গান নং ১০৬-১২০
১০৬ নং গান -- তাল ঠুংরী
মাঝি রূপে গুরুচাঁদরে তুমি এস তুমি এস আমার নায়,
আমি ঘোর তরঙ্গে ডুবে মরি কাতরে ত্রিবিনার ঐ মোহনায়।
১। দাড়ী মাল্লা যারা ছিল, তারা তরী ডুবাইল রে, আমি না দেখি উপায়
আমার জীর্ণ তরী ডুবে মরি, কাতরে ডাকি তোমায়।
২। বিশাল নদীর ঘোর তুফানে, ঘুরছে তরী মাঝি বিনে রে,
আতঙ্কে করি হায়রে হায়,
এখন কিবা করি ডুবে মরি, কর তুমি সদ উপায়।
৩। অবুঝ মন বুঝ মানে না, উপায় নাই আর তোমা বিনা রে,
তাই জেনেছি হৃদয়।
এখন তুমি ছাড় হে গুরুচাঁদ, কেহ নাই এই দুনিয়ায়।
৪। ক্রমে ক্রমে সন্ধা হল, বুঝি তরী ডুবে গেল রে,
শিঘ্র এস মোর নৌকায়,
এ দীন বিনোদ বলে ডুবে মলে, কলঙ্ক হবে ধরায়।
১০৭নং গান -- তাল ঠুংরী
হরিভক্তের প্রেমের বাতাস রে বুঝি লাগল না মোর গায়,
ওসে প্রেমের বাতাস লাগলে পরে, জুড়াত তাপিত হৃদয়।
১। হরিভক্ত পরশমণি, হৃদয় ভরা প্রেমের খনিরে,
স্পর্শে পাষাণ গলে যায়।
আমার পাপে ভরা পাষাণ হৃদয়, কি হবে আমার উপায়।
২। আমার ব্যার্থ হল ভবে আশা, যদি না পাই ভক্তের ভাল বাসারে,
জনম যাবে কি বৃথায়,
শুনি হরিভক্তের কৃপা হলে, সব কিছু হয় দুনিয়ায়।
৩। বড় ভুল করেছি এ জীবনে, তোমরা কৃপা কর ভক্তগণেরে
রেখ চরণের ছায়ায়,
আমার ভুলের জীবন ধন্য হবে, হরি ভক্তের করুণায়।
৪। তোমরা কৃপা কর ভক্তগণে ধন্য হবে এ জীবন রে,
চরন ধুলি দাও আমায়,
অধম বিনোদ বলে নাই কপালে, বৃথা জনম কেটে যায়।
১০৮ নং গান ---- তাল ঠুংরী
তারকচাঁদ লিখিয়াছে হরি রস গান,
এই লীলামৃত গ্রন্থখানি মধুর আখ্যান।
১। ভক্তি প্রেম রসে লেখা মধুর কাব্য কথা,
ত্রিতাপ জ্বালা যায়গো জীবের শুনে সেই বারতা,
তার হৃদয় বাড়ে ভক্তিলতা, জুড়ায় তাপিত প্রাণ।
২। গীতি কাব্য লিখিয়াছে মহা সংকীর্ত্তন,
শুনলে জীবের শমন শঙ্কা হবে নিবারণ,
তাঁর ধন্য হবে মানব জীবন, হবে দিব্যজ্ঞান।
৩। তাঁর জীবন চরিত শুনলে পরে হবে প্রেম উদয়,
হরিচাঁদের আসন পাতা তারকের মাথায়,
কেউ দেখতে পেল কবির খোলায়, মাথার পরে অধিষ্ঠান।
৪। ভাব জগতের মহা সাধক, মুখে হরি বুলি,
বাবা বলে শাখা পরে লক্ষ্মীপাশায় কালী,
সেই মানুষ আজ গেছে চলি, কাঁদলে বিনোদ পাবি ক্যান।
১০৯ নং গান - তাল ঠুংরী
মনরে ভোলা নামের মালা গাঁথ,নিরালায় বসে রলি কার আশায়?
