গান নং ০৬১-০৭৫
৬১ নং গান- তালঃ গড়খেমটা
রং মেখে তুই সং সাজলি কার বলে,
চক্ষু মুছে দেখ না চেয়ে, কি হবে তোর শেষ কালে।
১। এ সংসারে সং সাজিলি, মায়া মোহের রং মাখালি,
আসল কথা ভুলে গেলি, নাচলি শুধু বেতালে।
তালের ঘরে ফেললি না পাও, আসল থুয়ে পেতে চাস ফাও,
শিব গড়াতে বাদর গড়াও, চেয়ে কি তা দেখলে।
২। তোরে সং সাজালে যারা যারা, বুঝলি না সে কাজের ধারা,
তারা তোরে করবে সারা, দেখলি কি তা চোখ মেলে।
গুরু তত্ত্ব যে ধন ছিল, সং সাজায়ে কেড়ে নিল,
সুযোগ পেয়ে সরে পল, কাকের ঘরে ফাঁকতালে।
৩। এই যে সাধের জীবন মেলা, সাঙ্গ হল ভবের খেলা,
পারঘাটাতে খাবি ঠেলা, কড়ি নাই তোর তফিলে।
বিনোদ বলে খালি হাটে, গেলে পরে পারঘাটাতে,
পার করবে না কোন মতে, ভাসবিরে নয়ন জলে।
৬২ নং গান- তালঃ গড়খেমটা
গুরু কি ধন চিনলি নারে অবুঝ মন।
ও তোর অন্তরে নাই অন্তর খোলা, মুখে আত্ম সমর্পণ।
১। গুরু কি অমূল্য রতন, পুজলি নারে যুগল চরণ,
অন্তরে ভাব নাইরে কখন, কথায় বড় বিচক্ষণ।
গুরু বাক্য করে হেলা, ভোগ করলি ত্রিতাপ জ্বালা,
দেখতে পাবি পারের বেলা, গুরু পারের মহাজন।
২। পারঘাটাতে যে দিন যাবি, কি বলে তুই জবাব দিবি,
পারের মাসুল কোথায় পাবি, শেষে তুই করবি রোদন।
খাটবে না তোর ছল চাতুরি, কড়া আইন করবে জারি,
পাবি নারে চরণ তরী, রবিসূত করবে বন্ধন।
৩। বিনোদ বলে মনরে আমার, সময় থাকতে সারাৎসার,
চরণ পূজা কর এবার, সপে দিয়ে দেহ মন।
গুরু বাক্য ঐক্য করে, থাক পড়ে তুই রূপ নেহারে,
পারঘাটাতে হস্ত ধরে, পার করিবে গুরুধন।
৬৩ নং গান- তালঃ রাণেট
মন চল যাই এ দেশ ছেড়ে, নিত্য বস্তুর খেলা ঘরে।
তথায় প্রেমানন্দে কাল কাটাবি, জন্ম মৃত্যু হবে নারে।
১। ঢাকার জেলায় উবুদ নদী বয়,
তলা আলগা কলসি দিয়ে, সাধকে জল নেয়।
সেই জল দিয়ে প্রেম সুখ বিলায়, রূপ নগরে খেলা করে।
২। বোটা শূন্য পদ্মেরই খবর,
শূন্য ভরে আসিতেছে দ্বিদলের উপর,
তথায় মন ভ্রমরা হয়ে বিভোর, সুধা খায় সে ফুলের পরে।
৩। উল্টা দেশের গাছের নাই পাতা,
ফল ধরেছে আচাম্বু বা তাতে কয় কথা,
আছে রক্ত শূন্য মাংস তথা, দেবতা রয় তার ভিতরে।
৪। ময়ূর সর্পের খেলা চমৎকার,
ডিম্বের দুই ধারাতে আসা যাওয়া করছে বারে বার,
