মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

গান নং ০০১-০১৫

১ নং গান- তালঃ একতালা

জয় জয় হরিচাঁদ পতিত পাবন।

কাতরে ডাকে তোমার যত ভক্তগণ।।

 

১।       হরি পিতা শান্তি মাতা জগতের সার।

এ ভব সাগর হতে কর মোরে পার।।

২।       তোমার সাধনা না জানি প্রভু ভজন না জানি।

নিজ গুণে দাও হে তোমার চরণ দু’খানি।।

৩।      জয় জয় গুরুচাঁদ শ্রীহরি নন্দন।

জয় জয় হরিচাঁদের যত ভক্তগণ।।

       আমার হরি এসে জনম নিল ওড়াকান্দি ধাম।

জগত মাতাল হরি দিয়ে হরিনাম।।

                             (ঝুমুর)

৫।       আমার হরি এসে জনম নিল, যত ভক্তগণে প্রাণ জুড়াল

মনরে একবার হরি বল, সাধের জনম বয়ে গেল।

এমন দিন আর পাবি নারে, হরি বল মন বদন ভরে।।

 

২ নং গান- তালঃ ঠুংরী

          এস হে শ্রীহরি আমার প্রাণের দেবতা

করি চরণ বন্দন, যশোমন্ত নন্দন, ঘুচাও এসে মনের ব্যাথা।।

১।       প্রেম জল আজি নাহি মোর নয়নে,

কি দিয়ে পুজিব তব শ্রীচরণে।

তুমি এস কৃপা করি, দীনবন্ধু হরি, দূর কর ব্যাকুলতা।

২।       এ ভাঙ্গা মন্দিরে অন্ধকারময়,

তোমার প্রেমের আলো জ্বালো দয়াময়,

আমায় যদি ভালবাস, এস এস এস হে জগত পিতা।

৩।      তমায় ডাকিতে কিছু নাই আমার।

সকলি দিয়েছি চরণে তোমার,

কোথায় কি পাব, কি দিয়ে ডাকিব, চরণে নোয়াব মাথা।

৪।       যে দিকে তাকাই তব লীলা খেলা,

কবে যে ন মোর ডুবে যাবে বেলা,

বিনোদের মিনতি, ওহে জগৎপতি, হরিনাম যেন রয় হৃদয় গাঁথা।

 

৩ নং গান- তালঃ যৎ

আমার হৃদ মন্দিরে দাও হে দেখা হরিচাঁদ।

তোমার ভক্তবৃন্দ সঙ্গে করি হও হে এসে অধিষ্ঠান।।

১।       তোমার নাম পতিত পাবন, ওহে ব্রহ্ম সনাতন,

অধম বলে কর কৃপা কমল লোচন।

তুমি নিজ গুণে কর দয়া, আমি তব অধম সন্তান।

২।       দয়াল তোমায় পুজিতে, প্রেমজল নাই আঁখিতে,

না ভজিনু যুগল চরণে সময় থাকিতে।

তোমার আসার আশে ভবে এসে, না পেলাম তোমার সন্ধান।

৩।      তুমি ভব কর্ণধার, ওহে ব্রহ্ম পরাৎপর,

তুমি বিনে জগৎ জীবের গতি নাইরে আর।

অধম কার্তিকেরই বাঞ্ছা এবার চরণে দিও স্থান।

 

৫ নং গান- তালঃ গড়খেমটা

একখান নিখুঁত প্রেমের ছবি এলো ওড়াকান্দি গাঁয়।

ও সে ভুবনমোহন রূপের ছবি, নাম নিলে শমন পালায়।

১।       সাধু রামকান্তেরই বরে যশোমন্তেরই ঘরে,

অন্নপূর্ণার পুণ্যের জোরে এলো ধরা পরে।

ওসে বত্রিশ চিহ্ন অঙ্গে ধরি, নাম দিয়ে জগত মাতায়।

২।       ও তার রূপের কিরণে কোটি চন্দ্র হার মানে,

যোগী ঋষি নত হয় তার যুগল চরণে,

গৃহধর্ম শিক্ষা দিতে বঙ্গদেশে উদয় হয়।

৩।      আমার গোঁসাই হীরামন, আর যত ভক্তগণ,

তারা প্রাণ জুড়াল হরি শান্তির পেয়ে শ্রীচরণ।

এ দীন বিনোদ বলে অধম তারণ, কৃপা কর আজ আমায়।।

 

