মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

গান নং ২১~৩০

গান নং- ২১
আমার জীবন গেল কাঁদি কাঁদি, নিয়ে চল ওড়াকান্দি।
আর যেন না যাই কোথাও, শ্রীচরণে রাখ বান্ধি।
 
স্বয়ং হরি উদয় হল, ওড়াকান্দি লীলা করল, 
সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থ বলে, গণ্য হল অবনী মধ্যি।
 
দেব, মনুষ্য, গন্ধর্বের গণে, ওড়াকান্দি যেতে বাঞ্ছা মনে,
হর-পার্বতী উদয় যেখানে, করতে সবাই আত্মশুদ্ধি।
 
ওড়াকান্দির কামনা সাগরে, সব কামনা পূর্ণ করে,
হরি বলে নামলে নীরে, ঘুচে যায়রে ভব ব্যধি।
 
এক ওড়াকান্দি গেলে, সর্বতীর্থ দর্শন মেলে,
হরিচাদেঁর চরণ তলে, বন্ধি তারা নিরবধি।
 
মন, হইও না আনমনা, বৃন্দাবনের এই ভাবনা, 
ওড়াকান্দি যেতে বাসনা, অন্তরে নিরিখ রাখ বান্ধি।
 
গান নং- ২২
রাখলে হরি মারবে কে?
এই প্রত্যয় সবাই রাখ, দুঃখ কষ্টে আপন বুকে।
 
যশোরের কেশবপুর গ্রামে, ভক্ত ছিল এক হরিপাল নামে,
তারে দর্শন দিয়ে করলে ধন্য, সেই হরিচাদঁ ছবি আঁকে।
 
ভবি ব্যাধি বন্ধন ঘোচে, মুখে ঔষধ না রোচে,
হরিনামে মরে বাঁচে, এই বিশ্বাস মাথায় রাখে।
 
বাওয়াল করিবে বলে, সুন্দর বনে পাঠাইলে,
গদাইকে সঙ্গে দিলে, এ লীলা আর বুঝবে কে?
 
বাদায় নৌকা ডুবাইলে, বিপদে ফেলে হরিপালে, 
গদাই নৌকা তুলে দিলে, ঘোর রাত্রে স্বপ্ন দেখে।
 
গদাইয়ের মতি ভ্রান্ত, মনে বাঘের বার্ষিক বৃত্তান্ত,
ছল করি বাঘে দিবে এ ভক্ত, এই চিন্তা মাথায় রাখে।
 
ধর্ম পিতা ধর্ম ছেলে, গদাইয়ের মনে ছলনা দিলে,
লোভ দেখাইয়ে হরিপালে, নিয়ে গেল গহীন চকে।
 
ব্যাঘ্রে ডেকে বলে সেজন, মানসিক করেছি অর্পণ, 
হরিপালে করে বর্জন, চালান মন্ত্রে ব্যাঘ্রে ডাকে।
 
এই বিপদে পড়ে হরি, উচ্চৈঃস্বরে ডাকে হরি,
হরি এল হরির স্কন্ধ 'পরি, অভয় দিল হরি তাকে।
 
ব্যাঘ্র এসে গেল ফিরে, আক্রমিল গদাইরে, 
হরিভক্তে হিংসা করে, পড়ল বিষম বিপাকে।
 
দয়া করে গদাইর প্রতি, হরিপালে করিয়ে উক্তি, 
জানাইয়ে নাম শক্তি, বাঁচাইলে সে গদাইকে।
 
বাদা হতে ফিরে ঘরে, ওড়াকান্দি গিয়ে পরে, 
গুরুচাদঁ পদে পড়ে, সব বৃত্তান্ত বলে তাকে।
 
মনোবাঞ্ছা হবে পূর্ণ, হরিনাম পরিপূর্ণ, 
রাখ ভক্তি হরির জন্য, হরিপালে কয় গুরুচাদঁ ডেকে।
 
তারক চাঁদের দয়া ছিল, হরিনাম শিখাইল,
কর্মদোষে ভ্রান্তি হল, বৃন্দাবনে বাঁচাবে কে?
 
