মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

গান নং ১৩-২৪

১৩ নং গানঃ তাল-যৎ
ত্যজে জাতি পুরুষ প্রকৃতি,
স্রোতবতী প্রেম বন্যায় দিচ্ছে ঝাঁপ।
কেহ বা প্রাণনাথ! হা দীননাথ! বলে অম্নি কচ্ছে প্রলাপ
 
পাপী তাপী তৃণ মত, ভেসে যাচ্ছে অতি দ্রুত, সলিলে,
স্রোতের ভীষণ বলে, পাষাণ চলে অনুকুলে,
যত দীন দুরাচার, শেওলা আকার,
তরঙ্গে ধুচ্ছে অঙ্গের পাপ।
 
ঘাতকী পাতকী যারা, পূর্ণ পাপে অঙ্গ জ্বারা,
তারা সবে প্রেমের হিল্লোলে, কল্লোলে করে মহোৎসব,
পড়ে হরি অঙ্গে প্রেম তরঙ্গে, আতঙ্কে পলায় মহাপাপ।।
 
জগত জুড়ে চলিছে বারি, পাপী তাপী অনিবার-ই
পড়ে তায় জুড়ায় তন্ত্র শরীর কিশোরীর প্রেম ল’য়ে যায়,
হ’য়ে বামন যবন একই জীবন কচ্ছে কৃষ্ণ প্রেমের আলাপ।।
 
১৪ নং গানঃ তাল-ঠুংরি
চল তর্‌ তর্‌ প্রেম তরঙ্গিণী, হরির আদেশে।
বারি ঝলকে ঝলকে চলে, পলকে যায় বিদেশে।।
 
না ধরে জল প্রেম সাগরে, তীর অতিক্রম করে, যায় সব প্রদেশে।
স্রোত বয় অবিরাম নাহি বিরাম, কিবা দিবা প্রদোষে।।
 
যিনি ভাগীরথী ধারা, ধারায় ভেসে যাচ্ছে ধরা, প্রেমের আভাসে।
সম রাজা প্রজা, সিংহ অজা, হরিচাঁদের হরিষে।।
 
মহানন্দ বলছে কাঁদি, উঠছে তুফান ওড়াকান্দি, আয় তোরা নিসে।
এবার চলিছে তুফান জগত ভেদী, নিঃশ্বাস হুতাস বাতাসে।।
 
হীরামন পাগল কি ভেবে, ডুবুরী হইয়া ডুবে, প্রেম সাগর রসে,
তুলে মুক্তা মণি সে অমনি মাল নিয়ে বেড়ায় ভেসে।।
 
গোলকচাঁদ বদনচাঁদ তাঁরা, ডুবিল মুদি নয়ন তারা, অতি ত্বরাসে,
কচ্ছে লোহা সোনা এই দু’জনা পরশ মণির পরশে।।
 
তারকচাঁদের পূর্ণ তরী, চুনি মণি স্বর্ণ ভরি, রয়েছে বসে,
তবু নদীর মাঝে মণির আশে, একবার যায় একবার আসে।
(মিল তাল ঢিমে তেওট)
বলে মহানন্দ হরে রে কপাল মন্দ,
করলি না যতন রতন কি মিলে সামান্যে।
----------------- হরিবর সরকার
 
১৫ নং গানঃ তাল-একতালা
যদি তরবি ভবপার, হরিবল মনরে দুরাচার।
যাবে শমন শঙ্কা, মারবি ডঙ্কা, হেলায় হবি ভবপার।
 
ভাই বন্ধু পরিজন আছে, আছে যত ধন জন,
সকল ফেলে যেতে হবে, দিয়া বিসর্জন,
কর অন্তিমকালের ধন উপার্জন, নির্জনে তার সাধন কর।
 
কারে বলতেছিস আপন, এ তোর মায়াময় স্বপন,
পদে মন সমর্পণ কর, ছেড়ে দে বৃথা আলাপন,
করে নৃত্য সংকীর্তন, নিরূপণ সুখেতে কাল যাপন কর।
 
