মহা-মহাপ্রভুর দ্বিতীয় আজ্ঞাঃ (গদ্য)
মহা-মহাপ্রভুর দ্বিতীয় আজ্ঞাঃ
পরস্ত্রীকে মাতৃজ্ঞান করিবে।
পাশব প্রবৃত্তি পরিত্যাগ পূর্বক জগতের সমস্ত স্ত্রীলোককে মাতৃজ্ঞান করাই এই বাক্যের মূল উদ্দেশ্য।
এই মহাবাক্যের জীবন্ত প্রমাণঃ ভগবান শ্রীরামচন্দ্র যখন অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করিয়াছেন, তখন কুল পুরোহিত বশিষ্ঠ মুনি আসিয়া বলিলেন, বৎস শ্রীরামচন্দ্র, অশ্বমেধ যজ্ঞ সস্ত্রীক করিতে হয়, মাতা সীতা এখন নির্বাসনে মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রমে। তোমাকে পুনঃ দার পরিগ্রহ করিতে হয়। নতুবা যজ্ঞ যে অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়।
শ্রীরামচন্দ্র বলিলেন, আর্য্য! আমি কি প্রকারে পুনঃ দার পরিগ্রহ করি, এক সীতা ছাড়া জগতে সমস্ত স্ত্রী যে আমার মা।
তাই স্বর্ণ সীতা তেরী করিয়া যজ্ঞ করিয়াছিলেন রামচন্দ্র। (কথা- প্রভুপাদ শ্রীশ্রীপতিচাঁদ, শ্রীশ্রী অংশুপতি ঠাকুর কর্তৃক লিখিত)।
পাগল হীরামন গোস্বামী প্রেমোন্মত্ত হইয়া মহাভাবে নিজ স্ত্রীকে মাতৃ সম্বোধন পূর্বক, মা! আমাকে বিদায় দাও, বলিয়া চির সন্ন্যাসী হইয়াছিলেন। এতেদ্দশে প্রবাদ আছে যে, তিনি নৌকা ছাড়া জলপথে ভ্রমণ করিতেন। কেহ বলিয়া থাকেন তিনি বিমানচারী ছিলেন এবং জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সর্ব জাতির অন্নাদি গ্রহণ করিতেন। বালক স্বভাবে সতত উলঙ্গ থাকিতেন এবং মৃত মনুষ্য ও গবাদির জীবন দান করতঃ সকলের পূজ্য হইয়াছিলেন।