জাতে উঠা (সংলাপ)
প্রথম পর্বঃ
ব্রাহ্মণ~ এই তোমার নাম কিরে?
শুদ্র~ আমার নাম দিব্য দাস।
ব্রাহ্মণ~ ও তুই শুদ্র। নীচু জাত, সর সর দুরে যা!!
দ্বিতীয় পর্বঃ
ব্রাহ্মণ~ এই তোতোমার নাম কি?
শুদ্র~ আমার নাম দিব্য।
ব্রাহ্মণ~ পুরো নাম কি?
শুদ্র~ দিব্য।
ব্রাহ্মণ্য~ টাইটেল কি?
শুদ্র~ নাই।
ব্রাহ্মণ্য~ নাই মানে। ও বুঝেছি। টাইটেল ছেড়ে জাতে উঠতে চাস। বেটা শুদ্র!!
ঐ তোরা দেখে যা, শুদ্র টাইটেল ছেড়ে ব্রাহ্মণ হতে চাইছে। দেখে যা! দেখে যা কি কাণ্ড!!!
বিঃদ্রঃ কতক নীচ জাতির (সামাজিক প্রেক্ষাপটে) মানুষকে দেখা যায় যে পিতৃপ্রদত্ত টাইটেল বলতে লজ্জা বোধ করে, তারা মনে করে টাইটেল ফেলে দিলে বুঝি বড় জাতে পরিণত হবে। কিন্তু ইহা ভুল।
ছোট জাতের লোকেরা (যারা জাতে উঠতে চায়) তারা টাইটেল লেখা বা বলা ত্যাগ করলেও বড় জাতের লোকেরা তা করবে না। ফলে টাইটেল বিহীন দেখলেই আরো সহজে বুঝতে পারবে যে সে নীচ জাত। তাছাড়া এভাবে জাতে ওঠা যায় না। স্বকর্মগুণে উচ্চজাতিকে পদতলে দলিত করতে পারলেই কেবল সমতা বিধান সম্ভব, নচেত বাগাড়ম্বর সার।