গান নং ২৫-৩৫
২৫ নং গানঃ তাল-যৎ (সখী উক্তি)
তোরা কে যাবি গৌরঘাটে আয় চলে।
সখী সকলে যাই সবে মিলে, আমার মন ডুবেছে
গৌর ঘাটে প্রেম বন্যার কল্লোলে।
যে দিন গৌরচাঁদ উদয় দেশে, গৌর প্রেমের বন্যা এসে,
সুরধনী যায় গো ভেসে, অদ্বৈত প্রেম হিল্লোলে।
নিত্যানন্দ প্রেমের স্রোতে, বহিতেছে অবিরত,
দুঃখী তাপী ছিল যত, ভাসাইল এককালে।
যে দিন শান্তিপুরের ঘাটে বসে, সীতা মা নেয় কলসে কলসে,
অচ্যুতানন্দ খায় এসে, সীতা মার কোলে।।
ডুবু ডুবু হয় অম্বিকা, নবদ্বীপ আদি এক চাকা,
আর কার নাই লেখা জোকা, পাথারে সাঁতার খেলে।।
একদিন ঢেউ লেগে শ্রীবাসের বাড়ি, উঠল তুফান মটকা ফুঁড়ি,
শ্রীবাসের শাশুড়ি বুড়ি, তরাসে পলায় ডোলে।
পলায়ে কি বাঁচিতে পারে, ডুবাল জগা মাধারে,
বুড়ি লাগে কোথাকারে, প্রেম বন্যায় ভাসালে।।
একদিন পাক পড়ে কাটোয়ার ঘাটে, প্রেম বন্যা উথলে উঠে,
ঠেকে গোদাবরী তটে, বিদ্যানগর ঢেউ খেলে।
বান ডেকে রসরাজ সিন্ধু, জোয়ার দিল রামানন্দ,
ষাঠি বর্ষে মকরন্দ, ভাঙন লাগিল উৎকলে।।
আমার গোঁসাই গুরুচাঁদের বাণী, সেই মানুষ এল এদানী,
প্রেম বন্যায় ভাসায় অবনী, হীরামন তায় ঝাঁপ দিলে।
ডুবিল গোলকচাঁদের তরী, তারকের বিলম্বভারী,
মহানন্দ কয় আয় ডুবে মরি, সবে হরিচাঁদ বলে।।
২৬ নং গানঃ তাল-যৎ
তোরা দেখসে এক সোনার মানুষ এসেছে।
মানুষ কোন দেশে ছিল কার কাছে।।
এত বিধির গঠন নয় গো কখন, মানুষে মানুষ মিশেছে।।
সখী ছিল মানুষ যার হুজুরী, করেছে তার কি ধন চুরি,
হয়ে ছিল ফেরয়ারী, এমন জ্ঞান হতেছে।
শেষে পায় ধরে করেছে রফা, তাইতো দিয়ে অঙ্গ ঝাপা।।
সে দিয়ে তার রূপের ছাপা, দাগ দিয়ে ছেড়ে দিছে।।
যেন বড় মানুষের নিশানা, বৈভবের অভাব ছিল না,
তার বুঝি কিছু দিল না, ভাবে বুঝা গিয়েছে।
উহার সর্বস্ব নিয়াছে কেড়ে, দাগ দিয়া দিয়াছে ছেড়ে,
মনাগুণে যাচ্ছে পুড়ে, জুড়াতে না পারতেছে।।
মানুষ পুরুষ কি প্রকৃতি ছিল, তার নিদর্শন নাহি হ’ল,
অন্তর ওর কালো কালো, যেন ঝলক দিতেছে।
ভুলাইল পুরুষ নারী, শাক্ত শৈব ব্রহ্মচারী,
সবে বলে হরি হরি, মানুষের জন্যে কাঁদতেছে।।
সখী যে দেখে ছিল এ মানুষ, খেয়েছে সে দেশের মানুষ,
তাইতে উহার মনের মানুষ, এ শাস্তি করে দিছে।
এ দেশ কি ও রাখবে বাকী, এই সময় চল যাই গো সখী,