গান নং- ২৩
তোমার লীলা বোঝা ভার, 
পথে নামাও সর্বশান্ত করে, তুমি তুলে লও বুকে আবার।
 
তোমার নামে কাঁদল যে জন, কাঁদাও তারে সারা জীবন,
ভালবাসে কি না বাসে তোমায়, পরীক্ষা কর অনিবার।
 
অহঙ্কারে মত্ত যেবা, করে না তোমার সেবা,
তারে সুখে রাখ অনুক্ষণ, তোমার এ কেমন বিচার।
 
তোমার এ ভুবনে কেন, মানুষ মানুষে বিভেদ হেন,
কারে দিলে উচ্চ আসন, কারে দিলে ব্যথার পাথার।
 
এই অবিচার কর যদি, ভেঙে দিব বিধির বিধি,
থাকতে সময় কর নিজেকে, কর সত্যে সংস্কার।
 
মালিক বলে ডাকি তোমায়, উচিত বিচার কর সবায়,
বাঁও লাগে না বৃন্দাবনের নায়, পায় না কেন চরণ তোমার।
 
গান নং- ২৪
ভক্ত সঙ্গ কর রে মন, ভক্ত সঙ্গ কর
ভক্ত আশিস মাথায় ল'য়ে, শমন শঙ্কা হর।
 
শ্রীঅদ্বৈত ভক্ত ছিল, হরিবোলে হুঙ্কার দিল, 
সেই হুঙ্কারে নিমাই আসিল, জগত প্রেমে ভাসাইল।
লোচন গোঁসাইয়ের আর্তি শুনে, ক্ষীরোদ হরি হরিচাদঁ নামে,
নেমে এল এই ভুবনে, সবাই সেই হরিনামটি কর।
 
ভক্ত ছিল গোলোক পাগল, করে গেল জগত পাগল,
গোময় গোলায় আত্মশুদ্ধি, মুখে বলে হরিবোল।
রতি মতি উর্ধগতি, হরিচাদঁ পরম পতি,
যদি প্রেম বাঞ্ছা থাকে মনে, সবে সেই পাগলে ধর।
 
হীরামনের দিব্যজ্ঞান, রামরূপেতে মূহ্যমান,
বাহন বিনে জলে ভাসমান, তার নাই সংসারের জ্ঞান।
হরিচাদেঁর বাক্যে আর্তি, হৃদে ধরে স্বরূপ শক্তি, 
ত্যাগ করিয়ে সমাজ নীতি, শিক্ষা দিল চরাচর।
 
দশরথ গোঁসাইয়ের কাজটি এমন, হরিনাম করতে দুঃখ বরণ, 
সইলেন গোমস্তার কত পীড়ণ, তবু, না ছাড়িলেন চরণ বন্দন।
জগতবাসীর দুঃখ দেখে, আদি ব্যধি নিজ বক্ষে,
চেয়ে নিল মন মানসে, তার সুখেতে দুঃখ হর।
 
ব্রজনাথ পাগলের কথা, বলতে জাগে মনে ব্যথা, 
গুরু ত্যাগী তার বারতা, পেল হরিচাদঁ পরমাত্মা।
মরা গরু বাঁচাইল, হরিনামে পাগল হল,
ত্যাগ করিয়ে জ্ঞাতিবন্ধু, হরিচাদঁ নামে আত্ম হর।
 
ভক্ত ছিল মহানন্দ, হরিনামে পেয়ে আনন্দ, 
জগতবাসীর নিরানন্দ, দুর করিল পিয়ে মকরন্দ।
গোলক চাঁদের ধরে শক্তি, বিতরিল প্রেমভক্তি, 
ধরে তার চরণ পদ্ম, ভক্তি মাগো করি করজোড়।
 
প্রেমিক কবি গোঁসাই অশ্বিনী, হরিনাম দিন রজনী,
কাঙ্গাল হতে চায় পরাণী, গুরুচাদেঁ হরিচাদঁ মানি।
লিখে দিল হরিসঙ্গীত, ভক্তকণ্ঠে হয় গীত, 
পার করিয়ে কুম্ভীরিণী, হরিনামের গুণ এমনতর।
 
