স্বাক্ষর করতে হবে।
১২.৫। সকল সদস্যগণ নিয়োগের সময় জাতীয় পরিচয় পত্র (জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে নাগরিক সনদ), পাসপোর্ট সাইজ ছবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত কাগজপত্র জমা করবেন।
১৩। সদস্যপদ বাতিলের নিয়মাবলী
১৩.১। কোন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে।
১৩.২। সংগঠন বিরোধী কোন কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত হলে।
১৩.৩। কোন সদস্যের একনাগাড়ে ১ (এক) বছর বা তার অধিক সময়ের চাঁদা বাকি পড়লে।
১৩.৪। বাংলাদেশের আইনে দোষী সাবস্ত হলে সাজাভোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সদস্যপদ স্থগিত হবে এবং অপরাধের প্রকৃতি বুঝে নির্বাহী কমিটি তার সদস্য পদ বাতিল করতে পারবে।
১৩.৫। সংগঠনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবং মস্তিষ্ক বিকৃত হলে।
১৩.৬। বাংলাদেশের আদালত যদি কাউকে দোষী সাবস্ত নাও করে, কিন্তু নির্বাহী কমিটি যদি মনে করে যে তিনি দোষী তবে তার সদস্যপদ নির্বাহী কমিটি বাতিল বা স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
১৩.৭। কোন সদস্য যদি সংগঠন ছেড়ে চলে যেতে চায় বা কারো সদস্য পদ বাতিল হলে তবে তিনি সংগঠনের নিকট কোন কিছুর দাবীদার হবে না।
১৪। নির্বাহী কমিটির মেয়াদ
দায়িত্ব গ্রহণ থেকে ৩ (তিন)বছর।
১৫। সদস্যদের অবশ্য পালনীয় নিয়মাবলী বা মূলনীতিসমূহ
১৫.১। নির্বাহী পরিষদ সংগঠন পরিচালনা করবে। তবে নির্বাহী পরিষদ এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক দুইটি কমিটির মেয়াদ কালের অধিক মনোনীত হতে পারবে না। তবে কর্মদক্ষতা বিশেষ বিবেচনায় আবারো মনোনীত হতে পারেন।
১৫.২। সংগঠনের ব্যাপারে সদস্যরা সর্বদা সত্য বলবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সর্বদা সত্য বলার চেষ্টা করবে।
১৫.৩। সংগঠনের কোন বিশেষ তথ্য (গোপন রাখা শ্রেয় অনুভূত হলে) সদস্যদের মাঝে গোপন থাকবে এবং সংগঠনের বাহিরের সদস্যদের কাছে তা বলা যাবে না। সংগঠনের কর্মপদ্ধতি সদস্যের মাঝে গোপন রাখবে।
১৫.৪। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে মোট সদস্যের ২/৩ (দুই-তৃতীয়াংশ) অংশের সম্মতি থাকতে হবে।
১৫.৫। প্রতি ৩ (তিন) বা ৬ (ছয়) মাস পর পর অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিমাসের শেষ বুধবার সদস্যরা অনলাইনে মিলিত হবেন।
১৫.৬। প্রতিমাসের টাকা মাসের ১০ (দশ) তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে কোন সদস্য চাইলে অগ্রীম ৩ (তিন) বা ৬ (ছয়) বা ১২ (বার) মাসের টাকা একত্রে দিতে পারবে।
১৫.৭। সংগঠনের আয় ব্যায়ের হিসাব প্রতি ৬ (ছয়) মাস পর পর সদস্যদের অবহিত করতে হবে।
১৫.৮। ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কোন সদস্য কোন সদস্যকে কোন কথা বলবে না।
১৫.৯। প্রথমবার নির্ধারণ করা হবে কোন পদে কে থাকবে এবং পরবর্তীতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় নির্ণীত হবে।
১৫.১০। এমন কোন আইন তৈরি করা যাবে না যা বাংলাদেশ সংবিধানের পরিপন্থী হয়।
১৬। সাংগঠনিক কাঠামো
১৬.১। পৃষ্ঠপোষক
১৬.২। উপদেষ্টা পরিষদ
১৬.২.১। প্রধান উপদেষ্টা
১৬.২.২। উপদেষ্টা
১৬.২.৩। উপদেষ্টা
১৬.২.৪। উপদেষ্টা
১৬.২.৫। উপদেষ্টা
১৬.৩। নির্বাহী পরিষদ (৩১) সদস্য ( প্রয়োজনে সাংগঠনিক কাঠামো বর্ধিত হইবে)
১৬.৩.১। সভাপতি
১৬.৩.২। সহ-সভাপতি (২)
১৬.৩.৩.১। সাধারণ সম্পাদক
১৬.৩.৩.২। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
১৬.৩.৪.১। সাংগঠনিক সম্পাদক
১৬.৩.৪.২। সাংগঠনিক সহ-সম্পাদক
১৬.৩.৫.১। অর্থ সম্পাদক
১৬.৩.৫.২। কোষাধ্যক্ষ
১৬.৩.৬.১। প্রচার সম্পাদক
১৬.৩.৬.২। প্রচার সহ-সম্পাদক
১৬.৩.৭.১। দপ্তর সম্পাদক
১৬.৩.৭.২। দপ্তর সহ-সম্পাদক
১৬.৩.৮.১। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক
১৬.৩.৮.২। শিক্ষা ও গবেষণা যুগ্ম-সম্পাদক
১৬.৩.৯.১। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক
১৬.৩.৯.২। স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১০.১। সমাজকল্যাণ সম্পাদক
১৬.৩.১০.২। সমাজকল্যাণ সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১১.১। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক
১৬.৩.১১.২। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১২.১। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
১৬.৩.১২.২। মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১৩.১। আইন ও প্রসাশন সম্পাদক
