মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

গান নং ৮৫-১০৭

৯৫ নং গানঃ তাল-ঢিমেতেওট
হরিচাঁদ করুণা গুরু তরুতলে, বসে মন থাক অক্ষয় মূলে।
হবে ত্রিতাপ বারণ রে,
জুড়াবে জীবন, শীতল হবি শীতল ছায়ায় গেলে।
(আরে ও আমার মন)
 
এ যে অসার সংসার রে,
শ্রম মাত্র সার তিলেক, বিশ্রাম নাই তার কোন কলে,
পরিশ্রম যন্ত্রণায় রে,
ক্ষীণ হল কায় শীতল হবি সে ছায়ার হিল্লোলে।
শীতল হবি শীতল ছায়ায় গেলে।
(আরে ও আমার মন)
 
যে জন বৃক্ষ তলায় রয় রে,
নাই তার চোরের ভয়, লেংটার কি ভয় আছে দস্যু বলে
আছে দস্যু একজন রে,
নাম তার মদন তার ভয় থাকে না, সে ছায়ায় রসিলে।
শীতল হবি শীতল ছায়ায় গেলে।
(আরে ও আমার মন)
 
করলে বৃক্ষলতা সার রে,
আর এক কৌশল তার রাজায় নেয় না কর দুঃখী বলে,
তথা নাহি রবির কর,
রবিসূত কিঙ্কর ভয়ে পলায় বাপের ঠাকুর বলে।
(ও সে শমন রাজা)
 
তথায় শুতে চিন্তা নাই রে,
খেতে চিন্তা নাই, ফলের অভাব নাই ফল কতই ফলে,
খেলে নামামৃত ফল রে,
মিলবে প্রেম ফল, ফলের আশা নিস্ফল এককালে।
(ও মন সে ফল খেয়ে)
 
পেয়ে বৃক্ষের মূল স্কন্ধরে,
গোঁসাই গোলকচন্দ্র প্রেমানন্দে তায় সদা দোলে,
দয়াল মহানন্দ কয় রে,
ওরে তারক আয় সবে মিলে, যাই সে ছায়ার তলে।
(হরি হরি বলে)
 
৯৬ নং গানঃ তাল-কাওয়ালী
আমি গৃহবাসে আছি কিসে দয়াময়।
হয়েছি নিরাশ্রয় দয়াল যে হতে তোমার চন্দ্রস্য নয়নে করেছি দৃশ্য
আমার মনৌদাস্য সর্বস্ব ত্যাগ সে দিন হয়।
 
জ্বালায় সন্ন্যাসীরা অগ্নি-ধুনী গাছ তলায়
দয়াল সে অগ্নি আর কিসের অগ্নি, মোর দেহে তোর বিচ্ছেদ অগ্নি
দিন রজনী দহিছে আমার হৃদয়
শান্তি নাই তোর বিরহ গাছ তলায়,
হল দশ ইন্দ্রিয় তোর রূপের বশ্য, তাইতে করি তোর উদ্দেশ্য,
কায়া কৃশ ভাবের ভস্ম মাখা গায়।
 
জানি সন্ন্যাসীরা অন্নত্যাগী ভক্ষে ফল
আমি চারি বর্গ আমান্ন ত্যজি, নামামৃত ফলভোজী
সেই ফলের কাছে ক্ষেতে আছে কার এক ফল,
শ্রীগুরুর মুখ পদ্মবীজ ফল,
আমার মন লাগে না ভোগে যোগে, তোর ভাবনা ভাব উদ্বেগে
যোগ নিদ্রা বিমাতা ত্যজছে আমায়।
 
আমার ইচ্ছা লজ্জা ছিল দুটি রমণী,
তাতে নিছনী বিপত্নী ধনী, বিবাদ করে তিন সতিনী,
তাদের লইয়া গেছে নিবৃত্তি ভগ্নি,
ছিল যে মহামায়া জননী,
ও তার বিবেক বিবর্তে পুত্র, তাইতে হই মার ত্যজ্য পুত্র,
জ্ঞান নামে এক পুত্র সেদিন মৃত্যু হয়।
 