কত শত ভক্তবৃন্দে, দিবানিশি চরণ বন্দে, 
বলিতে আমার মন কাঁদে, বন্দি তবু মায়া ফাঁদে।
সকল ভক্ত হইও প্রীত, করিলাম মাথা নত, 
আঁধার যদি আসে পথে, সবাই আলো জ্বেলে ধর।
 
তারক চন্দ্রের মহিমার কথা, পেলাম হরিলীলামৃত গাঁথা, 
গৃহে থেকে সন্ন্যাসীর বারতা, গৃহীজনের পথদ্রষ্টা।
তার কথাটি মনে করে, কত ভক্তে পাড়ি ধরে,
বৃন্দাবনের নাইরে পাত্তা, ঐ চরণে পড়ে মর।
 
গান নং- ২৫
গাও (আমার) গুরুচাদেঁর জয়গান। 
ঘোর অমাতে চন্দ্রভাতি, অরুণ সম জ্বলমান।
 
পিতৃশক্তি আশ্রয় করে, পতিত জাতি উদ্ধার করে, 
বন্দনা গাই করজোড়ে, যেন শক্তি করে সম্প্রদান।
 
বামুন জাতি কুটকৌশলে, রাখত তাদের পদতলে,
গুরুচাদঁ শিক্ষার বলে, ভাঙ্গলেন সেই ব্যবধান।
 
শাস্ত্র লেখে মনের মতো, যেন আমরা থাকি পদানত,
যেন বরণ করি চিরদাসত্ব, তাই বামুনের অবদান।
 
ঘৃণিত চণ্ডাল বলে, গণনাতে তারা লিখলে,
মীড সাহেব সহায়তা করলে, দ্বিজ নমশূদ্র বলে স্থান পান।
 
গুণ-কর্মে বর্ণ ভেদ, তার মাঝে ঘটাল প্রভেদ,
জন্মসূত্রে জাতিভেদ, এই বামুনের অবদান।
 
ছিড়ে ফেলে শাস্ত্রেরই ফাঁস, বেঁচে থাকার দিলেন আভাস,
জাগাইলে ধর্মে বিশ্বাস, ধর্মে করে অধিকার দান।
 
সবাই থাকবে সবার পাশে, একে অন্যে ভালবেসে,
সংঘ বিহীন জাতি নাশে, করলেন দল গঠনের আহ্বান।
 
সর্বকর্ম গৃহস্থ পক্ষে, হাতে কলমে দিল শিক্ষে, 
কৃষি, বাণিজ্য, চাকরি দীক্ষে, সব জায়গাতে বর্তমান।
 
সত্যবাক্য পবিত্রতা, এই মানুষের পরিত্রাতা, 
ঈশ্বর হল পিতা মাতা, সবারে বলেন গুরুচান।
 
ছুঁয়ে দিলে যায়না রে জাত, মানুষ মানুষে নাই রে তফাৎ, 
ঘুচাইয়ে এই উৎপাত, সব মানুষে করলেন সমান।
 
পতিত জাতির এই উপকার, করেনি কোন মহাবতার,
তারক চাঁদের এই ব্যবহার, বৃন্দাবন ভাবে আন।
 
গান নং- ২৬
যারে ভাবলে ঝরে নয়নে বারি, তার মতো আর বান্ধব নাই।
ভাব তার ভাবনা দিবানিশি, সে বিনে আর উপায় নাই।
 
তারে ভাবলে হৃদে হয় আনন্দ উদয়, ঝলক দিয়ে চলে যায় লোকলজ্জার ভয়,
ওরে, তার ভাবনায় নাই পরাজয়, নিত্য নিত্য তারে পাই।
 
মন মানসে রূপ চিন্তা করে, অপরূপ রূপের রূপ ধররে, 
স্বরূপ আসবে অরূপ ছেড়ে, ভাবলে তারে কাছে পাই।
 
