মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ

৩৬ নং
তাল গড়খেমটা
দেখে মতুয়ার খেলা, এবার দেখে মতুয়ার খেলা।
দক্ষিনদ্বারে দিয়ে তালা যম হয়েছে হরি বোলা।।
কেঁদে বলে চিত্রগুপ্ত, আজ হইতে ঘুচল জ্বালা;
ওরে পাপ পুণ্য হল শূন্য, হরি বলে সার করিব বৃক্ষতলা 
কেঁদে বলে শমন দূতে, হাতের দণ্ড ভুমে ফেলা;
লয়ে গলায় বসন, লইগে শরণ, মতুয়ারা দয়ার সাগর হৃদয় খোলা।।
পুজকধ্যানী, কর্মীজ্ঞানী বাহিরে জপে তিলক মালা;
দেখে মতুয়ার ধারা, দুব্ল তাঁরা, আজ হতে তন্ত্র মন্ত্র ঠেলে ফেলা।।
কাজের মতুয়া গোলোক চন্দ্র সিংহের ধ্বনি জিনিয়া গলা;
ও তার ধ্বনি শুনে বিপদ গণে, তরাসে কাম কলি কয় পালা পালা।।
কাম কলির প্রতিজ্ঞা ছিল গৌড় প্রেমে দিব ধুলা;
এবার ঘাটে মাঠে বার উঠায়ে, শেষে মিলাইব কলির মেলা।।
ও তার, সাক্ষাৎ প্রমাণ চাদারদহ জানে যত মেয়ে পোলা;
কতো মারামারি, ব্যভিচারী, তেমনি বার সরা হিজল খেজুর তলা।।
ডেকে বলে তারকচন্দ্র বার দেখে কেউ হসনে ভোলা;
কেন সুধা থুয়ে গরল খাবি, অশ্বিনী ধর পাগলের করণ মালা।।
 
৩৭ নং
তাল গড়খেমটা
এবার শুনলেম মতুয়ার পাড়া, যেয়ে দেখলেম মতুয়ার পাড়া
যত মতুয়া মাতাল হয়ে বেহাল, কাজ করে বেদ বিধি ছাড়া।।
মতুয়া পাড়া উথছে সারা শুনলেম তাঁদের আইন কড়া;
কারুর কুলের গৌরব থাকলে পড়ে, এদলে এসে কেহ হসনে খাড়া।।
আদি মতুয়া ওড়াকান্দি নদীয়ায় ছিলেন শচীর গোরা;
ও সে মায়ের করার শুধব বলে এসেছে ওড়াকাঁদি নিমাই নাড়া।।
কাজের মতুয়া নারিকেল বাড়ি অনুরাগে তনু পোরা;
ও যার হহুংকারে গোলোক লড়ে তার কাছে বাউল গৌড়ে পল ধরা।।
আর এক মতুয়া নারিকেল বাড়ি প্রেমানন্দে মাতোয়ারা
তারে দেখলে ভোলে পুরুষ নারী, নবদ্বীপ ছিলেন তিনি নিতাই নাড়া।।
আর এক মতুয়া রাউতখামার বীর করুণা রসে হয় ভরা;
ওসে মরিলে বাঁচাইতে পারে পাথারে ভ্রমন করে নৌকা ছাড়া।।
আর এক মতুয়া জয়পুরে রয় নবরসে তনু ভরা;
ও যার নাম নিলে হয় শমন দমন, নামটি তার তারকব্রহ্ম রসের চুড়া।।
মতুয়া নামের কি মাহাত্ম্য ইহা নি কেউ জানিস তোরা;
তাঁরা কতক গোপী কতক কপি এ যুগেতে একমত হয়েছে জোড়া।।
অশ্বিনী কয় দিন বয়ে যায়, ধরলাম না সেই মতুয়ার ধারা;
স্বামী মহানন্দের দয়া বিনে, হয়েছি গুরু চাঁদের চরণ ছাড়া।।
 
৩৮।
নং তাল গড় খেমটা
যদি ধরবি মতুয়ার বুলি, যদি ধরবি মতুয়ার বুলি
ত্যজ্য কর সাধন ভজন, দীক্ষা শীক্ষা কপ্নি ঝুলি।।
মতুয়ার বুলি ধরতে গেলে জাত কুলে দে জলাঞ্জলী;
হয়ে পাগল পারা মাতোয়ারা,
হরি বলে কাঁদবি শেষে গলি গলি।।
মতুয়া যারা প্রেমিক তাঁরা, প্রেমানন্দে করছে কেলি;
নিলে মতুয়ার স্বভাব, ঘুচবে অভাব,
হারে, ফুটবেরে তোর কুসুম কলি।।
মতুয়া পাগল, হয়ে বিভোল, প্রেমপানে হও মত্ত অলি;
রলে মতুয়ার করণ সাধন ভজন,
হারে, তুই সন্ধ্যা আহ্নিক ফেলবি ঠেলি।।
মতুয়া নামে, ধরাধামে বহিরঙ্গে দিত গালি;
এবার মতুয়া হয় জগতপুজ্য,
মাধুরজ্য প্রেমের পাত্র প্রাণ পুঁতলি।।
ডেকে কয় তারক রসনা, অশ্বিনী আজ তোরে বলি;
যদি মতুয়া হবি প্রাণ জুড়াবি,
সব অঙ্গে মাখবি মতুয়ার চরণ ধুলি।।


শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free