এ দীন বিনোদ বলে বিরাম নাই তার, কয় না কভু কেউ যাহারে।
৬৪ নং গান- তালঃ গড়খেমটা
মূর্তির পূজা করে মন তুই কি পালি।
কত জাকজমকে করে পূজা, শেষকালে গোল্লায় গেলি।
১। মন ভুলানে মূর্তি গড়ে, ভিতরে তার খড়ের বড়ে,
মাটি দিয়ে মাটি করে, রং বেরঙ্গে সাজালি।
মণ্ডা মিঠাই করে জোগাড়, মায়ের সামনে দিলি খাবার,
হল না তোর প্রেমের সঞ্চার, ঢাকঢোলে দেশ মাতালি।
২। মাটির মাকে দিলি শাড়ি, চৌদ্দ সিকার কেলেণ্ডারী,
বৌকে দিয়ে ঢাকেশ্বরী, সেই দিকে নজর দিলি।
মায়ের হাতে ত রল ফাঁকা, আঙ্গুলে ঝুলায়ে দিলি।
৩। যে মা তোর গর্ভে ধরে, খেতে চায় সে বারে বারে,
ধমক দিয়ে অমনি তারে, দূর করে তাড়িয়ে দিলি।
হয় না পূজার পরিপাটি, আসল জায়গায় পল ত্রুটি,
মাটির পূজার হলি মাটি, খাটি বস্তু হারালি।
৪। বিনোদ বলে মনরে আমার, পূজা নয়কো সহজ ব্যাপার,
আলোর কোলে আছে আঁধার, বাহিরে ঘুরে মলি।
মা আছে তোর দেহ ঘরে, চতুর্দলে মূলাধারে,
পূজা করে দেখলি নারে, যোগমায়া মহাকালী।
৬৫ নং গান- তালঃ একতালা
ব্রহ্মজনাতি ব্রাহ্মণ শাস্ত্রে দেখি তাই বলে,
ব্রহ্ম দর্শন না হইলে, কি হবে পৈতা নিলে।
১। পৈতা নিলে হয় দ্বিজবর, এইত দেখি বেদের আচার,
বেদ পঠিলে বিপ্রের কুমার, এই কথা কয় সকলে।
এই দেখি ভাই চরাচরে, ব্রহ্মকে যে জানতে পারে,
জাতির বিচার দেখি নারে, ব্রাহ্মণ হয় সাধন বলে।
২। যাজনিক ব্রাহ্মণের অন্ন, যেজন খায় তার হয় প্রেম শূন্য,
দানের সঙ্গে হয় তার গণ্য, মিথ্যা নয় কোন কালে।
ছুত লেগে যার জাতি মরে, ব্রাহ্মণ হয় সে কোন বিচারে,
দেখে আমার মাথা ঘোরে, আসল কথা যাই ভুলে।
৩। আমি দেখতে পাই চরাচরে, জাতি বিচার নিম্নস্তরে,
সমাজ নিয়ে জাতি গড়ে, চাতুর্জে সমাজ চলে।
বিনোদ বলে অন্ধ যারা, জাতি নিয়ে চলে তারা,
আছে ব্রহ্মময়ী পরাৎপরা, সকলে তাই তার ছেলে।
৬৬ নং গান- তালঃ ঠুংরী
বসে রলি কার আশায় তুই নদীর কিনারায়।
এখন পারঘাটাতে খেয়া নাইরে অন্ধকার ঘনায়।
১। সাথের সাথী যারা ছিল, তারা যে পার হয়ে গেল,
এখন ঘাটের মাঝি লুকাইল, তোরে কে সুধায়।
২। খেলাঘরে ভুলে ছিলি, অসময় তুই ঘাটে আলি,
কর্মদোষে পড়ে রলি, কি হবে উপায়।
৩। কেমন করে যাবি ওপার, একটু পরে আসবে আঁধার,
বন্ধ হবে ঘরের দুয়ার, থাকবি তুই কোথায়।