ছেড়ে মনের অহংকার, হরি বলে কর হুঙ্কার,
ছোয় না সে নাম নিলে অন্তিমকালে, কালের কিঙ্কর,
এবার সকাতরে ডাক মন তারে, শঙ্করী কিঙ্করী যার।
 
দেখে পাপের তরঙ্গ, হরি হয়ে গৌরাঙ্গ,
করেতে করঙ্গ করেছেন কত রঙ্গ,
এবার দেখে জীবের রঙ্গ ভঙ্গ, ওড়াকান্দি অবতার।
 
মহানন্দ ডেকে কয়, ওরে হরে দুরাশয়,
গিয়া ওড়াকান্দি ধর গে কাঁদি গুরুচাঁদের পায়,
হবে ভব সাগর গোষ্পাদাকার ডিঙ্গাইয়া হবি পার।
----------- হরিবর সরকার
 
১৬ নং গানঃ তাল-একতালা
সুলভের বাণিজ্য করব আশা ছিল।
হরিচাঁদ গুরুচাঁদ তরী ডুবে গেল।।
 
দাঁড়ি মাঝি রইছে বসে, এ তরী চলিবে কিসে,
গোলায় পড়ে মারা গেল, পেলাম না দিশে,
দিয়াছিলে যে কাণ্ডারী, সাধ করে ডুবালে তরী।
কি করিতে কিনা করি (আমার) ভবের খেলা ফুরিয়ে গেল।
 
যে মোকামে ব্যাপার হবে, সে মোকামের খবর পেয়ে,
রাজি নয় মোর পাঁজি নেয়ে, তথায় গেল না,
ঠগ বাজারে উঠছে তারা, ব্যাপার থাক যাই প্রাণে মারা,
মাল নিয়ে করিছে সারা, (এখন) রোদ লেগে বাইন চটে গেল।।
 
দাঁড়ি মাঝি যুক্তি করে, মাল দিয়েছে বাটপাড়েরে,
খবর না গেল হুজুরে (তার), মাল হল পয়মাল,
বিপাকে এখন করি কি, হরিচাঁদ বলিয়া ডাকি,
(আমার) এই ভাবে দিন যাবে নাকি, সমূলে লোকসান হইল।
 
এক বাজারে লাগাই তরী, ঠগের হাতে প্রাণে মরি,
মন ভুলায়ে করে চুরি, সেধে দিলাম ধন,
একদিন ত’ নয় নিত্য নিত্য এই ভাবে হল দৌরাত্ম,
ধন বলে না হ’ল আর্তি, বেহুসারে ধন ফুরাল।
 
হরিচাঁদের প্রেম বাজারে, শ্রীগুরুর গলির ভিতরে,
পাগলচাঁদ যায় চৌকি ফিরে, তাতে হয় চুরি,
তারকচাঁদ কয় যায় না সওয়া, নিত্য নিত্য যায় মাল খোয়া,
উচিৎ এদের তাড়িয়ে দেওয়া, (নয়) হরের ধন সব হরে নিল।
--------------- হরিবর সরকার
 
১৭ নং গানঃ তাল-একতালা
উপায় নাই হে গৌরহরি তোমা বিনে।
ছয় জনে প্রাণপণে এক দিকে টানে, (তারা জোট করে)।
 
ছয়জনে আছে একযোগে, এক এক কার্যে ছয়জন লাগে,
লুট করে অকাজে ভাঙ্গে, লুটে নিল ধন,
শাসন আইন থাকতে রাজার, জনম ভরে এই রূপ ব্যাভার,
কাল হয়েছে সেরেস্তাদার, ঘুষ খেয়েছে সাঙ্গাপানে।।
 
অবিচারী গ্রাম্য শালিস, কার কাছে বা করি নালিশ,
(আমার) তুমি শালিস, তুমি পুলিশ, তুমি আদালত,
অন্তরেতে সব খবর জান, তবে আর বিল্মব কেন,
অফিসে আসামী আন, দণ্ড কর শ্রীচরণে।।
 
জন্মের মত বন্দি করে, রেখ চরণ কারাগারে,
শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখ চরণে,
কামজারী দাও দ্বিগুণ করে, নয়ত পাঠাও দ্বীপান্তরে,
পার করে দাও জন্মের তরে, উচিৎ নয় মুখ দরশনে।।
 
