মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

গান নং ৬৪-৭৪

৬৪ নং গানঃ তাল-যৎ
যদি সাধ ছিল গৌররূপ হবি বলে,
যে বাদ সাধিলে কাঁদি তাই বলে,
আমরা তাই ভাবি ভাই, কেন কানাই হলি ব্রাহ্মণের ছেলে।
 
এখন বিদ্যার গৌরব বিদ্যাভূষণ, সন্ন্যাসী নামের অন্বেষণ,
অরুণ নয়ন কপ্নি ধারণ, গোছা পৈতা তোর গলে,
রাখতে গোবৎস্য ভায়েসে, বলব না আর হেসে রসে,
উচ্ছিষ্ট ফল কোন সাহসে, দিব চাঁদমুখে তুলে।
 
এখন ক্ষুধানলে মরবি জ্বলে, অস্নান্ত খাবি কি বলে,
ব্রহ্ম মন্ত্রে গঙ্গাজলে, মরবি কেবল জল ঠেলে,
গোপীর পা’র ধুলা লবি না, নন্দের বাঁধা আর রবি না,
চিবিয়া দিলে আর খাবি না, এই ছিল তোর কপালে।
 
এখন তোর হল পণ্ডিতের আঁচার, আমাদের নাই আঁচার বিচার,
গোপ ছেলে রাখালের ব্যাভার, ঘুচবে না তা প্রাণ গেলে,
এখন তোরে করব মান্য, ঠাকুর বলে করব গণ্য,
গোপ জাতির স্বভাব জন্য, মান্যগণ্য যাই ভুলে
 
এখন জাতি বিদ্যা মহত্তঞ্চ, রূপ যৌবন মেবচ,
প্রেম পথের কন্তক পঞ্চ, তাই জন্মিছ ব্রাহ্মণ কুলে,
গোপীকুলে তাও ছিল না, প্রেম বিনে কেউ পদ নিত না,
পদ ছাড়া প্রেম উপাসনা, তাই ছিল গোপের কুলে।
 
গিয়া রামানন্দের বিদ্যালয়, পদ শূন্য পদ শুনিয়ে,
সর্বস্ব পদ ত্যজিয়ে, ওড়াকান্দি তাই এলে,
পদ ছেড়ে কয় গোঁসাই গোলক, হা হরিচাঁদ মাতালে লোক,
পদে পড়ে ম’ল তারক, কে তারে ধরে তোলে।
 
৬৫ নং গানঃ তাল-যৎ
তুই চল কানাই লয়ে যাই বৃন্দাবনে।
তুই ব্রজ ছেড়ে আসবি কানাই, স্বপ্নেও তা জানিনে।
 
কত মেরেছি ধরেছি তোরে, গেরুয়া খেলা খেলেছিরে,
কাঁধে চড়েছি জোর করে, লয়ে তোরে গহনে,
সেই দোষে ভাই গুণনিধি, মোদের করলি অপরাধী,
যেমন কর্ম তেম্নি বিধি, বঞ্চিত রে তোর চরণে।
 
যে দিন ছেড়ে এলি প্রাণ কানু, তোর শোকেতে জীর্ণ তনু,
উর্দ্ধমুখে কাঁদে ধেনু, মোহন বেনু না শুনে,
রাখাল বধলি নাই তোর কসুর, কি দোষেতে ওরে নিষ্ঠুর,
বধলিরে তোর গরু বাছুর, মহিষ ম’ল তোর বাথানে।
 
একদিন গাভি ছানা কঠিন ডোরে, মা যশোদা বাঁধল তোরে,
সেই দোষে মায়ের ত্যজ্য করে, এলিরে ভাই এখানে,
মাকে দিব করে মানা, কোমল করে আর বাঁধবে না,
ঘর লুঠে খাস মাখন ছানা, যতরে তোর লয় মনে।
 
একদিন কমলিনীর প্রেমের ছলে, দাসখতে দাস স্বীকার হলে,
স্বহস্তে দস্তখৎ দিলে, দায়িক হলে প্রেম ঋণে,
সেই মহাজনের ত্রাসে, রূপ ঝেঁপে পালালি এসে,
সে মেয়ের হাত বাঁচবি কিসে, চিনবে বাঁকা নয়নে।
 