ছিল ঘরে পুণ্য তার সুবৃতিদ্বয়
তাদের সুখালঙ্কার কুলাম্বরে, সাধন ভজন মুকুট শিরে,
দাসী করে দিলাম ভক্তি কন্যার পায়,
কন্যাটি নিল তনুরাগাশ্রয়,
তোর বিশুদ্ধ প্রেম নবরসে, তাতে সকল গেছে ভেসে,
আছি একা বসে তথাচ না তোরে পাওয়া যায়।
 
সেই রসেতে মত্ত মাতাল গোলকচাঁদ,
যোগী সন্ন্যাসী ন্যাসী ফকিরী, পরমহংস ব্রহ্মচারী,
সে রসে নয় অধিকারী এমনি পদ,
সে রসে পাগল মহানন্দচাঁদ,
বীর করুণ রসে হীরামন ধায়, মৃত্যুঞ্জয় কর ও রসময়
এবার নিরাশ্রয় তারকে দিও পদাশ্রয়।
 
৯৭ নং গানঃ (অনাথের নাথ গৌরহরি-এই সুর)
আমি কোথা গেলে পাবরে শ্রীহরির যুগল চরণ।
কোথা গেলে পাব আমি অকিঞ্চনের ধন।
হৃদয়ে ধরিয়ে বাঞ্ছা করিব পূরণ রে।
 
শ্রীচরণ ধন হারা হয়ে পাই যে কি যন্ত্রণা।
আমার মন জানে আর আমি জানি,
আর ত কেউ জানে নারে
আমি কার কাছে বা জিজ্ঞাসি, কেবা দিবে বলে
কে আমারে রাখবে নিয়ে হরির পদতলে রে।
 
পাপে পাগল হয়ে গিছি নাইকো কিছু মনে।
শান্ত হয়ে পড়ি হরি নাম উচ্চারণে রে,
মনে মনে বলব হরি তাও ঘটে না।
হরিনাম জপিতে মনে আসে নানা কু-ভাবনা রে।
 
পাপী কেহ আমার সমান নাই এ ধরাতলে।
ছুইতে চায় না কেউ আমারে মহাপাপী বলে রে।
তারক বলে ও সুধন্য শ্রীগুরুর চরণ তলে।
থাক গে পড়ে তবে পাবি হরির যুগল চরণ রে।
------- শ্রীসুধন্য কুমার ঠাকুর
 
৯৮ নং গানঃ (প্রেম পাথারে যে সাতারে-এই সুর)
দেখবি যদি আয় সকলে গুরুচাঁদ রূপ মাধুরী
হরি প্রেমানন্দের কর্তা প্রেম ভক্তি ধন প্রদানকারী।
 
কিবা সে রূপ ভুবন, দেখলে জুড়ায় দুটি নয়ন,
পুলকিত হয় দেহ মন, পোহায়ে যায় দুঃখ শর্বরী।
 
শ্রীচরণ পদ্ম মাঝে, কোটি শশধর রাজে,
রাখিয়া হৃদয় মাঝে, প্রেমানন্দ অঙ্গভূষণ।
 
শ্রীহরির প্রিয় নন্দন, শান্তিদেবীর অঙ্গভূষণ,
ভকত হৃদিরঞ্জন, সুধন্যের পাপ মোচনকারী
------- শ্রীসুধন্য কুমার ঠাকুর
 
৯৯ নং গানঃ (আমি ভুলি তারে কেমন করে-এই সুর)
দেখব বলে যারে, আসা যাওয়া ভবে বারে বারে,
দেখেছিলাম তাঁর শ্রীচরণ, দেখার মত হল নারে।
 
উজ্জ্বল রতন পেয়ে, অন্ধ দেখ হাত বুলিয়ে, দৃষ্টি ভ্রষ্টাচারে,
নষ্ট ভ্রষ্টাচারী আমি ভ্রান্ত পাপ অন্ধকারে।
 
জীবের প্রতি কৃপা করে, পূর্ণাদেবীর উদরে, যশোমন্তের ঘরে,
উদয় হরি ধরা ধন্য, পেয়ে দেখা পেলাম নারে।
 