বাজিছে শমন ডঙ্কা ঐ শোন শোনা যায়।
১। এ সংসারে পুত্র পরিজন, তারা কেহ নয় আপন,
শুধু মায়ার বন্ধন,
বন্দি রলি মায়া পাশে, কি করিবি দিনের শেষে,
কেন ভুলে রলি বিষয় লালসায়।
২। যার ইশারায় এলি এই ভবে, ও তুই দেখলি না ভেবে,
শেষে তোর গতি কি হবে,
রিপুর বশে মায়ায় ভুলে, সাধের জনম গেল চলে,
ধুলা খেলায় দিন ফুরায়ে যায়।
৩। ষোল আনা চালান লয়ে, কি করিলি ভবে আসিয়ে,
চালান গেল ফুরায়ে,
একা একা শূন্য হাতে কাঁদতে হবে ঘাটে পথে,
কাঁদতে হবে গিয়ে পার ঘাটায়।
৪। হরিনাম বিনে উপায় নাই, অবুঝ মন তোর তাই শুধাই,
হরি বলে কেন্দে ছাড়িস হাই,
হরিচাঁদ এসে করবে কোলে পার করিবে বিনামূল্যে,
অধম বিনোদ কাঁদে হয়ে নিরূপায়।
১১০ নং গান - তাল ঠুংরী
হরিচাঁদের প্রেম বাতাসে জগত মাতিল,
আমার মন কাঁদল না কখন,
সাধের জনম গেল চলেরে, ভবে আমি অভাজন।
১। হরিভক্ত যাঁরা যাঁরা তারাই গেল তরে,
আমি অধম রইলাম পরে এই ভবের পরে,
হরিনামে প্রেম না হল, সাধের জনম বয়ে গেল,
এ জীবনে কি ফল বলো! হলনা সাধন ভজন।
২। সাধুর মুখে না শুনিলাম হরি নামের বুলি,
তাইতে আমার মানব জনম গেল খালি খালি,
মনের ব্যাথা রইল মনে, দিন ফুরাল দিনের দিনে,
হরিভক্তের কৃসা বিনে, বৃথা হল এ জীবন।
৩। এ জীবনে ধুলা খেলায় অন্ত কিছু নাই,
ব্যাথা ভরা হৃদয় খানি কার কাছে জুড়াই,
অবুঝ মনে বুঝ মানে না, করি শুধু আনাগোনা,
মনের ব্যাথা কেউ বোঝেনা, জনম গেল অকারণ।
৪। পাঁচু গোঁসাই ডেকে বলে শোনরে বিনোদ কই,
হরিচাঁদের প্রেম বাজারে কবে হবি সই?