৪। বিনোদ বলে উপায় নাইরে, প্রাণ খুলিয়ে ডাকরে তারে,
যদি প্রভু কৃপা করে, ঘুচাবেরে তোর পারের দায়।
৬৭ নং গান- তালঃ একতালা
জীর্ণ তরী বোঝাই ভারি, কেমনে যাবি বাইয়া,
মন মাঝিরে ভব নদীর তুফান দেখরে চাইয়া।
১। ভাঙ্গন কুলে বেঁধে তরী, মলি জল সেচিয়া,
ও তোর তরী বুঝি ডুবে যায়রে, কাম তুফান লাগিয়া।
২। দিন কাটালি মিছা কাজে, সন্ধ্যা এলো চাইয়া,
অন্ধকারে ভাঙ্গা তরী, কেমনে যাবি বাইয়া।
৩। স্বতঃ রজঃ তম এই তিনে যোগ করিয়া,
দিয়ে ভক্তির গুড়ায় প্রেমের মাসুল, বাদাও দাও টানিয়া।
৪। বিনোদ বলে ধর পাড়ি, শ্রীগুরু স্মরিয়া,
এবার গুরুর নামটি ভুলে গেলে, মরবি যে ডুবিয়া।
৬৮ নং গান- তালঃ গড়খেমটা
কি যেন হারিয়ে গেছে অজানা পাথারে,
দয়াল, তবু কেন বুক বাধি আশায়।
কি যেন কি আশার নেশায় আমাকে ভুলায়।
১। কি যেন কি বস্তু এলো খেলছি মায়ার খেলা,
ধীরে ধীরে অস্তাচলে ডুবে গেল বেলা।
তবুও কেন বুঝ মানে না, সাথের সাথী কেউ হবে না,
করি শুধু আনাগোনা, কোন মহিনীর মায়ায়।
২। সংসারেতে মায়ার খেলা কত ভালবাসা,
কে যেন ভুলায়ে মোরে জড়ায়ে দিচ্ছে নেশা।
আমার আমার আমার বলে, আত্মতত্ত্ব গেছি ভুলে,
জীবন নদীর স্রোতের জলে, আমারে ভাসায়।
৩। কি করিব কোথা যাব পথ খুঁজে না পাই,
তুমি ছাড়া এ জগতে বান্ধব কেহ নাই।
পথ দেখায়ে দাও মোরে, চলি তোমার সুপথ ধরে,
এ দীন বিনোদ বলে, ভব পারে, নিও তোমার নায়।
৬৯ নং গান- তালঃ গড়খেমটা
ছোট্ট আমার তরী খানি, ভব নদীর মাঝারে, দয়াল চলছি আমি বেয়ে।
কোন মোকামে থাক তুমি, আমায় যাওরে কয়ে।
১। কি করিব কোথায় যাব না দেখি উপায়,
বায় ভাটায় পড়িয়ে তরী ঘুরতেছে গোলায়।
রবি গেল অস্তাচলে, ভাসি শুধু নয়ন জলে,
অন্ধকারে তরী দোলে, কাম কু-বাতাস পেয়ে।
২। দাড়ি মাঝি যারা ছিল যে পথ যে চেনে,
পরাণ পণে তারা শুধু সেই পথে সে টানে।
চারিদিকের টানের চোটে, ভেঙ্গে গেছে হালের বৈঠে,
ঘুরছে তরী তুফান ওঠে, তরী যায় ডুবিয়ে।
৩। তুমি ছাড়া গতি নাইরে ভাবি দিন রজনী,
চরণে কি পৌঁছাইবে এই ভাঙ্গা তরণী।
তুমি ছাড়া এ জগতে, কেহ নাইরে মোর পার করিতে,
এ দীন বিনোদ বলে সময় থাকতে, পার কর আসিয়ে।
৭০ নং গান- তালঃ ঠুংরী
হারে ও মন মাঝিরে, সকাল বেলা তরী দে খুলিয়ে,