তুই সে মনের মানুষ রসের গোরা, গুরুচাঁদের হৃদয় ধরা,
মনোচুরি করে চোর, পালাইবি কোনখানে,
গোলকচাঁদ তোর বিরাগ ভরে, ডুবল রে তোর ভাব সাগরে,
কর্মীজ্ঞানী তারকেরে, অন্তে রেখ চরণে।
 
৬৬ নং গানঃ তাল-যৎ
কি দুঃখে গৌর হরি বল কানাই।
ভেঙ্গে বল কানাই, ও তাই শুনতে চাই,
ছিল কিসের অভাব বৃন্দাবনে, আমরা মনে ভাবি তাই।
 
গোচারণে গোষ্ঠে যেতে, কষ্ট দেখে গোষ্ঠের পথে,
পদ ব্রজে দি নাই যেতে, স্কন্ধে করে নিতাম ভাই।
সাজাইতাম রাখাল রাজা, সব রাখালে করতেম পূজা,
তোর কপালে এতই সাজা, আমরা কি তাই সহ্য পাই।
 
রবির কিরণে মুখ ঘামিলে পরে, দুঃখে যেত বুক বিদরে,
বংশী বটের ছায়ায় তোরে, সাজাইতাম প্রাণ কানাই।
নূতন পল্লব শাখা ভেঙ্গে, চামর ব্যঞ্জন করতেম অঙ্গে,
এখন কাঁদিস ভক্তের সঙ্গে, ব্যাথার ব্যথিত সঙ্গে নাই।
 
তোরে গোকুল মা নন্দরানী, দণ্ডে দণ্ডে ক্ষীর ননী,
খাওয়াইত রে নীলমণি, এখন ননী কে দেয় ভাই,
কি দুঃখে ভাই কালশশী, এখন করিস একাদশী,
দু’তিন তিন দিন উপবাসী, দণ্ডধারী রে নিমাই।
 
তোরে ফুলের শয্যা ফুলবাসরে, রতন বেদীর পরে,
বক্ষে ধরে প্রেমাদরে, ভা’বত কমলিনী রাই,
উচ্চ কুচের আঘাত লেগে, শ্যামাঙ্গে বেদনা লাগে,
সে অঙ্গ তোর কিসের লেগে, ধুলায় ধুসর ছাড়িস হাই।
 
গোঁসাই গোলকচাঁদকে সঙ্গে নিলি, সাঙ্গোপাঙ্গে উদয় হলি,
ব্রজ হতে ছেড়ে এলি, তোর শরীরে দয়া নাই,
ধরব বলে মনে মানুষ, মহানন্দ খুঁজে মানুষ,
হালছে বেতাল হুশে বেহুঁশ, তারকের আর উপায় নাই।
 
৬৭ নং গানঃ তাল-যৎ
জন্মি যে জন্যে ব্রহ্মকুলে জান না।
আমি আচরিব গোপধর্ম, ব্রহ্মত্ব পদ রাখব না।
 
জীবের ঘুচে না জীবত্ব, গৌরবেতে সদা মত্ত,
গুরুতত্ত্ব পরমার্থ, সে তত্ত্ব কেউ নিল না।
আপনি হইয়া নম্র, জীবকে শিক্ষা দিব ধর্ম,
তৃণাদপি শ্লোক মর্ম, নৈলে কেউ তা জানবে না।
 
কোল দিয়া চণ্ডাল যবনে, হরি বলাই বন্ধু জ্ঞানে,
গোপ হতে কত গুণে, নত হলেম দেখ না।
তোরা দিবি ফল উচ্ছিষ্ট, তাতে আমার কিসের কষ্ট,
ঝড়ু ভুঁইমালীর উচ্ছিষ্ট, মিষ্ট আমার জান না।
 
রঘুনাথ দাস রূপ সনাতন, তারা রাই রসের মহাজন,
কিসের শুদ্র কিসের যবন, করলে কৃষ্ণ সাধনা।
কৃষ্ণ কথা শ্রবণ জন্য, রামানন্দের কাছে দৈন্য,
কর্মীজ্ঞানীর দর্পচূর্ণ, তা না হলে হবে না।
 