সাধের জনম গেল চলে, কাঁদলিনা তুই হরি বলে,
বন্দি হয়ে মায়া জালে, হারা হলি প্রেম ধন।
১১১ নং গান - তাল গড়খেমটা
ভোলা মন পাগল মন বসিয়া হরি কথা কও,
আমার হরিচাঁদের গুণের কথা জগৎ ভরে জানায়ে দাও।
১। হরিচাঁদের কি গুণ আছে, কত মরা মানুষ প্রাণ পেয়েছে,
কত শত প্রমাণ আছে, আর কত জানিতে চাও,
২। হরিচাঁদের নামের বলে কথা কয় বোবা ছেলে,
অন্ধে চায় চক্ষু মেলে, হরি গুণ গেয়ে বেড়াও।
৩। বোলতলীর খেয়া ঘাটে হরিনামের তুফান ওঠে,
দেখতে পাই বসে তটে, বিনা বৈঠায় চলে নাও।
৪। তাঁর গুণের কথা যায়না বলা, জলে ভাসে হীরা পাগলা,
বিনোদ বলে মনরে ভোলা ঐ চরণে শরণ লও।।
১১২ নং গান - তাল গড়খেমটা
হরিনামের কি গুণ আছে দেখবি কে কে আয়।
ঐ দেখ হরিনামের নিশান ওড়ে শ্ৰীধাম ওড়াকান্দি গাঁয়।
১। যত হরি বোলার দল তারা বলে হরি বল,
হরিনামের মত্ত্ব হয়ে, ঝরে আঁখি-জল,
হয়ে তারা মত্ত্ব মাতাল, প্রেম সাগরে ঢেউ খেলায়।
২। কত জন প্রেমে মাতিয়া ওসে বেড়ায় কান্দিয়া,
বুক ভেসে যায় নয়ন জলে ধূলায় পড়িয়া
ও তার জাত কুলমান গেছে ধুইয়া, চোখের জলে বুক ভাষায়
৩। ঐ নামের তুফান উঠিয়া, সেখানে গেছে ভাসিয়া,
অভিমানী কর্ম্মী জ্ঞানী গেছে ডুবিয়া,
কত পশু পাখি তথায় আসিয়া, হিংসা নিন্দা ভুলে যায়।
৪। ঐ নামে পাগল হীরামন, গোসাঁই মৃত্যুঞ্জয় লোচন,
গোলক তারক মহানন্দ প্রেমের মহাজন,
এ দীন বিনোদের নাই সাধন ভজন বৃথা জনম কেটে যায়।
১১৩ নং গান - তাল গড়খেমটা
আমার হরিচাঁদের হাসপাতালে কে কে যাবি আয়।
ও তোর সকল ব্যাধি যাবে দূরে থাকবেনা শমনের ভয়।।
১। সেখানে কৰ্ম্মচারীগণ, হবে দশ কি বার জন
হীরামন মহানন্দ মৃত্যুঞ্জয় লোচন,
দশরথ আর তারক বদন, হাসপাতাল চালায়ে যায়।
২। তথায় ব্যবস্থা কেমন ও তুই শোনরে অবুঝ মন
হরিনাম মহাঔষধি দিচ্ছে সর্বক্ষণ
তাতে ভক্তি রস করিয়ে মিলন, ভবা রোগ তাড়ায়ে দেয়।।
৩। মাত্ৰ পাচশিকা ভিজিট, তাতে মন করা চাই ঠিক
কাম কামনার পাল্লায় পরে হ’সনেরে বিদিক।
লক্ষ তোর থাকবে যেদিক, কৰ্ম্মেতে সব ফল ফলায়।।
৪। আমার হরিচাঁদ ডাক্তার, তার সাথে লাগাও প্রেমের তার,
অনায়াসে হয়ে যাবি ভাব সিন্ধু পার,
এ দীন বিনোদ বলে মনরে আমার, ভাব না জেনে হলি ক্ষয়।।
১১৪ নং গান- তাল গড়খেমটা
মতুয়ার দলের ডঙ্কা বাজে হরিচাঁদ বলে।
জয় হরিবল উঠছে ধ্বনি কান পেতে শোন হৃদয় খুলে।।