অসময়ে খুললে তরী যাবে সন্ধ্যা হয়ে।
১। সাধের জনম গেলরে রঙ্গ রসে ভুলে,
নিরালায়ে ঘুমায়ে রলি মায়া নদীর কুলে,
ডুবল বেলা অস্তাচলে, দেখলি নারে চেয়ে।
২। সন্ধ্যা আঁধার ঘনিয়ে এল রলি কার আশায়,
পরপারের ডাক এসেছে ফুরফুরে হাওয়ায়,
ঐ দেখ ঈশান কোণে মেঘ দেখা যায়, তরী নিবেরে ভাসায়ে।
৩। ভাঙ্গন ঘাটে বাধলি তরী জ্বালা মুখের গায়,
অকালে তোর ডুবল তরী কাম নদীর গোলায়,
এ দীন বিনোদ বলে থাকতে সময়, পারে যা তুই বেয়ে।
৭১ নং গান- তালঃ ঠুংরী
অসময়ে দাঁড়িয়ে আছি ভাঙ্গা হাটের পাশে,
কি লইয়া ফিরিব তোমার দেশে।
আমার হাটের বেলা বয়ে গেছে রঙ্গ আর রসে।
১। ভরা হাটের শেট যারা তার মাল কিনবে,
মোকামে পৌঁছায়ে গেছে সন্ধ্যার আগে বেয়ে,
আমি কেবল রইলাম পড়িয়ে, আপন কর্মদোষে।
২। তোমার দেওয়া পয়সা কড়ি, যা ছিল মোর কাছে,
কাম নগরে রূপের হাটে, সব হারায়ে গেছে,
আমি কেমনে যাব তোমার কাছে, হারায়েছি দিশে।
৩। এই যে সাধের মানব তরী, কাম সাগরে দোলে,
তরণী ভরিয়া গেছে, আমার পাপের ফলে,
আমার বহরের নাও গেছে খুলে, কেহ নাইরে পাশে।
৪। সাথের সাথী যারা ছিল, তারা গেছে চলে,
অসময়ে পড়িয়া দয়াল ভাসি আঁখি জলে,
এ দীন বিনোদ বলে, হৃদয় খুলে, আছি তোমার কৃপার আশে।
৭২ নং গান- তালঃ একতালা (গোষ্ঠ গান)
ব্রজনাথ বিশ্বনাথ ডাকেরে হরি গোষ্ঠের সময় যায়,
আমরা সব রাখালে এসেছিরে, তোর কেন ভাই দেরী হয়।
১। তুই না গেলে গোচারণে, তৃণ খায় না ধেনু গণেরে,
কেবল উর্ধ মুখে চায়,
তারা কি যেন কয় মনে মনে, নয়ন জলে ভেসে যায়।
২। অবোলা সেই পশু জাতি, তোর প্রতি যে কত ভক্তি রে,
ও তা বলব কি ভাষায়,
তারা মুখে হরি বলতে নারে, হাম্বা রবে ভাব দেখায়।
৩। আমরা ত তাই অবুঝ রাখাল, তুই যে মোদের পরম দয়াল রে,
মোদের ভক্তি নাই হৃদয়,
ওরে ভাই বলে তাই দিস না ফেলে, দয়া করে গোষ্ঠে আয়।
৪। সাজাইব রাখাল রাজা, ভক্তি ফুলে করব পূজা রে,
মনে ছিল যে আশায়,
ও ভাই তুই না গেলে গোচারণে, সকল আশা বিফল হয়।
৫। রাখাল গণের কাতর বাণী, শুনে হরি গুণমণি রে,
অমনি গোষ্ঠের পথে যায়,
এ দীন বিনোদ বলে নাই কপালে, বৃথা জনম কেটে যায়।
৭৩ নং গান- তালঃ ঠুংরী
আমি কি দিয়া পুজিব গুরু তোমার ঐ চরণ।