ব্রহ্মা ছিলেন ব্রহ্মপুরে, হবিউল্লা কাজীর ঘরে,
ভুলিতে পারি তাহারে, গোপীর প্রেম ভুলব না।
ব্রাহ্মণে মান্য যদ্যপি, তবু বলি গোপী গোপী,
করতে এলাম গৌররূপী, গোপীর প্রেম উপাসনা
 
গোঁসাই হরিচাঁদে বলে, গোকুলের কুল পাই যে কুলে,
প্রেম দিব তাঁর হৃদয়ে তুলে, যাবে মনের দেবনা।
হীরামন গোলকচাঁদ বদন, মৃত্যুঞ্জয় দশরথ লোচন,
বিলাইল হৃদয়ের ধন, তারক সে ধন পেল না।
 
৬৮ নং গানঃ তাল-যৎ
ব্রজে যাব মেগে খাব ঘর ঘর।
সেই ব্রজেশ্বরী রাধা বিনে, প্রাণ কাঁদে তাই নিরন্তর।
 
ব্রজের খেলা সাঙ্গ করে, এসেছি এই ন’দে পুরে,
সেই দেখা আর এই দেখা রে, হল অনেক দিনের পর।
গোকুলের দুর্গতি যত, সকলই তা আছিস জ্ঞাত,
ঐ দুঃখে প্রাণ ওষ্ঠাগত, এখন মাত্র কন্থা সার।
 
সখা সখ্য ভাবে মেতে, হারে রে রে আমার ক’তে,
স্কন্ধে যেতে স্কন্ধে নিতে, এমন দিন হবে না আর।
আর খেয়ে ফল পেয়ে মিষ্ট, বলতে আমায় খারে কৃষ্ণ,
সে উচ্ছিষ্ট বড় মিষ্ট, সুধা হতে স্বাদ আমার।
 
মা যশোদা বেঁধেছিলে, দধি মন্থনের কালে,
বাম পদে ফেলাতে ঠেলে, ধরতেম চরণ যশোদার।
সে সুখ আর বলব কারে, গোলক বৈকুণ্ঠ পুরে,
লক্ষ্মী পূজা করলে মোরে, তত সুখ হবে না আর।
 
আমি ব্রহ্মজ্ঞায় বশ নাই কখন, মাধুর্য প্রেমের যতন,
নৈলে কি সেই ক্ষুদ্র পরাতন, মেগে খাই বিদুরের ঘরে।
ঐ প্রেমে হয়ে ঋণদায়ী, নবদ্বীপে কেঁদে বেড়াই,
আমার ভাগ্যে ঘটল না তাই, শুধিব রাধার ঋণ ধার।।
 
মহাজনের হয়ে দেনা, শোধ হতে ছিল বাসনা,
তাইতো এরুপ কাঁচা সোনা, ভাবকান্তি নিয়াছি তাঁর।
হরিচাঁদের রূপরসে, গোলকচাঁদ তরঙ্গে ভাসে,
তারক রে পালিনে দিশে, মন হল না সংস্কার।
 
৬৯ নং গানঃ তাল-যৎ
রাধার ঋণ শোধিব ছিল বাসনা,
শ্রীধাম জান না, মনের ভাবনা,
সে অতি অসাধ্য সাধন, আমা হতে হবে না।
 
আমি বা কার কেবা আমার, আমার বলতে নাই যে আমার,
তবু বলি আমার আমার, আমি তাই কি জানলাম না।
আমার আমার যবে যাবে, তবে দেহ শুদ্ধ হবে,
বিশুদ্ধ প্রেম মহাভাবে, ঘটবে অকাম কামনা।
 
সম্বন্ধহীন প্রেম পিরীতি, কই ঘটে অবলার রীতি,
লয়েছি যার ভাবকান্তি, তারে আপন ভাবি না।
করতে যেমন ফকিরিটি, জাহির হল ফিকিরিটি,
যেমন গুপ্তি পাড়ার মাটি, শিব গঠিলে গঠে না।
 