৬ নং গান- তালঃ যৎ

হল ওড়াকান্দি অবতীর্ণ মানুষ রতন,

ও সে যশোমন্ত সুত হরি পূর্ণব্রহ্ম সনাতন।

১।       সাধু রামকান্ত বরে অন্নপূর্ণা মার উদরে,

জন্মিল সফলা নগরে, গোলকের নিত্যধন।

শিক্ষা দিতে প্রেমভক্তি, দয়া করে জীবের প্রতি,

তাইতে আমার জগৎপতি, ঘুচাল ভব বন্ধন।

২।       যেন পূর্ণ শশী ভূমে পড়লো, জগতবাসী অবাক হল,

ভক্তগণে প্রাণ জুড়াল, লেগে সে চাঁদের কিরণ।

আজানুলম্বিত বাহু, অঙ্গ চিহ্ন আছে বহু,

ঝলক দিচ্ছে মুহুর্মুহু যেন বিদ্যুৎ উদ্‌গীরণ।

৩।      ও সে কি মনোহর রূপমাধুরী, বত্রিশ চিহ্ন অঙ্গে ধরি,

ভুলাইল পুরুষ নারী, জাতির বিচার নাই যখন।

প্রেম বন্যা উথলিয়ে, ওড়াকান্দি যায় ভাসিয়ে,

নামে প্রেমে মত্ত হয়ে, কর মধুর সংকীর্তন।

৪।       আমার হরিচাঁদের নামের তরী, ভক্তগণে বলে হরি,

প্রেমের বৈঠা সঙ্গে করি, করল তাতে আরোহণ।

বিনোদ বলে ও মন ভোলা, হও গে এবার হরিবোলা,

সার কর গে নামের ভেলা, ছুবে নারে কাল শমন।

 

৭ নং গান- তালঃ যৎ

মুখে হরিচাঁদ বলে ডাকরে মন।

তারে ডাকলে পরে দিবে দেখা, জুড়াবে তাপিত জীবন।

১।       আমার হরি ব্রহ্ম গুণনিধি, পার করিতে ভব নদী,

দেখা দিল ওড়াকান্দি, হয়ে যশোমন্তের নন্দন।।

বল হরি বল বলে হরি ডাকরে পরাণ ভরি,

দেখা দিবে কৃপা করি, দীন দয়াল পতিত পাবন।

২।       মনরে আশি লক্ষ জনম পরে, দুর্লভ জনম পেয়েছ রে,

পড়ে রইল অন্ধকারে, করলি না সাধন ভজন।

জননী জঠরে ছিলি, সে কথা তুই ভুলে গেলি,

চোখ থাকিতে অন্ধ হলি, হারালি পরম রতন।

৩।      আমার হরিচাঁদের প্রেম বাজারে, দুঃখী তাপী গেল তরে,

সময় থাকতে ডাকলি নারে, এড়াতে ভব বন্ধন।

তরবী যদি ভব নদী, মন চল যাই ওড়াকান্দি,

গাওরে ঐ নাম নিরবধি, পাবিরে সেই হরিধন।

৪।       আমার হরি কল্পতরু তলে, অকামনা প্রেম ভক্তি মেলে,

অশ্বিনী লোচন গোলক, মৃত্যুঞ্জয় দশরথ তারক,

তারাই পেল চাঁদের আলোক, বিনোদ ভবে অন্ধ জন।

 