যদি দয়া হয়েছে মনে, পাঠাও সাধু গুরুস্থানে,
স্বভাব গেলে অভাব যাবে, বাঁচিবে প্রাণে,
ছেড়ে দেও হে এই এক দফা, পায় ধরে করে যাক রফা,
সাক্ষী রাখ সুজন ক্ষেপা, নাকে খত দিয়ে কায়মনে।।
 
গুরুচাঁদ কয় ও দুরাচার, এমন করিস না খবরদার,
পতিত পাবন পিতা আমার, তাইতে করেন মাপ,
তারকচাঁদ কয় পাবি খালাস, (আগে) হ’গে গুরুর দাসানুদাস,
পাগলচাঁদের এই অভিলাষ, হ’রে যাতে বাচে প্রাণে।।
---------------- হরিবর সরকার
 
১৮ নং গানঃ তাল-একতালা
বিপাকে পড়ে গৌর গেলাম মারা।
হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ভেবে হলেম সারা।।
 
কাম নদীর তরঙ্গ ভারী, কখন যেন ডুবে মরি,
তরঙ্গে নাচিছে তরী, কখনে কি হয়।
বিষম জলের বাড়ী লেগে, জল উঠিছে মহাবেগে,
শ্রীচরণে দোঁহাই লাগে, ডুবাইও না পাপের ভরা।।
 
বড় আশা ছিল মনে, পদে আত্ম সমর্পণে,
থাকিব নিশ্চিন্ত মনে, যাবে ভাবনা।
তা হ’ল না কর্মদোষে, প্রাণে মারা যাই বিদেশে,
এ তরী বাঁচিবে কিসে, বানচেরা বাতাস মুহাড়া।।
 
এসে এ নদীর মাঝখানে, ডুবে ম’লেম জানে প্রাণে,
বিষম নদীর ঘোর তুফানে, হওহে কর্ণধার,
এ বিপদে শুধায় ডেকে, এমন বান্ধব আমার আর কে,
এই বিষম গোলার জলের পাকে, গৌরহরি ত্বরাও ত্বরা।।
 
একে আমার জীর্ণ তরী, তাতে হল বোঝাই ভারী,
নাই দাঁড়ি নাই কাণ্ডারী, অকুল পাথারে,
কোন দিকে যাচ্ছে তরী ভেসে, মোটে তাহার পাইনে দিশে,
বেহুঁশ হয়ে আছি বসে, ডুবল তরী পাপে পোরা।।
 
গুরুচাঁদ কয় সবার কাছে, কেঁদে কেন মরিস মিছে,
হরিচাঁদ কাণ্ডারী আছে, ধরিবে ডোবা যান,
মহানন্দ ডেকে বলে, গোলকচাঁদের প্রেম হিল্লোলে,
হরে দেরে বাদাম তুলে, ডুববে না তোর সাধের ভরা।
--------------------- হরিবর সরকার
 
১৯ নং গানঃ তাল-একতালা
গৌর রিপুর বশে কর্মদোষে ডুবিল মানব তরী
দয়া হল না চরণ দিলে না হে গৌরহরি, চেয়ে দেখ আমি প্রাণে মরি।
 
সহজ পাল থাকিলে যানে, কি করত বিষম তুফানে,
পাক চড়া কি উজান পানে, ফিরেও চাইতাম না।
কাল হয় মদন চড়নদার, হিংসা মাঝি সহকারী তার,
দিল পাল মেরে জোয়ার (গৌরচাঁদ হে)
একি কুব্যাভার (স্বার্থের) দাড়িগণ সবে বাধ্য তারি।
 
চারিযুগে সঙ্গোপন করে, মাল রেখেছে বাক্স পুরে,
কলিতে দীন দুরাচার করিতে প্রদান।
আমি যদি ম’লেম ডুবে, আর দুরাচার কোথায় পাবে,
আমি তাই ভাবি হে মনে (গৌরচাঁদ হে)
মাল র’ল গোপনে, কই বিলালে হে গৌরহরি।।
 