১৬.৩.১৩.২। আইন ও প্রসাশন সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১৪.১। তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক
১৬.৩.১৪.২। তথ্য প্রযুক্তি সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১৫.১। আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক
১৬.৩.১৫.২। আন্তজাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক
১৬.৩.১৬.১। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
১৬.৩.১৬.২। প্রচার ও প্রকাশনা সহ-সম্পাদক
১৬.৪। সাধারণ পরিষদ
১৬.৪.১। সকল সদস্য এই পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
১৭। সদস্যের প্রকৃতি
১৭.১। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য
১৭.২। আজীবন সদস্য
১৭.৩। সাধারণ সদস্য
১৭.৪. আঞ্চলিক প্রতিনিধি কমিটি
১৭.৪.১। পৃষ্ঠপোষক
১৭.৪.২। উপদেষ্টা
১৭.৪.৩। নির্বাহী পরিষদ
১৭.৪.৩.১। সভাপতি
১৭.৪.৩.২। সহ-সভাপতি (১)
১৭.৪.৩.৩। সাধারণ সম্পাদক
১৭.৪.৩.৪। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
১৭.৪.৩.৫। সাংগঠনিক সম্পাদক
১৭.৪.৩.৬। সাংগঠনিক সহ-সম্পাদক
১৭.৪.৩.৭। কোষাধ্যক্ষ
১৭.৪.৩.৮। প্রচার সম্পাদক
১৭.৪.৩.৯। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
১৭.৪.৩.১০। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
১৭.৪.৩.১১। আপ্যায়ন সম্পাদক
১৮। উপদেষ্টা
সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদানের জন্য কোন দেশ বা স্থানীয় জেলার সম্মানিত কোন মতুয়া শিরোমনি সৎ-গুরু গোঁসাই, শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ত্যাগী পাগল, দলপতি এই পদের জন্য মনোনীত হবেন। নির্বাহী কমিটি উপদেষ্টাদের মধ্য হইতে পদমর্যাদা ও বয়স বিবেচনা করিয়া একজনকে উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন করিবে। সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য নিম্নোক্তভাবে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হইবে । সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভা, জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপন অনুষ্ঠান, বার্ষিক ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানাদিতে আমন্ত্রিত হইবেন। এদের মাধ্যমে প্রতিটি কাউন্সিলের সম্মানিতরা অভিষিক্ত হবেন।
১৯। পৃষ্ঠপোষক
পৃষ্ঠকপোষকবৃন্দ সাংগঠনের প্রাক্তন সভাপতিগণ এবং প্রধান নির্বাহীগণ এই পরিষদের সদস্য হবেন। এরা সংগঠন এর ভাবমূর্তি উজ্জীবিত করতে সব সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি যতদিন সুস্থ মস্তিষ্কে জীবিত থাকবেন তিনি চাইলে ততদিন প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উক্ত সংগঠনে বিবেচিত হবেন। সংগঠন বেগবান করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এদের মাধ্যমে প্রতিটি কাউন্সিলের সম্মানিতরা অভিষিক্ত হবেন।
২০। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব ও কার্যাবলীর বিবরণ
দৈনন্দিন কার্য নির্বাহের জন্য সাধারণ পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে দুই বৎসর মেয়াদে (ক্যালেন্ডার বৎসর) একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হইবে। জেলার সদস্যদের নিয়ে জেলা কোটা ভিত্তিতে এই কমিটি গঠিত হইবে।
ক) বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন।
খ) গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা ।
গ) সংগঠন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের জন্য দায়িত্ব পালন।
ঘ) সংগঠনের প্রয়োজনে যে কোন প্রকার উন্নয়ন ও সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণ।
ঙ) নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও সদস্য পদ বাতিলের সিধান্ত গ্রহণ।
চ) পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, হিসাব নিরীক্ষণ এবং কর্মসূচি মূল্যায়ন ।
ছ) কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবায়ন কমিটি এবং বিভিন্ন সাব কমিটি গঠন ও অনুমোদন।
জ) বার্ষিক/ত্রৈমাসিক/মাসিক খরচাদি মঞ্জুরী দান ।
ঝ) সাংগঠনিক স্বার্থে বিভিন্ন তহবিল/মূলধন গঠন, ব্যয়ের খাত নির্ধারণ, প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা এবং সার্বিক দায় দায়িত্ব পালন । এবং