আর কেন সই কুলে থাকি, কুলে কি আর কুল আছে।।
আমার হরিচাঁদ সেই প্রেমের মানুষ, বিশুদ্ধ সহজের মানুষ,
কলির মানুষ করতে মানুষ, মানুষের করণ দিতেছে।
গুরুচাঁদ তার করণধারী, গোলকচাঁদ চরণবিহারী,
মহানন্দ প্রেম ভিক্ষারী, তারক কাঁদে মিছে।।
২৭ নং গানঃ তাল-যৎ
সখী এল এক সোনার মানুষ কাটোয়ায়
ও তার রাঙ্গা পায় কোটি চাঁদ উদয়
হবে এই মানুষ সন্ন্যাসী নাকি, সখী তোরা দেখসে আয়।
আমি গিয়াছিলাম জল আনিতে, ঘোমটা খুলে যায় দৈবেতে,
দেখে সে রূপ কটাক্ষেতে, স্পর্শিল আমার হৃদয়,
আর পারিনে ঘোমটা দিতে, মন সরে না গৃহে যেতে,
মনে গেছে তার রূপের সাথে, ফিরান হয়েছে দায়।।
তার কিসের অভাব ছিল ঘরে, সন্ন্যাসী হয় তারই তরে,
কোন প্রাণে ভারতী তারে, সন্ন্যাসী বা করে দেয়,
কোন অভাগীর হৃদয়ের ধন, সে কি বেঁচে আছে এখন,
ছেড়ে দিল কিসের কারণ, কেমনে তার কঠিন হৃদয়।।
না হয় আমরা তারে লয়ে আসি, শ্রীচরণে হব দাসী,
ঘরে বসে দিবানিশি, রাখব হৃদি পিঞ্জিরায়,
যদি না ফিরাতে পারি, তার সঙ্গে সহচরী,
হব না হয় বনচারী, নাই আর গুরু জনার ভয়।।
কাঁদে হা কৃষ্ণ! হা কৃষ্ণ বলে, বক্ষ ভাসে নয়ন জলে,
এ নবীন বয়সের কালে, কেন এ ভাবের উদয়,
কান্না দেখে কেঁদে মরি, বনে কাঁদে করী হরি,
হরির গলা ধরে করী, ধুলায় গড়াগড়ি যায়।।
সখী এ মানুষ যে দেশে ছিল, সে দেশের মানুষ কি বল,
কেমনে গৃহেতে রল, পাষাণ বিদরে যায়।
আমার গোলকচাঁদ না সইতে পেরে, প্রাণ দিল হরিচাঁদেরে,
মহানন্দ কেঁদে ফেরে, তারকের আর নাই উপায়।।
২৮ নং গানঃ তাল-একতালা
আমার মন নিল যে জন হরে, পাই কোথায় তারে।
আমি তারি দাসী দিবানিশি সইরে,
আমার তার জন্যে নয়ন ঝরে।।
অরুণ নয়ন যার ভুরু বাঁকা, হায়ে পায়ে উর্দ্ধ রেখা,
যেন চাঁদ হিঙ্গুল মাখা, হ’ল কি ক্ষণে তার সঙ্গে দেখা সইরে,
নিল সেই হ’তে পাগল করে।।
আমি গৃহী কি বনচারী, সন্ন্যাসী কি ফকিরী,
কিছু বুঝতে না পারি, আমি কি করিতে কিনা করি সইরে,
আমি চিনতে নারি আমারে।।
যত ধর্ম কর্ম জগতে, সাধন ভজন সাধুতে,
করে বহুবিধ মতে, আমার মন মজেনা তার কিছুতে সইরে,
কেবল চায় সে প্রাণনাথেরে।।
তোরা গৃহে যেতে বলিস সই, কি ধন লয়ে গৃহে রই,
আমার সাধনের ধন কই, বুকে ধানটা দিলে হয় পুড়ে খই সইরে,