ভেবে দেখেছি দয়া বিনে, ডুবিল তরণী তুফানে,
একবার কৃপা নয়ন কোণে, ফিরে চাইলে না,
নাম ধরেছে দীন দয়াময়, তবে কেন কঠিন হৃদয়,
ওহে হরি জগন্নাথ (দয়া কর হে, দয়া কর হে)
ডাকিছে অনাথ নামেতে হল কলঙ্ক ভারী।।
 
সিন্ধু দিলে বিন্দু বারি, কি ক্ষতি হে দুঃখ নিবারী,
বরং উপকার তারি রয় না পিপাসা,
বাঁচে সিন্ধু বিন্দু পানে, না দিলে পর মরে প্রাণে,
এখন কি করবে হে হরি,
দিবে কিনা বারি, বল বল ওহে দুঃখ নিবারী।।
 
(গোলক) পাগলচাঁদ কয় পাবার ফিকিরি, এ ধর্ম চাতক চাতকীর,
কূপ দেখে হসনে নত শির, উর্দ্ধেনে এই জল-
উর্দ্ধমুখে থাকরে হ’রে ডাক দেখিরে উচ্চৈঃস্বরে,
ও সে জলদ বরণে চাইলে সিন্ধু পানে,
প্রাণে মারিব তোর বজ্র মারি।
(অন্য বারি পান করিলে রক্ষা নাইরে)
--------------- হরিবর সরকার
 
২০ নং গানঃ তাল-একতালা
ধর গে এবার মানুষ রতন
রতন পাবি যদি করিস যতন।
 
গুরুচরণ রত্নাকরে আছে রতন কর সিঞ্চন
পাবি কাঁচের পরিবর্তে কাঞ্চন, পুরিবে তোর মনের আকিঞ্চন।
 
জ্বেলে রাগের বাতি দিবারাতি, আলো কর দেহ নিকেতন,
আসবে আলোক দেখে, ভূলোক থেকে পুলকে ব্রহ্ম সনাতন।
 
ধরতে গেলে দেয় না ধরা, ক্ষীরোদবাসী নীরদ বরণ,
ধরে মানুষের চরণ, ল’গে শরণ গুরুচরণই হরিচরণ।
 
মহানন্দের বাক্য ধরে, মহানন্দে কর সংকীর্তন,
পাবি তারক ব্রহ্ম নামের গুণে, হরেরে তুই অক্ষয় প্রেমধন।
------------- হরিবর সরকার
 
২১ নং গানঃ তাল-কাওয়ালী
হরি বলরে মন
বিষয় বিষে দহে জীবন,
নামামৃত পান করিলে জুড়াবে জীবন।
 
হরি হরি হরি বল পাবে প্রেমধন।
হরি ভজে গেল ব্রজে শ্রীরূপ সনাতন,
হরি বলে মার ডঙ্কা, ঘুচে যাবে ভবের শঙ্কা,
অন্তিমেতে কিসের শঙ্কা, পালাবে শমন।
 
হরি নামটি নারদ করে বীণাতে ভজন,
যোগী ঋষি দিবানিশি করে যোগ সাধন,
নামে ব্রহ্মা হল ব্রহ্মচারী, বৈষ্ণবী হ’ল শঙ্করী,
পঞ্চানন ত্রিপুরারী করেন সংকীর্তন।।
 
হরি হরি হরি বল, ওরে আমার মন
হরি বলে অজামিলের বৈকুণ্ঠে গমন।
প্রহলাদ জপে এই হরিনাম, বিষ অগ্নিতে পায় পরিত্রাণ,
জগাই মাধাই তাহার প্রমাণ, হল উদ্ধারণ।
 
গুরুচাঁদ কয় হরিচাঁদের ভজ শ্রীচরণ,
গোলকচাঁদ আর বদনচাঁদ, আর ভজে হীরামন,
মৃত্যুঞ্জয় কয় আর ভেবনা, হরি হরি বল তারক রসনা,
অক্রুরের এই বাসনা, দশের শ্রীচরণে।।
----------- শ্রীঅক্রুর চন্দ্র বিশ্বাস
 
২২ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
ভোলা মন সদাই কর কুমন্ত্রণা
চিনলি না পরম তত্ত্ব বিষয় মত্ত, তাই কর সদাই ভাবনা।
 