ঞ) গঠনতন্ত্রের ধারায় যাহার ব্যাখ্যা বা সুরাহা নেই তার ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২০.১। সভাপতির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
সভাপতি সংগঠনের সাংবিধানিক প্রধান বলে স্বীকৃত হবেন এবং সংগঠনের সকল ধরণের সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। তিনি সংগঠনের সামগ্রিক বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। তিনি বিশেষ অবস্থায় নির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করবেন এবং সভার সিদ্ধান্তসমূহ পাশ করবেন। সভাপতি সহ-সভাপতিগণের রিপোর্টিং প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যে কোন জরুরী অবস্থায় সহ-সভাপতিগণের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বা সময় স্বল্পতার কারণে এককভাবে সিদ্ধান্তগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সভা পরিচালনায় তিনি গঠনতন্ত্রের অনুসরণে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী সখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন। কোন বিষয়ে ভোটাভুটিতে সমান সংখ্যক ভোট পড়িলে তিনি কাস্টিং ভোট দিতে পারিবেন। নির্বাহী কমিটির সহিত আলোচনাক্রমে তিনি নির্বাচন ও বার্ষিক সাধারণ সভা সংক্রানত বিবৃতি কিংবা বিজ্ঞপ্তি জারী করিতে পারিবেন।
২০.২। সহ-সভাপতির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম হিসেবে সভাপতির সাথে আলোচনা করে সংগঠনের উদ্দেশ্য সমূহ বাস্তবায়ন করবেন। নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সভা, ও কার্যকরী সভা আহ্বান করবেন এবং সভাসমূহের কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন। কোন সভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবেন এবং বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব বণ্টন করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। দীর্ঘ মেয়াদে সভাপতির অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সহ সভাপতিদের মধ্য হইতে একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। নিজ দপ্তরের সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদককে তাদের কাজের দিকনির্দেশনা দিবেন এবং তাদের রিপোর্টিং বস হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সংগঠনের তহবিলের থেকে কিছু টাকা নগদে নিজের নিকট রাখতে পারবেন এবং এর অধিক ব্যায়ের প্রয়োজন হলে সভাপতির সাথে আলোচনা করে নিতে হবে এবং পরবর্তী সভায় তার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তিনি সভাপতির অনুমতিক্রমে সংগঠনের নামে চিঠিপত্র লিখতে ও খরচাদি করতে পারবেন। তিনি সকল কাজের জন্য সভাপতির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
২০.৩.১। সাধারণ সম্পাদক
সাধারণ সম্পাদক নিম্নোক্ত দায়িত্বসমূহ পালন করিবেনঃ
(ক) সংগঠনের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব তাঁহার উপর অর্পিত থাকিবে ;
(খ) সভাপতির নির্দেশক্রমে তিনি নির্বাহী কমিটির সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান করিবেন এবং ঐ সমস্ত সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করিয়া সংরক্ষণ করিবেন ;
(গ) সংগঠনের সমুদয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও দলিলপত্র তাঁহার কাছে রক্ষনাবেক্ষন করিবেন;
(ঘ) কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে তিনি পরিষদের তহবিল ও খরচ সংক্রান্ত বিষয়াদির উপর নজর রাখিবেন এবং এতদবিষয়ে প্রয়োজনে নির্বাহী কমিটিকে অবহিত করিবেন।
(ঙ) সাধারণ পরিষদের অবগতির জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি পরিষদের বিগত বৎসরের কার্যাবলী ও হিসাব সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করিবেন।
(চ) সংগঠনের তহবিল হইতে প্রদেয় অর্থের সকল ভাউচার তাঁহার অনুমোদনের পরই পরিশোধ করা হইবে।
(ছ) সংগঠনের পক্ষ হইতে সকল প্রকার লিখিত যোগাযোগ তাহার স্বাক্ষরে সম্পন্ন হইবে।
(জ) জরুরী পরিস্থিতিতে কমিটির পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি এককালীন বর্তমান মূল্যে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ভবিষ্যৎ মূল্যে আনুপাতিক হারে খরচ করিতে পারিবেন। তবে উহা পরবর্তী কমিটির সভায় পেশপূর্বক ঘটনাত্তোর অনুমোদন লইতে হইবে।
২০.৩.২। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.৪.১ অর্থ সম্পাদক