সুধন্যের এ আকিঞ্চন, হয় না যেন নিবারণ, আশা বারে বারে,
ওড়াকান্দি শান্তিধামে দেখতে শান্তি কান্তরে।
------- শ্রীসুধন্য কুমার ঠাকুর
 
১০০ নং গানঃ তাল-একতালা
ওগো শ্রীধাম মন্দিরে উচ্চৈঃস্বরে যবে করে সংকীর্তন।
ওগো ভক্তের সঙ্গে মন রঙ্গে, প্রেম রসেতে হয়ে মগন।
 
হরিচাঁদ রূপ দর্শনে, ধারা বহে দুনয়নে,
শিব নেত্র কোন জনে, কেহ বা ধরায় পতন।
 
কেহ বা পড়েছে ঢলে, কেহ বা ধরে তোলে,
মুখে হরি হরি বলে, ভেসে যায় গোঁসাই হীরামন।
 
কেহ বা হরিনাম সুধায়, তবু না হয় জ্ঞানের উদয়,
বাহ্যজ্ঞান নাইকো হৃদয়, মহাভাবে অচেতন।
 
স্বেদ অশ্রু প্রলাপ লম্ফ, ক্ষণেক হতেছে কম্প,
ক্ষণেক করে বীর দম্ভ, সঙ্গে রঙ্গে নাচে শমন।
 
ওগো মহানন্দের প্রেম হিল্লোলে, প্রেম সিন্ধু জল উজান চলে,
আনন্দে প্রেম সলিলে, সাঁতার খেলে ভক্তগণ।
 
দয়াল গুরুচাঁদ গোঁসাই, ভবে এমন আর দেখি নাই,
গেল রে শমনের বড়াই, ভবে এল গোলকের ধন।
 
গোলকচাঁদের হুহুঙ্কারে, অখণ্ড ব্রহ্মাণ্ড নড়ে,
তুফান উঠল মটকা ফুড়ে, ডুবল সব পাষণ্ডের গণ।
 
কেউ করে হরিধ্বনি, কেউ করে উলুধ্বনি,
শুনিয়া সেই সিংহের ধ্বনি, তরাসে পলায় কাল শমন।
 
হরিচাঁদের প্রেম সাগরে, তারকচাঁদ দাঁড়িয়ে তীরে,
ডেকে কয় উচ্চৈঃস্বরে, ডুবল গোঁসাই হীরামন।
 
গোলকচাঁদ সাঁতার খেলে, মহানন্দ ডেকে বলে,
অশ্বিনী তুই রলি ভুলে, ডুবলি না জনমের মতন।
------------- অশ্বিনী গোঁসাই
 
১০১ নং গানঃ তাল-ঠুংরী
তোরে বলব কি; মায়া তেতুল গাছে
কোন সাহসে বাসা বেধে রলি।।
 
ঐ দেখ কাল ব্যাধে শর হানিল, তবু না তোর হুঁশ হল,
(পাখিরে) এই সময় মন উড়ে চল, নৈলে প্রাণ হারালি।।
 
গুরুকল্প-তরুমূলে বাসাঁ বাধ হরি বলে, (পাখিরে)
তবে শঙ্কা নাই তোর কোন কালে, কালের ভয় এড়ালি।।
 
ত্রিবেনী এক অছে, যাস না রে সেই নদীর কাছে,
তথায় মদনা চোরা ফাঁদ পেঁতেছে, বাঁধবে অমনি গেলি।।
 
প্রেম সাগরে নিস্কাম চরে, বেড়াও রে আনন্দ ভরে,
তথায় চরা করনীহার ধরে, ঘুচবে মনরে কালি
 
আমার গুরুচাঁদের পোষা পাখী, হৃদয় পিঞ্জরে থাকি,
এবার অশ্বিনী মন কর সুখী, বলে হরি বুলি।।
 
১০২ নং গানঃ তাল-একতালা
রতি মতি রেখো গুরু পতির পায়,
অচল নিষ্ঠা রতি গুরুর প্রতি রাখবে মনুরায়।।
 