১। ও বাজনার ধ্বনি শুনিয়া পৃথিবী ওঠে নাচিয়া,
থাক মানুষ পশু পাখি বেড়ায় কান্দিয়া।
তারা সবে মিলে ছুঠে গিয়া, ভাসতেছে নয়ন জলে।।
২। ও বাজনার দূর থাকা দায়, গলে পাষণ্ড হৃদয়।
যেমন চুম্বকেরী আকর্ষণে, লৌহ টেনে লয়।
আবার কোলের শিশু নেচে বেড়ায়, মাতৃ স্তন দুরে ফেলে।।
৩। ঐ নামের ধ্বনি শুনিয়া, কলেরা গেল পালাইয়,
যম রাজা পালায়ে গেছে দণ্ড ফেলিয়া।
দেখে তাই হুংকারিয়া, লম্ফ দেয় মতুয়ার দলে।।
৪। গোলকচাঁদ ডঙ্কা মারিয়া, জীবের শঙ্কা ঘুচায়,
তারক বদন মহানন্দ সঙ্গে করিয়া
এ দীন বিনোদ বলে বধির হইয়া, ঐ ধ্বনি শুনল না কোন কালে।
১১৫ নং গান - তাল গড়খেমটা
এক চাঁদের মেলা মিলাইছে ভাই ওড়াকান্দি গায়
তথায় ভব পারে যাচ্ছে সবে, হরিনামের খেওয়া নায়।।
১। বৃন্দাবনের কালাচাঁদ হয়ে নদীয়ার গোরাচাঁদ,
ওড়াকান্দি ক্রছে লীলা হয়ে হরিচাঁদ।
সে যে হরিনামে বানায়ে ফাঁদ, চাঁদের বাজার খুলে দেয়।।
২। হরিচাঁদ বাজার মিলাইছে, গোলকচাঁদ দোকান পেতেছে,
তারকচাঁদ ডঙ্কা মেরে ঢেরা পিটাইছে।
জীবের নাইকো শঙ্কা মেরে ডেঙ্কা, সেই বাজারে উদয় হয়।।
৩। গেলে সেই চাঁদের বাজারে, শমন শংকা যায় দূরে।
হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বললে, ভব রোগ সারে।
ও তার ভয় থাকে না যেতে পারে, ভবনদীর পার ঘাটায়।।
৪। মহানন্দ হীরামন, গোসাঁই মৃত্যুঞ্জয় লোচন
এরাই সবে চাঁদের সুধা করে বরিষণ।
এ দীন বিনোদের নাই সাধন ভজন, ঘরে বসে দিন কাটায়।।
১১৬ নং গান - তাল একতালা
হরিবল হরিবল মনরে আমার
হরিনামে তরে যদি পারের ভাবনা রবে না আর।।
১। হরিনামে মার ডঙ্কা দুরে যাবে শমন শঙ্কা।
গুরু এসে করবে রক্ষা, গুরু পারের কর্ণধর।।
২। হরি হরি হরি বলে ভাস রে দুই নয়ন জলে।
প্রেমানন্দে বাহু তুলে, চোখে ঝরাও প্ৰেম ধার।।
৩। হরিনামে পাগল হীরে,ভেসে বেড়ায় জলের পরে।
মরা গরু বাঁচাইতে পারে, পাতলা গ্রাম প্রমাণ তার।।
৪। গোলক তারক মহানন্দ হরিনামে কি আনন্দ।
বিনোদ ভবে জন্মান্ধ, পড়ে রইলাম ভবের পর।।
১১৭ নং গান তাল ঠুংরী
লীলামৃতের পাতায় পাতায় হরিচাঁদের প্ৰেম উত্থলে।
ভক্তবৃন্দের সঙ্গে করি সদায় প্রেমের খেলা খেলে।।
১। হরিচাঁদের লীলা কথা মধুর ছন্দের আছে গাঁথা।
আমার তারক চন্দ্র রচইতা, ভক্তি রসে লিখেছিলে।।
২। হরিচাঁদের ভক্ত যাঁরা , ভক্তি রসে মাতোয়ারা।
তাদের অনুরাগে তনু ভরা, মুখে সদায় হরি বলে।।