৮ নং গান- তালঃ যৎ

আমার গুরুচাঁদের রূপের ছবি দেখবি যদি আয়,

যেন ভস্মমাখা কলেবরে, ঝলক দিচ্ছে জ্যোৎস্নায়।

১।       ও সে কি যেন প্রতিজ্ঞা ছিল, মনবাঞ্ছা পুরাইল,

চাঁদের কাছে চাঁদ মিশিল, কি যেন কি ইশারায়।

উর্ধ রেখা লম্বা হাতে, ঝলক দিচ্ছ রূপের সাথে,

চৌরাশি ঐ কপালেতে, অর্ধচন্দ্র দেখা যায়।

২।       ও সে স্বভাব যেন সদানন্দ, নামে প্রেম কি আনন্দ,

সঙ্গে লয়ে ভক্তবৃন্দ, হরিচাঁদের লীলা গায়।

হরিচাঁদের নামের তরী, ভাসাইল জগত ভরি,

নিজে হয়ে শ্রীকাণ্ডারী, পারঘাটাতে খেওয়া দেয়।

৩।      এমন দয়াল নাই জগতে, নৌকা নিয়ে পারঘাটাতে,

পাপী তাপী পার করিতে, ডাকছে তোরা আয় ত্বরায়।

পার করে দেয় যারে তারে, জাতির বিচার করে নারে,

গোঁসাই পঞ্চানন কয় উচ্চৈঃস্বরে, বিনোদরে তোর সুযোগ যায়।

 

৯ নং গান- তালঃ যৎ

আমার হরিচাঁদের প্রিয় ভক্ত হীরামন,

ও সে স্বরূপেতে রূপ মিশায়, করল আত্ম সমর্পণ।

১।       একদিন মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়ী, কি মনোহর রূপ মাধুরী,

ত্রেতায় রাম ধনুকধারী, করল হীরা দরশন।

সেই দিন হতে প্রাণ সপিল, পূর্ব স্মৃতি স্মরণ হল,

ঐ গৃহকর্ম ছেড়ে দিল, পেয়ে হরির শ্রীচরণ।

২।       কাঁদে হরিচাঁদ হরিচাঁদ বলে, সদায় ভাসে নয়ন জলে,

মহাভাবে হৃদয় দোলে, শ্রীহরির রূপের কিরণ।

হরিচাঁদ মোর গুণনিধি, হীরামনকে দিয়া ব্যাধি,

পান করায়ে নাম ঔষধি, দিল তার পুনঃ জীবন।

৩।      আমার হরিচাঁদের শক্তি পেয়ে, অনুরাগে বাধি হিয়ে,

জলের উপর যায় হাঁটিয়ে, হরি চিন্তা অনুক্ষণ।

জগতবাসী অবাক হল, মরা গরু বাঁচাইল,

মাটির মূর্তির দুগ্ধ খেল, হেন ভক্ত হয় কয়জন।

৪।       গোঁসাই তারকচাঁদের মুখের বাণী, লীলামৃত গ্রন্থখানি,

শ্রীহরির লীলা কাহিনী, তাহাতে আছে বর্ণন।

হরিচাঁদের ভক্ত যারা, চরণ তরী পেল তারা,

বিনোদ বলে কপাল পোড়া, আমি ভবে অভাজন।

 

১০ নং গান- তালঃ যৎ

আমার হরিচাঁদের লীলা খেলা বোঝা দায়,

ও সে হরিপালকে দিল দেখা, ঘোর বনে নিদান সময়।

১।       একদিন গদাই বাওয়ালীর সনে, কাঠ কাটতে যায় বাদা বনে,

আসিয়া মাকড়ের ঢোনে, অমনি তরী ডুবে যায়।

ডুবল হরিপালের তরী, হরি বলে কাঁদে হরি,

তাইতে হরি কৃপা করি, গদাইকে স্বপ্ন দেখায়।

২।       ও সে গদাই কি স্বপনে হেরি, মনেতে আশংকা করি,

হরিপালের ডোবা তরী, অমনি তুলে দেয়।

দুষ্ট লোকের স্বভাব যায় না, গদাইর মন ভাল না,

হরিপালকে দেয় ছলনা, গহন বাদায় লয়ে যায়।

৩।      ও সে হরিপালকে সঙ্গে করে, দুর্গম বাদার ভিতরে,

বাঘের যোগান দিবার তরে, হরিপালকে ছেড়ে দেয়।

হরিপালের প্রাণ উড়িল, হরি বলে ডাকতে লাগলো,

বুঝি ভবের খেলা সাঙ্গ হল, কোথা হরি দয়াময়।

৪।       কাঁদে হরিচাঁদ হরিচাঁদ বলে, বক্ষ ভাসে নয়ন জলে,

তাইতো হরি দেখা দিলে, আসিয়া গহন বাদায়।

ভক্তপ্রাণ রক্ষা করি, অন্তর্ধান হলেন হরি,

কবে পাব চরণ তরী, বিনোদ কাঁদে সেই আশায়।

 