চিন্তা কর গুরু পতি, ঘটিবে অবলার রীতি, দিবা রাতি থাক সাধনায়
করলে গুরুর সঙ্গে প্রেম-পিরীতি, হবে মহা ভাবোদয়,
গুরু পতি করলে সঙ্গ, জুড়াবে তাপিত অঙ্গ অনন্ত হবে পরাজয়।।
 
শেষে প্রাপ্ত হবি প্রেমানন্দ, থাকবি আনন্দে সদায়,
গরু পতি করলে দয়া, অষ্টপাশে মহাময়া পাশ ছেড়ে হইবে বিদায়
সেই শান্তিপুরে জ্যোতির ঘরে, থাকবিরে যুগল সেবায়।।
 
জিহ্বা লিঙ্গ কর্ন যোনি, গুরু শিষ্য সুযোগ জানি,
মধুর রতি করবে সে সময়
শেষে মহামন্ত্র বীর্য্য দানে, হবে নিস্কাম পুত্রদোয়।।
 
গুরু বাক্য ঐক্য ধরি, ছেড়ে দাও ব্যাভিচারী,
অশ্বিনী বলি যে তোমায়
স্বামী মহানন্দ প্রাণপতি, তোর প্রতি আছে সদায়।।
 
১০৩ নং গানঃ তাল
অকুল ভবধি তীরে হরি দয়াময়
ভক্তিবিহীন দীনেরও দীন পার করে দিচ্ছে হেলায়
 
কলি যুগ ধন্য, যে যুগেতে অবতীর্ন,
হলেন হরি শ্রী চৈতন্য, কলির জীবের ভাগ্যোদয়।।
 
সাঙ্গ-পাঙ্গো লয়ে সঙ্গে, এলেন হরি পরম রঙ্গে,
জগত ভাসায় প্রেম-তরঙ্গে, আতঙ্কে যমদুত পালায়।।
 
অনর্পিত যেই হরি নাম, পুরাতে জীবের মনস্কাম,
ভবব্যাধি করতে আরাম, নামৌষধি জীবকে বিলায়।।
 
পূর্ন কুম্ভ, নিত্যানন্দ, এবে এল মহানন্দ,
নামের সহিত প্রেমানন্দ, তাই দিয়ে জগত মাতায়।।
 
তারকচাঁদ কয় উচ্চৈঃস্বরে, এমন দিন আর হবে নারে,
এমন দয়াল পাবি না রে, অশ্বিনী তোর সময় যায়।।
 
১০৪ নং গানঃ তাল-
ভব নদীর ভাব না জেনে ধর না পাড়ি,
থাক সামাল সামাল মন ব্যাপারী
নদীর ত্রিবীনায় তুফান ভারী।।
 
যে নদীর তরঙ্গ দেখে, কত যোগী ঋষি ভাবছে বসি, কিনারায় থেকে
তারা চেয়ে আছে উর্দ্ধমুখে, (বলে) পার কর দয়াল হরি।।
 
যত সব সায়ারের নেয়ে, নদীর ভাব না জেনে বাদাম টেনে যেতেছে বেয়ে
নদীর দখিন বাকের গোলায় গিয়ে, সাধ করে ডুবাচ্ছে সাধের তরী।।
 
প্রতি মাসে ছোটে সে নদীর বান, কত ধনীর ভরা যাচ্ছে তারা থাকবে সাবধান
এবার গুরুর কাছে জান সন্ধান, ভব পারে যাবার ফিকিরী
 
যার আছে গুরু কৃপাবল, সেই সে কেবল জানতে পারে কোন খানে কোন জল
তার তরী যায় না রসাতলে, ও যার গুরু আছে কান্ডারী।।
 
তারকচাঁদ বারে বারে কয়, কে কে যাবি ভব পারে সময় বয়ে যায়
এবার অশ্বিনী ভুলিল মায়ায়, আমি ঐ দুঃখে ঝুরে মরি।।
 