অর্থ সম্পাদক সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থা করবেন। তিনি যথাসময়ে সভাপতি/সাংগঠনিক সহ-সভাপতি এছাড়া সাধারণ সম্পাদক এর অনুমোদনক্রমে ব্যাংকের সাথে সংগঠনের অর্থ আদান প্রদান করবেন। অর্থ সম্পাদক সংগঠনের আয় ব্যয়ের হিসেব সঠিকভাবে রাখার জন্য ক্যাশিয়ারসহ নিজে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বার্ষিক সাধারন সভায় সংগঠনের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ এবং বছরের বাজেট প্রস্তুত করবেন। ক্যাশিয়ারকে তার কাজ করতে সকল প্রকার নির্দেশনা দিবেন।
২০.৪.২ কোষাধ্যক্ষ
অর্থ সম্পাদকের নির্দেশনামোতাবেক কাজ করবেন। সদস্যদের নিকট থেকে চাঁদা বা অনুদান গ্রহণ করবেন এবং সঠিক কাগজপত্র সহ সংরক্ষণ করবেন। সদস্য ছাড়াও অন্য কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের নিকট হতে অনুদান গ্রহণ করবেন। আয় ব্যায়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন। সংগঠনের তহবিলে জমাপ্রদানের জন্য গৃহীত অর্থ অর্থ প্রাপ্তির পরবর্তী ০৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাংকে রক্ষিত সংগঠনের হিসাবে জমা করবেন এবং সকল নথিপত্র সংরক্ষণ করবেন। ব্যাংকের চেক বইতে সাংগঠনিক সহ-সভাপতি ও অর্থ সম্পাদকের সাথে তিনি যৌথভাবে স্বাক্ষর করবেন। হিসাব বিবরণী প্রস্তুতপূর্বক অর্থ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে ষাণ্মাসিক বা বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবেন। এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করার পূর্বে পরবর্তী বছরের বাজেট অর্থসম্পাদকের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদের বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। সদস্যদের চাঁদা ও অনুদান গ্রহণ করার জন্য ব্যাংক একাউন্টের পাশাপাশি পোস্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজনে নগদ, বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করবেন। তবে ব্যাংক একাউন্ট ব্যাতিত অন্য যেভাবেই চাঁদা বা অনুদান সংগ্রহ করা হোক না কেন, প্রতি ১৫ (পনের) দিন অন্তর তা ক্যাশ করে ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। যে কোন ব্যয় অবশ্যই রসিদের মাধ্যমে করতে হবে।
২০.৫.১। সাংগঠনিক সম্পাদক
একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সদস্যদের সহযোগিতায় সদস্য সংগ্রহ করিবেন। সদস্যপদ যথাসময়ে নবায়ন করা এবং অধিক হারে নতুন সদস্য সংখ্যা (আজীবন ও সাধারণ) বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি উদ্যোগী ভূমিকা পালন করিবেন। সকল সদস্যের নাম-ঠিকানার বহি, প্রতি দুই বৎসর অন্তর হালনাগাদ করিয়া তিনি উহা প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন। প্রতি জেলার জন্য নির্ধারিত সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ জেলার সদস্য সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.৫.২। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.৬.১ প্রচার সম্পাদক
সংগঠনের সকল উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট তুলিয়া ধরিবার দায়িত্ব থাকিবে প্রচার সম্পাদকগণের উপর। সমিতির কর্মকাণ্ড প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারণার দায়িত্বও তিনি পালন করিবেন। এরজন্য সভাপতি সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক নির্দেশনা ও অনুমেদন নিবেন।
২০.৬.২ সহ-প্রচার সম্পাদক
সহ-প্রচার সম্পাদক সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সহ-প্রচার সম্পাদক, প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.৭.১। দপ্তর সম্পাদক
সংগঠনের উপযুক্ত সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন এবং সহসভাপতির নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন। সংগঠনের নথিপত্র, কার্যালয়ের মালামালের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন। সংগঠনের মালামালের জন্য একটি রেজিষ্টার খুলে উহাতে মালামালের হিসেব সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। তিনি সহসভাপতির অনুমোদনক্রমে সংগঠনের পক্ষে ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। তিনি সাংগঠনিক সহসভাপতির নিকট রিপোর্ট করবে।
২০.৭.২। সহ-দপ্তর সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। দপ্তর সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সহ-দপ্তর সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.৮.১। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক
আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে প্রত্যেক এলাকার মেধাবী ও গরীব মতুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করবেন, কুইজ আয়োজন করবেন। মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠচক্রের আয়োজন করবেন। মতুয়া সামাজ স্কুল/কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। মতুয়ানীতি অনুসারে প্রচলিত সামাজিক অনুষ্ঠানের বিষয়ে গবেষণা করবেন এবং সংগঠনের সভায় তা পেশ করবেন। সামাজিক কারণে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া মতুয়াদের নীতিগত পরামর্শ দিবেন। তিনি শিক্ষা ও প্রচার সহ-সভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
২০.৮.২। শিক্ষা ও গবেষণা যুগ্ম-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সহ- শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.৯.১। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক
তিনি, স্বাস্থ্য বিষয়ক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সময়ে সময়ে এলাকায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা, এলাকার গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, অসহায় রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এলাকায় হরি-গুরুচাঁদ হাসপাতাল/ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ভূমিকা পালন করিবেন।
২০.৯.২। স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.১০.১। সমাজকল্যাণ সম্পাদক
তিনি, বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং মতুয়াদের শ্রীপাঠ ভ্রমণের আয়োজন করিবেন। বৃক্ষরোপণ, কৃষি উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য করৰার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
২০.১০.১। সমাজকল্যাণ সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। সমাজকল্যাণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সমাজকল্যাণ সহ-সম্পাদক, সমাজকল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.১১.১। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক
বিভিন্ন মত পথের অনুসারীদের সাথে আলোচনার আয়োজন করা, সমাজে বর্তমান কুসংস্কার দূরীকরণে চেষ্টা করা। “সূক্ষ্ম সনাতন ধর্ম“ বিষয়ক মানবতাবাদ ছোট ছোট সভার আয়োজন করা। মতুয়া জাগরণমূলক গ্রন্থ রচনা করবেন। তিনি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে কল্যাণমূলক কার্যক্রম প্রণয়ন ও উহা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন এবং জন্য নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে বছরে কমপক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের নিকট রিপোর্ট করবেন।
২০.১১.২। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.১১.২। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
মতুয়া মতাদর্শ নারী জাতিকে সবচেয়ে সম্মান দিয়েছেন। তাই এই সংগঠন এর নারীদের চেতনায় দীপ্ত কিরণে আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহন করবে। তাই নারীদের নিয়ে “মহিলা কাছারি” নামক অনুষ্ঠান করবেন। মহিলা সম্পাদকগণ মহিলা বিষয়ক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয় করিবেন এবং মহিলা সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৎপর থাকিবেন। এই দপ্তর নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক সভাপতির সাথে সরাসরি তত্তাবাধনে পরিচালিত হবেন।
২০.১১.২। মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.১২.১। আইন ও প্রসাশন সম্পাদক
প্রতিষ্ঠানের আইনগত বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা, সদস্যগণের ক্ষেত্রে কোন আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হইলে উহাতে সহায়তা প্রদান করিবেন। মতুয়া মাতাদরশ কোন আবমানাকারীর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ প্রদান করিবেন।
২০.১২.২। আইন ও প্রসাশন সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। আইন ও প্রসাশন বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত আইন ও প্রসাশন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, আইন ও প্রসাশন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.১৩.১। তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক
এই দপ্তর এই সংগঠন এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মতুয়া মতাদর্শ নিয়ে বিভিন্ন লেখা ও ছবি, ছোট ছোট, প্লেকার্ড, ব্যনার, ফেস্টুন ডিজাইন করে ডিজিটাল প্রচারনায়, প্রচার সম্পাদকে প্রদান করবেন। বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সদস্যগণের পরিবার পরিজনের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং চাকরি বা কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পেশাগত প্রশিক্ষণের আয়োজন করিবেন। এছাড়া তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন।
২০.১৩.১। তথ্য প্রযুক্তি সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
২০.১৪.১। আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্ত শাসিত সামাজিক সংগঠনের সাথে আন্তঃসম্পর্ক এবং সংগঠনের স্বার্থে পারস্পরিক যোগাযোগ সৃষ্টি করিবেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের মতুয়াদের সাথে নিবির পারস্পরিক যোগাযোগ করবেন। তিনি সহ-সভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
২০.১৪.২। আন্তজাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত আন্তজাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক, আন্তজাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। তিনি সহ-সভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
২০.১৫.১ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে প্রচারের দায়িত্ব পালন করবেন। সাহিত্য সাময়িকী, সদস্য তালিকা বই প্রকাশ, স্মরণিকা ও বার্ষিকী প্রকাশনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। সংগঠনের কার্যাবলীর বিবরণ বহুল প্রচারে সচেষ্ট থাকবেন এবং সভাপতির নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন। আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের প্রচারে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক নিকট রিপোর্ট করবেন।
২০.১৫.১ প্রচার ও প্রকাশনা সহ-সম্পাদক
তিনি, সংগঠনের সকল ধরনের কাজে নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদককে সহায়তা করিবেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত প্রচার ও প্রকাশনা সহ-সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকের নিকট রিপোর্ট করবেন।
আঞ্চলিক প্রতিনিধির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
আঞ্চলিক প্রতিনিধি কমিটি, এই সংগঠনের আলাদা কোন সত্ত্বা নয়। এই সংগঠনের অঙ্গ হিসাবে প্রতিপন্ন হবে। প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর হবে। এলাকা ভিত্তিক প্রচার, লাইব্রেরী, পাঠচক্র গঠন করবে। মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কুইজ বা এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। স্থানীয় গরীব মতুয়াদের সামাজিক সাহায্য সহযোগিতা করবে। সামাজিক ভাবে মতুয়া রীতিনীতি পালনের জন্য কেউ হেনস্থা হলে বা হেয় প্রতিপন্ন হলে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আঞ্চলিক প্রতিনিধিগণ সাংগঠনিক সম্পাদকের নিকট রিপোর্ট করবেন। আঞ্চলিক প্রতিনিধিগণ তাদের স্বস্ব এলাকায় সাধারণ সদস্য যোগ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এর কাছেও রিপোর্ট প্রদান করবে। সদস্য নিয়োগের সমস্ত বিধিবিধান পালন পূর্বক তারা এই নিয়োগ করবেন এবং নিয়োগের পর প্রাপ্ত অর্থ কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে অর্থ সম্পাদকের নিকট জমা করবেন। তবে প্রতিনিধি কোষাধ্যক্ষ এলাকার বিভিন্ন খরচ বাবদ ২/৩ অংশ নিজেদের কমিটির হিসাবে জমা করবেন। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কমিটির ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে।
২১। সাধারণ সদস্যদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী
সাধারণ সদস্যগণ তাদের স্বস্ব আঞ্চলিক প্রতিনিধিকে সহযোগিতা করবেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাকে সহযোগিতা করবেন। এই সদস্যগণ ছড়িয়ে দিবেন হরি-গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ ও নীতি।
২১.১। সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ
২১.২। সদস্য নিয়োগের এককালীন চাঁদা ও মাসিক চাঁদা
২১.৩। সদস্যদের অনুদান ও অন্যান্যদের অনুদান
২১.৪। সংগঠন ট্রাষ্ট ফাণ্ড গঠন করতে পারবে।
২১.৫। বিজ্ঞাপনের দাতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের টাকা সংগ্রহ করতে পারবে।