আমার শ্রীরাধার তনু বাহিরে, তনু কি তাঁর নাম করে,
প্রাণ পাখী পালালে উড়ে, তনু তখন কাঁদে না।
সুখ দুঃখ ভিতরেতে, যোগ থাকে জীবাত্মার সাথে,
সমভাব পরমাত্মাতে, সে প্রেম আমার ঘটল না।
 
যেমন পিঞ্জিরাতে থাকে পাখী, পাখী বিনে পিঞ্জর ফাঁকি,
পিঞ্জরের আর সুখ দুঃখ কি, কোন কষ্ট লাগে না।
রাধার আনন্দ পারাবার, সার ভেবে দিয়াছি সাঁতার,
পাব কিনা আর কুল কিনার, ডুবে রই আর উঠব না।
 
আয় যাবি কে ত্বরায় করে, গুরুচাঁদ বসেছে তীরে,
ধরগে তোরা গুরুচাঁদেরে, নইলে রতন পাবি না।
সাগরে মকর গোলক, আর সব সিন্ধু ঘোটক,
কু-বিষয় কাম কূপে তারক, তার বিন্দু পেল না।
 
৭০ নং গানঃ তাল-যৎ
শ্রীদাম ভাই দুঃখ জান না,
দুঃখ জান না, ও কেউ জানে না,
সমান দুঃখের দুঃখী নইলে, তারে দুঃখ জানব না।
 
কলির জীব কলুষেতে, মোহ মোহিতে ভূ-ভারতে,
ভার হরিতে এ জগতে, এ ভার ত কেউ নিল না।
জীবকে দিতে প্রেমভক্তি, শক্তিময়ী দিলেন শক্তি,
নিতাই দিলেন উপশক্তি, অদ্বৈতের বাসনা।
 
আমার যে গৌরাঙ্গ হওয়া, গৌর অঙ্গে অঙ্গ ছাওয়া,
কাল অঙ্গে ঝাঁপা দেওয়া, আর ত কারো সাধ্য না।
যার রসেতে তনুমাখা, ছিলাম ব্রজের ভঙ্গী বাঁকা,
রসান দিয়ে সেই রাধিকা, দিল রূপ কাঁচা সোনা।
 
ব্রজে রাধার প্রেম তরঙ্গ, হেমাজ মাঝে কালভৃঙ্গ,
কদম্ব নন্দী পীতাংগ, অঙ্গে অঙ্গে সাধনা।
স্রোত বহি মধুর রসে, মোহনচূড়া গেছে ভেসে,
দণ্ডধারী কাঙ্গাল বেশে, চূড়া রাখতে পারলাম না।
 
কাজ কি চূড়া চাঁচর কেশে, কাজ কি আমার সুখের বেশে,
কেশ মুড়াইয়া যাই সন্ন্যাসে, আর ত ঘরে রব না।
যে দেশে মানুষ স্থিতি, পাব কি তার অক্ষয় রতি,
পেয়েছি তার ভাবকান্তি, তাতে শান্ত হব না।
 
আমার গোঁসাই হরিচাঁদ বলে, প্রাণ কাঁদে যে মানুষ বলে,
সে ভাব দিব আচণ্ডালে, কারে বাকী রাখব না।
ভাব গ্রহণে কাঁদে গোলক, আপনি মেতে মাতাল লোক,
ভাব নিলি না কর্মী তারক, গ্রন্থি পাতক গেল না।
 
৭১ নং গানঃ তাল-ঢিমেতেওট
তুই বল কানাই, কেন হলি ভাই সন্ন্যাসী।
লুকায়ে কাল অঙ্গ, হলি গৌরাঙ্গ,
করে করঙ্গ একি রঙ্গ কালশশী।
 
অঙ্গে হলুদ মেখে, ত্রিভঙ্গ রূপ ঢেকে,
মেগে খাস ভিক্ষা ঝাঁপিয়ে কালরূপ রাশি।
 
৭২ নং গানঃ তাল-যৎ
সে ধনীর কি দয়া নাই, মায়া নাই,
তোরে পথের কাঙ্গাল কে করেছে হারে ভাই।
কেন দীনহীন কাঙ্গালের মত, রা রা বলে ছাড়তেছিস হাই।
 