১০৫ নং গানঃ তাল-কাওয়ালী
গুরু তত্ত্ব পরমার্থ কামাই যদি করতে চাও
অন্তরে মাধুর্য্য রেখে এৗশ্বর্য্যরে ঢাকনি দাও।।
 
তিন পয়সার সুসার নাই তোর, লাখপতি নাম চেতাও
ভাবের সঙ্গে নেই দেখা শুনা, মিছে কেবল ভাব দেখাও।।
 
করো না ধর্ম্মের আড়ম্বর, মান প্রতিষ্ঠা তাড়িয়ে দাও
রেখে দেও ময়লা মাটি, ময়লা খাটি, ঘুচাইয়া সাচ্চা হও।।
 
সাধুর ভানে লুকিয়ে কেনে, বাবার ঠাকুর হতে চাও
যে দিন নিকাশ লবে, দেখনা ভেবে, কেন পরকাল হারাও।।
 
পেয়েছ মনুষ্য জনম, এ হতে আর কি ধন চাও।।
হয়ে হরিবোলা, হ্রদয় খোলা, প্রেমানন্দে ডুবিয়া রও।।
 
মহানন্দের পদারবিন্দে, মন প্রাণ সপিঁয়া দাও
অশ্বিনী তোর কিসের শঙ্কা, ডঙ্কা মেরে পারে যাও।।
 
১০৬ নং গানঃ তাল-একতালা
তুমি যে সুখ পেয়ে ভুলেছ রে মন এ তোর মরার পন্থা
বাঁচতে যদি চাও রে ও মন, ধারণ কর চিন্তা কান্থা।।
 
মরণ আছে অনেক রকম, বিচার করলে হয় তারতম্য, জানা যায় সে নিয়ম
দুটি মরণ উত্তম অধম, আছে করলি না সে চিন্তা।।
 
অধম মরার এই প্রণালী, আছে খড়গ হাতে কাম আর কলি, দিচ্ছে নরবলী
বলি লয় সে মায়া কলি, ও সে জীবের জীবন হন্তা
 
অধম মরা যে জন মরে, জন্মের মত ছারেখারে, যায় সে একবার
প্রাণ হারায় সে ঘোর দুস্তরে, দংশে সর্পিনী বিষ-দন্তা
 
উত্তম মরার দশটি লখন, দশম দশায় হলে পতন, সে হয় প্রেমের মরণ
প্রেমের মরা যে জন মরে, প্রাপ্ত হয় সে হরি-কান্তা।।
 
শ্রীগুরুচাঁদেরই বচন, ভবে প্রেমের মরা মরে যে জন, সে পায় অখন্ড জীবন
দেখে কোটি ব্রহ্মার পতন, আশ্রয় করে অঘোর পন্থা।।
 
১০৭ নং গানঃ তাল-
এমন সহজের মানুষ কোথায় পাওয়া যায়।
হলে আপন সহজ নইলে সহজ ধরা নাহি যায়।
 
সহজ বলতেছে সদায়, কেরে দেখছে সহজ কোন বা দেশে রয়,
ও সে গুপ্তভাবে আছে সহজ, খুঁজলে তারে পাওয়া যায়।
 
সহজ করণ করে আস্বাদন, হরেছিল চণ্ডীদাস রজকিনীর মন,
তারা সহজ প্রেমের শক্তির বলে রে, মৃতদেহে জীবন পায়।
 
সহজ প্রেম জানে কয়জনে, জেনেছিল রূপ সনাতন ভাই দুইজনে,
তারা দুই মনে এক মন মিশাইয়ে, নিত্য বৃন্দাবনে যায়।
 
সহজ করণ করা সহজ নয়রে ভাই, করণ করেছিল হীরামন গোঁসাই,
ও সে সহজ প্রেমে মত্ত হয়ে রে, জলের পর ভেসে বেড়ায়।
 
পাগল মহানন্দ কয় ওরে তারকরে, সহজ মানুষ হরিচাঁদ ধর গিয়ে তারে,
থাকগে গুরুচাঁদের চরণ ধরে রে, তবে যদি ধরা দেয়।

 
শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free