তোরা দেখনা আমার বুক ধরে।।
মহানন্দ কয় মানুষ রতন, পেল গোলক হীরামন,
তারা জুড়াল জীবন, তারক নাই তোর সাধন, করগে রোদন,
হায়রে, গুরুচাঁদের চরণ ধরে।।
২৯ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
সখীরে গোপীর ভজন বিষম যাজন হবে না তা,
কারা করল সাধন, চাইনে সে ধন, থাকগে ও সব পুরাণ কথা।
যে জনা মনোচুরি, করেছে সহচরী,
সে বিনে ঘুচাবে মনের ব্যাথা।
আমি বনে বনে কেঁদে বেড়াই, মনের মানুষ পাইনে কোথা।।
ছিল তার অরুণ নয়ন, চাঁদ যিনি চন্দ্র বয়ান,
সে বিনে জীবন মরণ সমান কথা।।
তারে যে ধরেছে তারি কাছে, বলছে আপন দুঃখের কথা।।
ছিল তার মলিন বসন, এক বস্ত্রা নারী যেমন,
দীনহীন কাঙ্গালের মত গলায় কাঁথা।
দিলাম তারে হেরে সব বিসর্জন, সাধন ভজন কুলশিলতা।।
যেমন চাতক চাতকী, নবঘন জলের ভুকি,
অন্য জল দেখলে সে কি নোয়ায় মাথা।
যেমন সতীর গতি প্রাণ পতি, বিনে মরে পতিব্রতা।।
সে মানুষ কোন মানুষে, স্বরূপে আছে মিশে,
তারক তার পায় না দিশে, সে রূপ কোথা।
মহানন্দ বেড়ায় সেই রূপ আশায়, স্বরূপ শক্তি হৃদয় গাঁথা।।
৩০ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
তোরা কেন গৌর বলিস কেঁদে ফিরিস
পুড়ে মরিস প্রেমের পোড়া
ও নাম লোভ মেটে না ক্ষোভ ছোটে না,
গৌর প্রেমের এম্নি ধারা।।
জানিস না ঐ যে গৌর ছিল, মধুর বৃন্দাবনের কাল ছোড়া।
নারী মন করে চুরি, সাধু ভারী, হয়েছে বৈরাগীর গোঁড়া।।
ছিল ও ব্রজের বালক, রাধার খাতক, রাই পদে বিক্রীত সারা,
দাসখতে নাম লিখিয়ে, দায়িক হয়ে, শোধ দিল কই তার এক কড়া।।
চিরকাল জানি ওটা, স্বভাব শঠা, শিকলি কাটা না লয় পড়া।
চাউল ছোলা খেয়ে মিঠে, ঠোটে ঠোটে, উড়ে পলায় না যায় ধরা।।
গোকুলের শ্যাম শুকপাখী, সুখের পাখী, পায় ছিল প্রেম শিকলি পরা,
শিকলের কল খসায়ে, এল ধেয়ে, আর গেল না গোয়ালপাড়া।।
সইরে গোলকচাঁদ, এই হরিচাঁদ, গোলকেরচাঁদের দুঃখ পাশরা,
চাঁদে চাঁদে মিশে গেল, তারক হ’ল, সে চাঁদ বিনে ছন্নছাড়া।।
৩১ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
আমার অন্তর যায় জ্বলে,
সখী তোরা ভাবিস কি, আমি কাঁদি কি, গৌর পাব বলে।।
কে এসে অন্তরে কাঁদায় আমারে, ভাসায় নয়ন জলে,