সে জন সকল রূপের আঁধার, নামরূপে সে জগতের সার,
কর অকামনা প্রেম অনিবার, বাঁধতে সেই ক্ষীরোদের সাই।
 
যত মত পথ হোক না ভিন্ন, সব সাধকের সাধন জন্য, 
জ্ঞান ভক্তি মতে হবে গণ্য, সাধন সিদ্ধ হওয়া চাই।
 
এক ঈশ্বরের ভিন্ন রূপ, জগত ভরে তার স্বরূপ, 
স্বরূপ ভিন্ন অন্ন রূপ, আর বা কোথায় পাই।
 
যে রূপে যে হয় দৈন্য, পাগলপারা তার জন্য, 
সেই রূপে তার জীবন ধন্য, দর্শন বিনে কাঁদে সদাই।
 
মন করে ঠিক রাখ নিরিখ, তবে খুঁজে পাবে সঠিক দিক,
গুরুর বাক্য রেখে ঠিক, কার্য করে যাওয়া চাই।
 
তারক চাঁদের দয়া বিনে, উপায় নাই এ ঘোর দুর্দিনে,
বৃন্দাবন চল নিজ নিকেতনে, সুখ দুঃখের ছেড়ে বালাই।
 
গান নং- ২৭
বাবুজী, লোকেদের ভাল করতে নাই।
বললে ভাল, শুনবে ভাল, কাজের বেলা কারে পাই।
 
বাঙ্গালীর স্বভাব এমন, মনে মুখে ভিন্ন বচন,
মুখেতে দিয়ে মিষ্টি ভাষণ, সরল লোকের মন ভুলাই।
 
ডেকে ডেকে নিবে দলে, কাজ ফুরালে দুরে ঠেলে, 
স্বার্থে যদি আঘাত দিলে, আর কিছুতে রক্ষা নাই।
 
আরেক দল ভদ্রলোকে, ভাল দেখেনা কোন চোখে,
দিয়ে দড়ি নিজ নাকে, পরের ক্ষতি করা চাই।
 
সদাই ভাবে বসে বসে, পরের ক্ষতি হবে কিসে,
হৃদয় ভরা বিষয় বিষে, ভাল চিন্তা মাথায় নাই।
 
জগতবাসীর কল্যাণ তরে, যারা সময়ে হাল ধরে, 
তাদের বাঁধা প্রহরে প্রহরে, ভাল কাজে সাহায্য না পাই।
 
ভাল মনে পাশে যাবে, ভাবে বিপরীত ভাবে,
সাহায্য না করলে তবে, তোমার মতো খারাপ নাই।
 
তু বসুধৈব কুটুম্বকম, শক্তের ভক্ত নরমের যম,
গোল্লাই গেছে সত্য ধরম, চরমকালে সুযোগ নাই।
 
বৃন্দাবন শুধুই খোঁজে, নিজের ভালো নাহি বোঝে,
বোকা বলে তাই সমাজে, তার পরিচয় পাই।
 
গান নং- ২৮
চল, নিবৃত্তিপুরে যাই।
যেথানে, চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব নাই, 
ভোগ বিলাসের স্থান নাই, 
প্রেমার্ণবে ডুবে ডুবে, আনন্দের গান গাই।
 
সূক্ষ্ম জ্ঞান, সূক্ষ্ম ধর্ম, জেনে বুঝে মূল মর্ম, 
বিচার করে কর্মাকর্ম, সূক্ষ্ম পথে চলা চাই।
 
ষড়রিপুর কোপানলে, পড়িস নারে কোন ছলে,
আত্মমুখী তারা হলে, ভয়ের তবে কিছু নাই।
 
দুষ্ট গরু হালের দিলে, শান্ত থাকে হালের বলে,
এদিক ওদিক করতে গেলে, তারে ছাড়াছাড়ি নাই।
 
মুক্তি অতি তুচ্ছ জ্ঞান, কিছু নাই প্রেমের সমান,
যদি না ইষ্টে পান, মুক্তি বাঞ্ছা যাঞ্চা নাই।
 