৩। হয় নাই কভু এমন লীলা, ভাষা দিয়ে যায় না বলা।
হরি ভক্তের স্বভাব এমনি পাগলা, কৈবল্য ধন ফেলায় ঠেলে।।
৪। লীলামৃত গ্ৰন্থখানি, ঠিক যেন অমৃতের খনি।
শুনিয়ে এই মধুর বাণী, বিনোদ ভাসে নয়ন জলে।।
১১৮ নং গান - তাল ঠুংরী
ভুল করেছি ও হরিচাঁদ তোমারে ভুলে।
তাইতে আমার মানব জনম গেল বিফলে।।
১। তোমাকে ডাকি নাই দয়াল ভুলে নানান কাজে,
এ জীবন চলিয়া গেল সংসারের মাঝে।
তোমায় ডাকি নাই গো সকাল সাঝে, মন না ঢেকে মনের তলে।।
২। আপন ভেবে পরকে আমি বেসেছি ভালো,
এখন দেখি আমায় ফেলে সকলে পালালো।
আমার ভুলে ভুলে জনম গেলো, ভুলিয়ে মাকাল ফলে।।
৩। জীবন খাতা খুলে দেখে ছাড়ি দুঃখের হাই,
ত্ৰিতাপ জ্বালা জুড়াইতে আরতো কেহ নাই।
শ্ৰীচরণে লাগে দোহাই , চরণে ফেলনা ঠেলে।।
৪। মনে বড় ব্যাথা জাগে চরণে জানাই,
ক্ষমা করে অধমেরে চরণে দিও ঠাঁই।
এদীন বিনোদ বলে আর আশা নাই, ঠাঁই যেন পাই চরণ তলে।।
১১৯ নং গান - তাল ঠুংরী
গুরুচাঁদ তুমি বুকের রক্ত তুমি মোদের প্রাণ।
সমাজ শিক্ষা ধর্মনীতি তোমারই অবদান।
১। বারশত বাহান্ন সালে তিথি পূর্ণিমায়,
পয়লা চৈত্র শুক্রবারে জন্মিল ধরায়।
তুমি কৃপা করে হে দয়াময় অজ্ঞানে দিয়াছ দিব্য জ্ঞান।।
২। তোমায় স্মরিলে প্ৰভু চোখে আসে জল,
পতিত তরাতে তুমি এসেছ দয়াল।
তোমার চরণ করে সম্বল, পেয়েছি আলোর সন্ধান।।
৩। সমাজেতে উঠেছিল কলঙ্কের ঢেউ,
সামলাইতে ওগো দয়াল এলোনাতো কেউ।
তুমি এসে সামলায়ে ঢেউ, রাখলে জাতির মান।।
৪। তোমার এ ঋণ শুধিবারে কি আছে এমন।
তুমিত করুনা নিধি পতিত পাবন।
এদীন বিনোদের নাই সাধন ভজন, কৃপা বারি কর দান।।
১২০ নং গান - তাল ঠুংরী
গুরুচাঁদ রচিয়াছে জাতির ইতিহাস
নমঃ জাতির ভাগ্যকাশে গুরুচাঁদ প্রকাশ।
১। বর্ণবাদের চরম দশায় ছিল এই জাতি,
ঘৃণার থুতকার ভাগ্য ছিল চোশনের লাথি।
ছিল এর চাইতে চরম দুৰ্গতি, ছিল শুধু দীর্ঘশ্বাস।।
২। চণ্ডাল বলে লেখা ছিল গ্রন্থাদির গায়,
গুরুচাঁদ তাই কেটে দিয়ে নমঃ লিখে দেয়।
তারে ভুলে যাস তুই কিসের নেশায়, যে কেটে দিছে বদ্ধ ফাঁস।।
৩। এ জগতে কেউ ভাবে নাই নমঃ জাতির কথা
শিক্ষার আলো দিয়ে গেছে সেই তো জাতির পিতা।
তারে ছেড়ে তুই ঘুরিস কোথা, হয়ে বর্ণ হিন্দুর ক্রীতদাস।।
৪। সমাজ নীতি অর্থনীতি ধর্ম নীতি আর,
সকল নীতি শিক্ষা দিছে গুরুচাঁদ আমার।
এদীন বিনোদ বলে বলব কি আর, হই যেন তার দাসের দাস।।