আমি তারে পেলাম কই, জ্বলে ম’লেম সই, গৌর প্রেম বিষানলে।।
গৌর বলিয়া কাঁদিয়া মাতিয়া, কে কোথা কি ভাবে বলে,
আমার দেখিতে শুনিতে, সময় বহিতে, সময় নাই সময় কালে।।
গৌর বলিব পাব কি না পাব, কোন অভাগী ভাবিলে,
আমার মনের মানসা, গৌর পদে আশা, জিহ্বার লালসা কি ভুলে।।
গৌর বলিয়া যে জন কাঁদিল, তারে ভুলিল কোন কালে,
তবে কেন গৌরহরি, কাঁদে ন’দেপুরী, রাধাঋণ শোধিব বলে।।
ত্যজিয়া ভুলোকে গোঁসাই গোলক, গৌরপদে দাসী হলে,
কেন্দে মহানন্দ কয়, ওরে তারক আয়, কান্দি হরিচাঁদ বলে।।
৩২ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
কান্দিলে কি গৌর পাবি, তাইতে ভাবি, কে না কান্দে গৌর বলে,
লক্ষ্মীরে করিলে বিয়ে, তায় কান্দায়ে, এককালে প্রাণে বধিলে।।
নিষ্ঠুরের শিরোমণি, গৌরমণি, রমণী কান্দায়ে এলে।
ব্রজে ওর মা যশোদে, ম’ল দেখে, নন্দ কেন্দে অন্ধ হ’লে।।
মন প্রাণ স’পে দিয়ে, গোপের মেয়ে, কত না কান্দায়ে ছিলে,
নিষ্ঠুর যায় ফাঁকি দিয়ে, নিদয় হয়ে, আজ যাব কাল আসব বলে।।
ষোল ‘শ আট রমণী, করলে ধনী, দ্বারকায় ঐশ্বর্য লীলে।
তাদের ত্যজ্য করে, দৈত্যে হরে, জ্বালায় জ্বলে পাথর হ’লে।।
তোমরা দুঃখ জান কিরে, জানকীরে কত না কান্দায়ে ছিলে।
দুঃখ না সইতে পেরে, মাটি ফেড়ে, মাটির সঙ্গে মাটি হ’লে।।
কান্দে ওর বিষ্ণুপ্রিয়ে, অনাথ হয়ে, তার দিক কই ফিরে চে’লে।
কান্দে ওর শচীমাতা, তোরা কি তা, কান্দলে পাবি কোন কালে।।
সেই মানুষ কোথায় আছে, ভক্তের কাছে, মিশে গেছে ষড় দলে।
গোলকচাঁদ সেই কমলে, সাঁতার খেলে, তারক কান্দে ভবের কুলে।।
৩৩ নং গানঃ তাল-
সাধ ছিল যাব ঐ গৌর ঘাটে।
কপাল গুণে ঘটে, ঐ কপালে, কই ঘটে।।
মানুষের আগমনে, প্রেম বন্যের বহে স্রোত,
কি হিন্দু কি যবন ভাসায় জগত
হয়ে সে বন্যের চলাচল, ভেসে যায় নীলাচল,
আমার মনাচল, শীতল হ’ল না, জ্বলে যায় ত্রিতাপ উঠে।।
মানুষ বিরজার পর ছিল, সে বিরজার কুলে
গোকুল মজায় এসেছে এ কুল,
আগে মজায় কুলজার কুল, কত বা উচ্চকুল
কুলে রয় না কুল, শুধু কুল যায় না কলঙ্ক রটে।।
পাড়ায় আটকুঁড়িয়া আমায় মন্দ কয় জুটে,
আমার যাওয়া হবে না সই সেই ঘাটে
আমার ঘরের কেউ ভাল নয়, পরের দোষ দিব কায়
দুঃখে দহে কায়, গুরুজনার ভয়, কইতে নারি বুক ফাটে।।