২১.৬। প্রকাশনা থেকে অর্জিত টাকা।
২১.৭। অন্যান্য লিগ্যাল উৎস থেকে অর্জিত আয়।
২১.৮। সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিকল্পে যে কোন প্রকল্প/ কর্মসূচী/ অনুষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের পূর্বানুমতি গ্রহণ করবে হবে এবং গৃহীত প্রকল্প/ কর্মসূচী অনুষ্ঠান শেষে আয় ব্যয়ের পুরো হিসাব কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট দাখিল করতে হবে।
২২। সংগঠনের সভা
বার্ষিক সাধারণ সভা
প্রতি বছর মার্চ মাসের মধ্যে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সাংগঠনিক সহসভাপতি বার্ষিক বিবরণী পেশ করবেন ও বছরের পূর্নাঙ্গ কার্যবিবরণী ও আয় ব্যয়ের নিরীক্ষিত হিসেব পেশ করবেন। অর্থ সম্পাদক বার্ষিক হিসেব পেশ করবেন। সাধারণ সভায় উপস্থাপিত সকল প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্মতিতে গৃহীত হবে। বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বানের পূর্বে কমপক্ষে পনের দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করতে হবে। সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের মোট সদস্যের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) ভাগ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে এবং সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতির কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণ সভায় সদস্যদেরকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় পূর্ববর্তী সারাবছরের কার পর্যালোচনা করতে হবে এবং পরবর্তী বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। সাধারণ সভায় কেবলমাত্র নিয়মিত সদস্যগণই ভোট দিতে পারবেন। বিশেষ প্রয়োজনে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে।
বিশেষ সাধারণ সভা
সভাপতি অথবা সহসভাপতির অনুমোদনক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক বছরে যে কোন সময় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন। সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন বা যে কোন জটিল সমস্যা সমাধানে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত ১৫ (পনের) দিনের নোটিশ প্রদানে সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী প্রয়োজনে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় নির্বাহী সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলে সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে উপস্থিত সদস্যদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) অনুমোদন করলে তবে পাশ হবে।
অনুরোধক্রমে সভা বা জরুরী সভা
সংগঠনের অন্তত মোট সদস্যের (নির্বাহী ও সাধারণ) এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত অনুরোধে সভাপতি ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে যথানিয়মে সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান করতে বাধ্য থাকবেন। যদি সভাপতি উক্ত সময়ের মধ্যে সভা আহ্বান করতে অসমর্থ হন তা হলে বর্ণিত স্বাক্ষরকারীরাই ৭ দিনের নোটিশে নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভা আহ্বান করতে পারবেন। উক্ত সভায় মোট সদস্যের তিন ভাগের দুইভাগ সদস্য উপস্থিত থাকলেই উক্ত সভার সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা সাধারণত ৭ (সাত) দিনের নোটিশে ৩ (তিন) মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সভাপতি অথবা সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাংগঠনিক সহসভাপতি ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন। নির্বাহী পরিষদের মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে এবং সভা অনুষ্ঠান করা যাবে। এছাড়াও নির্বাহী কমিটি প্রতিমাসে অন্তত একবার অনলাইনে সভা করবে।
২৩। নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানঃ
প্রতি ৩ (তিন) বছর অন্তর সংগঠনের বার্ষিক সভায় প্রত্যেক পদের জন্য প্রত্যক্ষ/ গোপন ভোটে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বছরের ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে, তবে কোন বিশেষ কারণে সম্ভব না হলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্বাচনের ২ (দুই) মাস পূর্বে নির্বাচনের তারিখ কার্যকরী সংসদের সভায় স্থির করতে হবে এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এমন সদস্যদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যানসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩ (ত্রিশ) দিন আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সদস্য হিসেবে যারা নিয়মিত কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাসের চাঁদা, ভর্তি ফিস ইত্যাদি পরিশোধ করবেন শুধু সে সকল সদস্যই ঘোষিত নির্বাচনে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে প্রার্থী হওয়ার এবং ভোট প্রদানের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন অর্থাৎ কোন বকেয়া অথবা সাধারন সদস্য হিসাবে মেয়াদ ৬ মাসের কম হলে প্রাথী হওয়ার কিংবা ভোট প্রদানের যোগ্য বিবেচিত হবেন না। নির্বাচনে একই ব্যক্তি একাধিক পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রত্যেক ভোটার সংসদের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সংখ্যানুযায়ী একটি করে ভোট দিতে পারবেন। কোন পদে প্রার্থী না থাকলে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নির্বাচন ঘোষণার দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন বাধ্যতামূলক।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা
নির্বাচন কমিশন সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক কার্যনির্বাহী পরিষদের ও সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনবোধে গঠনতন্ত্রের কোন ধারা কিংবা উপধারার পরিপন্থী নয় এমন নির্বাচন সংক্রান্ত উপ-বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন। নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষচূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
দায়িত্বভার হস্তান্তর
ক) নির্বাচন অনুষ্ঠানের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই পরিষদের নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
খ)কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য পদত্যাগ করলে বা কোন কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্তৃক তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ কিংবা পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত উক্ত সদস্য দায়িত্বভার পালন করতে হবে।
২৪। আঞ্চলিক শাখা অফিস
যে কোন অঞ্চলে সংগঠনের আঞ্চলিক শাখা গঠন করা যাবে। তবে এর জন্য অবশ্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন থাকতে হবে। আঞ্চলিক শাখা অফিস পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
২৫। সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন
সংগঠনের সকল কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্র গঠনতন্ত্রই একমাত্র আইন সংগত নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে বিশেষ প্রয়োজনে অথবা সংগঠনের পরিচালনার সুবিধার্থে অত্র গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন কিংবা পরিবর্ধনের জন্য সমিতির যে কোন সাধারন সদস্য সাংগঠনিক সম্পাদকের নিকট লিখিত প্রস্তাব করতে পারবেন, যা পরবর্তী সাধারণ সভায় উপস্থিত ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) এর সমর্থনে গৃহীত হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক সংশোধিত প্রস্তাবের উপর কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিমতসহ সাধারণ সভায় তা উপস্থাপন করতে পারবেন।
২৬। সংগঠনের বিলুপ্তিকরণ
যদি কোন সুনির্দিষ্ট কারণে সংগঠনের বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে তাহলে,
২৬.১। সাধারণ সভার ৪/৫(চার-পঞ্চমাংশ) ভাগ সদস্যের অনুমোদনক্রমে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট নিবন্ধন বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। নিবন্ধন বাতিল হলে সংগঠন বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৬.২। নিবন্ধন বাতিলের পূর্বে সংগঠনের বর্তমান স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদের বণ্টন করতে হবে।
২৬.৩। সংগঠন বাতিল হলেও এর সদস্যগণ কোনভাবেই সংগঠনের সম্পদের অধিকারি হবে না। এক্ষেত্রে সংগঠন বাতিল হলে সংগঠনের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যের সম্মতিতে বড় কোন মতুয়া সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করবে অথবা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দান করবে।