মতুয়াবাদ তথা মতুয়াদের জন্য অশনি সংকেত- পর্ব-২
মতুয়াবাদ তথা মতুয়াদের জন্য অশনি সংকেত- পর্ব-২
প্রথমেই বলে রাখি, যে সব মতুয়ারা শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ মেনে চলতে চান এবং শ্রীশ্রী হরিলীলামৃতের তত্ত্বকে মতুয়া আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছেন, প্রসিদ্ধ মতুয়া গোঁসাইদের জীবনাদর্শকে পাথেয় বলে মনে করেন তারাই প্রকৃত মতুয়া। আমি এই প্রকৃত মতুয়া ব্যতীত বর্তমান সময়ে আবিষ্কৃত কিছু নব্য মতুয়াদের কথা আজ তুলে ধরব।
অবতারবাদে অবিশ্বাসী মতুয়াঃ
এই শ্রেণির মতুয়ারা লীলামৃতের বাক্যকে লঙ্ঘন করে হরিঠাকুরের অবতারবাদকে অবিশ্বাস করে এবং শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে শুধুমাত্র একজন মহাপুরুষ বা সমাজ সংস্কারক বা ধর্ম সংস্কারক প্রমাণ করতে সদা ব্যস্ত। এরা এই অপপ্রমাণের জন্য লীলামৃতকে পর্যন্ত বিকৃত ব্যাখ্যা করতে পিছু পা হচ্ছে না।
বামুনবাদী মতুয়াঃ
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুর কৃষ্ণ ভক্তের বা বৈষ্ণব ভক্তের যে সমস্ত কুটিনাটি বা খুঁটিনাটি বা বিভিন্ন প্রকার অশৌচ দূর করার জন্য চেষ্টা করেছেন, এই শ্রেণির মতুয়ারা সে গুল নিয়েই পুনঃ মেতে উঠেছেন। উপবাস, একাদশী, বার মাহাত্ম ইত্যাদি ঠাকুরের নাম দিয়ে অপপ্রচার করছে। এদিন উপবাস থাক, ওদিন নিরামিশ খাও ইত্যাদি বাহানা শুরু করেছে।
আম্বেদকরপন্থী মতুয়াঃ
এই শ্রেণির মতুয়ারা মূলত আম্বেদকরপন্থী। আম্বেদকর শেষ জীবনে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাই ইনারা ঘুরে ফিরে বৌদ্ধের সাথে মতুয়ার অমোঘ মিল খুঁজে বের করার বিভিন্ন যুক্তি খোঁজে। এবং বৌদ্ধ ধর্মই যে রূপান্তরের মাধ্যমে মতুয়া ধর্ম হয়েছে বলে প্রমাণ করতে চায়।
আগামী পর্বেও আলোচিত হবে নব্য মতুয়াদের শ্রেণি সম্পর্কে।
হরিবোল।