এসে এই ভবের হাতে, গেলি তুই বেগার খেটে,
হলি তুই নগদা মুটে, ওরে আমার মন।
কেন মত্ত হলি কাম হাউসে, কোনদিন শমন এসে,
বান্ধিবে কসে, কি উপায় করবি শেষে, দিবে সে অশেষ যন্ত্রণা।
 
কেনে কও আপন আপন, এ যে সে নিশার স্বপন,
বুঝে দেখ ও ভোলা মন, আপন কেউ হবে না।
মন তোর দেহে আছে যে ছয়জনা, তারা তোর আপন হবে না,
কিসে তুই কস আপনা, তাও কেনে বুঝে দেখ না।।
 
দশে ছয় ষোল আনা, করতেছে কুমন্ত্রণা,
তাইতে মন হল না, তোর হরিনাম সাধনা,
এবার গুরুচাঁদের চরণ তরী, মনেতে চিন্তা করি,
মুখে বল হরি হরি, অন্য আশা আর কর না।।
 
হরিচাঁদ পারের বন্ধু, লয়ে সব ভক্তবৃন্দ,
ক’রতে পার ভবসিন্ধু,  করতেছে মন্ত্রণা।
দেখে গোঁসাই গোলক ডেকে বলে, আয় মহানন্দ যাই সকলে,
গোপালে ভবে ভোলে, পারে যাওয়া আর হবে না।।
---------- শ্রীগোপাল চন্দ্র বিশ্বাস
 
২৩ নং গানঃ তাল-যৎ
ওরে মন হরিনাম এল ভব ভয় ঘুচাতে।
গৌর নিত্যানন্দ লয়ে ভক্তবৃন্দ, জীবের মন্দ সন্দ নাশিতে।
 
গৌরচন্দ্র প্রেমের সিন্ধু, জীবকে দিতে প্রেমবিন্দু,
দণ্ডধারী কাঙ্গাল বেশে বেড়ায় প্রেম যাচে,
মুখে রা রা রা রা বলে অম্নি পড়ে ধরাতে।
 
ভজ মন মনে প্রাণে, চিন্তা কর নিশিদিনে,
দেখতে পাবি নিত্য ধনে হৃদয় মাঝেতে,
ও নাম প্রহলাদ ভক্ত জপে অবিরত, পেল প্রাণদান অগ্নিতে।
 
নারদ বাজায় বীণাস্বরে, নাম বিনা রইতে নারে,
পঞ্চানন পঞ্চ স্বরে করে সংকীর্তন,
ও নাম পার্বতী লয় পরম সুখে, জপে ব্রহ্মা আদি দেবেতে।।
 
হরিচাঁদ প্রেম ভিক্ষারী, গোঁসাই গোলক করণধারী,
মহানন্দ নেচে বেড়ায় প্রেমানন্দেতে, গোপালের কপাল মন্দ,
অজ্ঞানান্ধ, কেনে পারবি তুই সে প্রেম নিতে।
---------- শ্রীগোপাল চন্দ্র বিশ্বাস
 
২৪ নং গানঃ তাল- কাওয়ালী
এবার দাঁড়াও এসে বিনোদ বেশে হৃদি বৃন্দাবনে।
তোমার নব জলধর হেরিব নয়নে।।
 
শুনে কালের ডঙ্কা, মনে হল শঙ্কা, তুমি কাল নিবারণ
মধুসূদন হের নয়ন কোণে।।
 
হরি করে দয়া, দেহ পদ ছায়া,
আমি ভজন বিহীন দীনেরও দীন, রেখ ঐ চরণে।
 
একবার দেও হে দেখা, হয়ে ভঙ্গী বাঁকা
বাজাও মুরলী সদা বলে জয় রাধা, শুনিব শ্রবণে।
 
বড় বাঞ্ছা মনে, আমি সচন্দনে, পূজিব মনোফুলে,
নয়ন জলে ও রাঙ্গা চরণে।।
 
হরিচাঁদের চরণ, পেলে করতেম সাধন,
ও ভাই তারকচন্দ্র, হরের জন্ম গেল অকারণে।
-------------- শ্রীহরিচন্দ্র পাল

 
শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free