বন্দনা (সংযোজিত ও বিস্তারিত)
বন্দনা (সংযোজিত ও বিস্তারিত)
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরী দাস।।
জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।
পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রী গোলোকচন্দ্র জয় শ্রী লোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।
জয় জয় যশোমন্ত প্রভুর জনক।
জয় জয় রামকান্ত ভুবন পারক।।
জয় ভক্ত শিরোমণি গোবিন্দ মতুয়া।।
যার গানে হরিনামে বহি যায় ধুয়া।।
জয় বন্দ মহেশ ব্যাপারী গুণধাম।
যাহার মস্তকে নরহরি শালগ্রাম।।
জয় জয় বদন ঠাকুর গুণধাম।
উৎসবে ব্যসনে যার মুখে হরিনাম।।
শয়নে স্বপনে কিংবা মলমূত্র ত্যাগে।
যার মুখে হরিনাম উচ্চৈঃস্বরে জাগে।।
জয় জয় ভক্ত প্রধান রামচাঁদ।
যিনি হন মহাপ্রভু নিত্য পরিষদ।।
জয় জয় ভজরাম চৌধুরী সুজন।
জয় স্বরূপ চৌধুরী মঙ্গল দুজন।।
কুবের বৈরাগী রামকুমার ভকত।
দন্তে তৃণ ধরি বন্দি হয়ে পদানত।।
জয় চূড়ামণি বুদ্ধিমন্ত দুটি ভাই।
হরিচাঁদে পেয়ে আনন্দের সীমা নাই।।
জগবন্ধু বলে ডাক ছাড়িত যখন।
সুমেরুর চূড়া যেন হইত পতন।।
অনন্ত প্রভুর লীলা অনন্ত ভকত।
বিধি অগোচর লীলা শুলীন্দ্র অজ্ঞাত।।
পূর্বেতে কড়ার ছিল মাতৃ সন্নিধানে।
করিবেন শেষ লীলা ঐশান্য কোণে।।
সেইহেতু ওঢ়াকাঁদি শেষলীলা কাজ।
পয়ার প্রবন্ধে কহে কবি রসরাজ।।
(জয় জয় শান্তিদেবী জগৎ জননী।
জয় মাতা সত্যভামা শ্রীগুরু ঘরণী।।
জয় শ্রীসুধন্যচাঁদ সভ্যভামাত্মজ।
প্রেমানন্দে হরিগুরু শ্রীপতিচাঁদ ভজ।।
জয় উমাকান্ত প্রভু কনিষ্ঠ তনয়।
জয় শ্রীশশী উপেন্দ্র সুরেন্দ্রের জয়।।
জয় চিরকুমার ডক্টর ভগবতী।
আশৈশব গুরুচাঁদ পদে যার মতি।।
জয় শ্রীপতিচাঁদ, মাতা মঞ্জুলিকা।
জয় জয় হরিলীলা ভক্তি প্রীতি শিখা।।
জয় শ্রীসতীশ, প্রমথ, মন্মথ জয়।
শ্রীগুরুচাঁদের পুত্র পৌত্রাদির জয়।।
বন্দি পদাম্বুজ নিত্যঃ-জয় অংশুপতি।
জয় শচীপতি, জয় হিমাংশুপতি।।
বন্দি এ তিন প্রভু শ্রীপতিচাঁদাত্মজ।
হরিবংশ মাতা ঠাকুরানীগণ ভজ।।)