আমার চোখের জল শুকায়ে গেছে, নাই ভক্তি রতন।
১। আশি লক্ষ জনম পরে মানব জনম হল,
তোমার চরণ না পুজিয়া এ জনম গেল।
আমার চিত্ত শুদ্ধ না হইল, পাপে ভরা দেহ মন।
২। কাঁদিতে শিখি নাই কভু তোমার লাগিয়া,
পুজিতে শিখি নাই প্রভু আসন পাতিয়া।
আমি তোমার ধন খোয়াইয়া, হারায়েছি প্রেম ধন।
৩। এ জীবনে করলেম কত অর্থ উপার্জন,
তোমার চরণে কিছু করি নাই অর্পণ।
তোমার লাগি এ পাষাণ মন, কাঁদল না কখন।
৪। ভুল করেছি এ জীবনে তোমায় ভুলিয়া,
চরণে রাখিও আমায় অধম বলিয়া।
এ দীন বিনোদ কাঁদে আকুল হইয়া, আমি বড় অভাজন।
৭৪ নং গান- তালঃ একতালা
আমার মায়ায় ঘেরা পাখীরে আমার প্রেমে পোষা পাখীরে।
ও তুই কি অভাবে গেলিরে ছাড়িয়া,
ও তোর পায়ে ছিল রে প্রেমের শিকল, তাও গেলি তুই কাটিয়া।
১। তোর লাগিয়া কেঁদে কেঁদে ছাড়ি দুঃখের হাই,
ব্যাথায় ভরা উদাস মনে ঘুরিয়া বেড়াই।
আমি তোর সন্ধানে বিজন বনে, বেড়াই শুধু খুঁজিয়া।
২। হৃদয় পিঞ্জরে বসি করতে কত গান,
কত মধুর মিষ্ট কথায় জুড়াতে মোর প্রাণ।
সাধের পিঞ্জর রইল খালি, আলি না আর ফিরিয়ে।
৩। তাতে প্রাণে যখন আমার ওঠে কান্নার ঢেউ,
গোপন মনে কাঁদি আমি জানে না কেউ।
পথ পানে চেয়ে দিন যায়, নিশি পোহায় জাগিয়া।
৪। বিনোদ বলে ভক্তির শিকল দিতেম যদি পায়,
তা হলে কি সেই পাখী আজ ফাঁকি দিয়ে যায়।
আমার কর্মদোষে সব হারালাম, আগে না বুঝিয়া।
৭৫ নং গান- তালঃ একতালা
বিনয় করে বলি তোরে উদ্ভব রে,
আমার ব্যাথিত কেহ নাই।
তুই বিনে আর নাইরে বান্ধব, শোনরে উদ্ভব ভাই।
১। তোরে জানাই অন্তরের কথা, শোনরে মরমের ব্যাথা,
দুঃখ জানাব কোথা,
যে দিক হেরি সেই দিক শূন্য, প্রাণ কাঁদে ভাই ব্রজের জন্য,
এখন নিশি দিনে ছাড়ি হাই।
২। ব্রজ বলে কাঁদে আমার মন, কোথায় সাধের বৃন্দাবন,
কোথা ধেনু বৎস্যগণ,
অন্তরে অন্তর জ্বালা, কোথায় রে সেই গোষ্ঠ খেলা,
কোথায় আমার রাখালগণ সবাই।
৩। মাতা পিতা ব্রজের গোপীগণ, তারা রয়েছে কেমন,
বুঝি করতেছে রোদন,
আর বুঝি হবে না দেখা, কোথায় রে সেই শ্রীদাম সখা,
কোথায় আমার বিনোদিনী রাই।
৪। বিনোদ বলে ব্রজে যাই চলে, সাধের জনম যায় চলে,
ভাসি নয়নের জলে,
সমান ব্যাথার ব্যাথিত পেলে, বলতেম কথা প্রাণ খুলে,
আমি তারে শুধু খুঁজিয়া বেড়াই।