পূজতেম মঙ্গলচণ্ডী, বিষহরি এ দেশে।
তাদের ভাসালে গৌর আমার প্রেম রসে।।
আমার হবে কি মঙ্গল জয়, পুণ্যের কি হবে ক্ষয়
হবে ধর্মের ক্ষয়, থাকতে পুণ্যের লেশ, প্রেম প্রাপ্তি, নাহি ললাটে।।
ও সে ঘাটের রাজা গুরুচাঁদ বসে তটে
লোভী কামীদের যেতে দেয় না তার নিকটে,
গোঁসাই গোলকচাঁদ ডাকে আয় কে যাবি ত্বরায়
সময় বয়ে যায়, কেবল তারকের যেতে সাধ্য নাই মোটে।।
৩৪ নং গানঃ তাল-একতালা
যদি হবি প্রেম তীর্থবাসী, প্রেম অভিলাষী,
(এবার) গোঁসাই তোরে দয়া করে, নাম রাখবে সেবাদাসী, (প্রেমের সেবাদাসী)।।
যদি মনের মত হয় কাম, কিসে পুরবে মনস্কাম
কাল হল তোর কাম, কর সেবা কাম
পুষ্প বানায়ে কামিনীয় কোলে বসি, প্রেম জলে ভাসি।।
যদি গুরুপদে হয় আর্তি, ঘটবে মধুর রতি,
দেখবি রসরাজ মূর্তি, কর বীজ হীন প্রেম পিরীতি
ভাসিয়ে দাও একাদশী পূর্ণ পৈশাচী।।
কাজ কি আর সাধ্য সাধন, করে আত্ম নিবেদন,
চিনে নেও আত্মার মন, কাজ কি করে তীর্থ ভ্রমণ
কাজ কিরে গঙ্গাবাসী, গঙ্গাতুলসী।।
(এবার) ছেড়ে দেও গো ফলাফল, কল্পতরু কল্পফল,
কাজ কি মোক্ষ ফল, হও সদানন্দ হাল ছেড়ে বেহাল
সামাল ওর দিবানিশি, কিবা বাঞ্ছসি।।
৩৫ নং গানঃ তাল-
কার জন্য এ মানুষ হয় সন্ন্যাসী।
বাণী লক্ষ্মী সদাই যার পায় হতে চায় দাসী।।
কাঁদে কৃষ্ণ বলে সেই কৃষ্ণ যে এই মানুষ
বর্তমান মানুষের ও সেই মানুষ
এ যে ব্রহ্মার ব্রহ্মণ্যদেব, ব্রহ্মণ্য দেবের দেব
এ নয় অন্য দেব, সে যে দেবের দেব, যার জন্য শ্মশানবাসী।।
মানুষের কান্না দেখে, কাঁদে ঐ বনের পশু
তোরা ও কাঁদিস কেন কোলের শিশু
শিশুর শৈশবের কি জ্বালা, এ মানুষের জ্বালা
এত অশেষ জ্বালা, কেঁদে তোরা, আর কাঁদাসনে গো বিদেশী।।
বুঝি হৃদি রতন হারায়ে পথের কাঙ্গাল
মন পোড়ায় হয়েছে আউলা মাতাল
বুঝি সেই জ্বালায় পায় না স্থির হইয়ে ঘরের বাহির
দিতেছে জিগির, ফকির হয় বুঝি, রাধাকুণ্ড তীরবাসী।।
ও যার লক্ষ্মীদাসী, তোরা হবি তার দাসী
দাসীর জন্যেতে মানুষ উদাসী।
ও কারো নিষেধ মানে না,
ধরা দিবে না, তোরা কার জন্যে কাঁদিস (ও) কলঙ্কের রাশি।।
বলে মহানন্দ অধর ধরায় থাকে সাধ
ধরগে যা গুরুচাঁদের শীতল পদ
গোঁসাই গোলকচাঁদ জুড়ায় মন, দিয়ে কুল বিসর্জন
পেল মানুষ রতন, সে ধন না পেয়ে, তারকের মন উদাসী।।