হা হুতাশ বাতুলের মত, কেঁদে বেড়াস অবিরত,
ভাইরে আত্ম বন্ধু কি কেউ সংসারে তোর নাইরে।
তোরে যে করেছে দীনেরও দীন, আছিস তাহার কি ধনে ঋণ,
ওরে কানাই।
 
কেঁদে বেড়াস নিশিদিনে, এই কি সহে আমার প্রাণে,
ভাইরে, তোরে এমন দশা, কেন করল সাই রে।
হয়ে কি ধন হারা, কাঁদিস গোরা,
কেন করিস হা-রাই হা-রাই।
 
যদি রাখি হৃদ সরোজে, তথাপি তোর পদে বাজে,
ভাইরে, তাতে কুশাঙ্কুর ফুটিছে সদাই রে।
ও চরণ দেখে নয়নে, দয়া কি হল না মনে,
তার মনে ছাই।
 
৭৩ নং গানঃ তাল-ঠুংরী
ও তুই চল চল চল আমার বাসে, সে ওরে পীতবাস।
ও তুই আয়রে কানাই সত্বরে যাই, ছেড়ে দে ভাই চির সন্ন্যাস।
 
দিয়ে রাঙ্গা পদে কুমকুম চন্দন, করব সদা চামর ব্যঞ্জন,
ভাইরে, কানাই আয়রে আমার মনাগুন নিভাই রে,
লিখল তোর ভাগ্যে, দেশান্তর বিধি, কোথায় রে, সেই বিধাতার বাস
 
চরণ অলক্তা দিয়ে, দেখব রে নয়ন ভরিয়ে,
ভাইরে, দিয়ে রাধাপদ্ম, পাদপদ্ম সাজাইরে,
দিব ভুরুতে কাজলের রেখা, চূড়ায় পাখা এই অভিলাষ।
 
পূজিব সাধ্য উপাচরে, বেদ ত্যক্তা ব্রজাচারে,
ভাইরে, আমি মুঢ়মতি উচ্ছিষ্ট জ্ঞান নাইরে।
আয় যাই ত্যজ্য করে ডোর কপ্নি বাস, কেন করিস তুচ্ছ উপবাস।
 
যদি একাদশীর দিনে, মিষ্ট ফল পাই কোন খানে,
ভাইরে, আমি কারে দিব কানাইরে,
তুই না খেলে ফল সকল নিস্ফল, করিব বিফল জীবন নাশ।
 
মিলঃ তাল-ঢিমেতেওট
হয়ে সংসার বিদ্বেষী, হইও না বিদেশী,
তোমার ভাব দেখে, হরিবরের মন উদাসী।
----------------- হরিবর সরকার
 
৭৪ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
কেন ভাই গৌর হলি প্রাণ কানাই
ছিল ব্রজে যে ভাব, নাই সে ভাব, অভাবে সে ভাব নাই।
 
যখন ছিলে ব্রজে, রঙ্গেতে রাখাল সেজে,
চরাইত বন মাঝে, ধবলী শ্যামলী গাই।
দিয়া কুমকুম চন্দন পদরজে, রসরাজকে সাজায়।
 
কটিতে পীত ধড়া, মস্তকে মোহন চূড়া,
লুটিতে গোয়ালপাড়া, ধড়া পাড়া সাড়া নাই।
হয়ে গোকুল ছাড়া, কাল ছোড়া, গেছে গোকুলের বালাই।
 
চূড়াতে শিখিপাখা, তাইতো রাধা নাম লেখা,
ভালেতে হয় অলকা, নাসিকায় তিলকা ভাই।
পদে ধ্বজ বজ্রাংকুশের রেখা, আঁকা চোখা, সর্বঠাই।
 
বনেতে স্বর্ণলতা, হয়েছে কি বর্ণ তা,
শোকে হয়ে শুষ্কতা, লতা পাতার কেতা নাই।
আছে শুকশারি মলিনতা, কয় না কথা, ছাড়ে হাই।
 
পাগলচাঁদের উক্তি, শ্রীপতি ভগবতী,
কলির কলুষ  নাশিতে, গুপ্তাতী গৌর নিতাই।
সে রূপ কালীচরণ, দেখবি যদি, চল ওড়াকান্দি যাই।
---------- কালীচরণ সরকার

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free