নিজেই নিজের নিক্তি ধর, সূক্ষ্ম ভাবে ওজন কর, 
বিবেক বন্ধুকে সাক্ষী কর, সমান সমান হওয়া চাই।
 
পান কর না হলাহল, উর্ধরেতা গোপীর বল, 
মুখে মাত্র হরি বল, প্রেম সায়রে তরী ভাসাই।
 
তারক চাঁদের বাণী শুনে, লীলামৃত সুধা পানে,
মত্ত থাক হরিনামে, বৃন্দাবনের উপায় নাই।
 
গান নং- ২৯
উঠল প্রেমের তুফান ওড়াকান্দী, পূর্ববঙ্গ ভাসাইল,
সেই প্রবল স্রোতের পলি পড়ে, মৃতপ্রায়কে বাঁচাইল।
 
দেখ, এই বন্যার সৃষ্টি হল বৃন্দাবনে, গোপীজনে ভেসে গেল সেই বানে,
তবুও প্রেম ছিল গোপনে, সে প্রেম ন'দে ভূমে প্রচারিল।
 
যখন বন্যা এল ন'দেপুরী, মোহনায় পড়ল সবাই বলে হরি,
কে বাঁচে ভাই কারে ধরি, জলে সবশুদ্ধ ডুবাইল।
 
রাধা বলে গৌর কাঁদে, চোখের জলে বাঁধ না সাধে,
সেই প্রেমেতে জগত বেধে, ওরে প্রেম সায়রে ডুবাইল।
 
শুদ্ধ করে নামের বিধান, ওড়াকান্দী আনলে হরিচান,
চালান মন্ত্রে দিয়ে চালান, পাপীতাপী সব উদ্ধারিল।
 
সবাই ত্যজে পুরুষ প্রকৃতি, হরিনামে সবে মাতামাতি,
ডঙ্কার তালে সকল ভীতি, তারে বহুদুরে তাড়াইল।
 
নারকেলবাড়ীর গোলক চাঁদ, হুঙ্কারে কাটে সব কর্মফাঁদ,
জয়পুর পড়ল না বাদ, মল্লকাদী, রাউতখামার ভাসাইল।
 
সে প্রেমের পেলে একবিন্দু, বিন্দুতে হয় মহাসিন্ধু,
আলো বিলায় সহস্র ইন্দু, আঁধার ঘরে বাতি জ্বালাইল।
 
বৃন্দাবনের এই প্রণতি, বিশ্বাস শ্রদ্ধা সবার প্রতি,
কেউ হইও না আর ছন্নমতি, জগত তারিতে এবার হরি আসিল।
 
গান নং- ৩০
হরি প্রেমের বাঁও লেগেছে যার গায়,
সে যে নিত্যের দেশে বসত করে, 
তার কি করিবে সংসার মায়ায়।
 
সংসারেতে সে জন রয়, সন্ন্যাসব্রত ভাবময়, 
ভাঙ্গা গড়ার কিসের ভয়, দোলেনা না মন সংসার দোলায়।
 
বাঞ্ছা করে যুগোল চরণ, সমান তাহার মরণ বাঁচন, 
সবসময়ে হরি স্মরণ, কর্মবন্ধ ফাঁস কেটে যায়।
 
সুখ-দুঃখ সমান করে, পাগল সম বেড়ায় ঘুরে, 
জাত বিজাতের বিচার ছেড়ে, জীবন তরী বেয়ে যায়।
 
ছোঁয়াছুঁয়ির ছোট্ট ঢিলে, তার মন কভু না টলে,
শুদ্ধ মানুষ আত্ম বলে, ভাবের ঘরে চেনা যায়।
 
ছোট বড়র জ্ঞান নাই, ভাবের ঘোরে মাথা নোয়াই, 
যার কাছেতে আনন্দ পাই, তার কাছেতে ছুটে যায়।
 
চিনলেম নারে ভাবের মানুষ, বৃন্দাবনের হল না হুশ,
ঘিরে ধরেছে কলির কল্মুষ, শ্রীচরণে স্থান না পায়।
 

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free