১১ নং গান- তালঃ যৎ

আমার তারকচাঁদের নাম নিলে হয় প্রেমের উদয়।

ও সে হরিচাঁদের পোষাপাখি, থাকতো প্রেমের পিঞ্জিরায়।

১।       আমার হরিচাঁদের খাঁচায় বসি, গাইত ঐ নাম দিবানিশি,

সদা নয়ন জলে ভাসি, জীবকে হরিনাম শিখায়।

মুখে বলতো হরি হরি, দুনয়নে ঝরে বারি,

ঐ লীলামৃত গ্রন্থ করি, রেখে গেল দুনিয়ায়।

২।       আমার হরিচাঁদের আদেশ নিয়ে, চারণ কবি গাইতে গিয়ে,

কি যেন এক ভাব জাগিয়ে, মহাভাবের উদয় হয়।

হরিচাঁদ হরিচাঁদ বলে, ডাক দিল সে প্রাণ খুলে,

বুক ভেসে যায় নয়ন জলে, মন গেছে শ্রীহরির পায়।

৩।      আমার হরিচাঁদ কি হইতে পারে, পুত্তলিকা মূর্তি ধরে,

তারকচাঁদের মাথার পরে, এসে কবির বোল যোগায়।

শ্রোতাবর্গ ছিল যারা, নয়ন জলে ভাসে তারা,

হয়ে শেষে আত্মহারা, প্রেম পাথারে সাঁতার দেয়।

৪।       ভাগ্যবন্ত যারা ছিল, হরিচাঁদকে দেখতে পেল,

কি যেন কি হয়ে গেল, চাঁদের মাথায় চাঁদ খেলায়।

বিনোদ বলে জনম গেল, চরণ দর্শন না হইল,

গোনা দিন ফুরায়ে গেল, এই অধমের নাই উপায়।

 

১২ নং গান- তালঃ যৎ

আমার হরিচাঁদের গোষ্ঠ খেলা চমৎকার।

লয়ে নাটু ব্রজ আর বিশ্বনাথ খেলত খেলা অনিবার।

১।       একদিন রত্নডাঙ্গা বিলের কুলে, লয়ে রাখালগণ সকলে,

গোষ্ঠ খেলে কুতূহলে, বৃন্দাবনের ব্যবহারে।

শ্রীহরি মোর রাখাল রাজা, সব রাখালে করে পূজা,

ঐ চরণে পেয়ে মজা, করল হরির চরণ সার।

২।       ও সে কস্তূরী কুসুম তুলি, সাজাইয়ে প্রাণ পুতলি,

মুখে হরি হরি বুলি, চক্ষে বহে প্রেমধারা।

রাখালের সে ভাবে হেরি, গরু বাছুর ত্বরা করি,

মুখে হরি বলতে নারি, হাম্বা করে দেয় চিৎকার।

৩।      যেন বৃন্দাবনের প্রাণ কানু, রাখাল সঙ্গে চরায় ধেনু,

ঠিক যেন সেই বাকা তনু, হরিচাঁদ অবতার।

রাখাল সঙ্গে করে খেলা, খেলাইত গোষ্ঠ খেলা,

বিনোদ বলে মনরে ভোলা, হরি বলে ডাক এবার।

 

১৩ নং গান- তালঃ যৎ

দয়াল মহানন্দ নাম দিয়ে জগত মাতায়।

ছিল নদীয়ায় নিত্যানন্দ, নারকেলবাড়ী উদয় হয়।

১।       আমার গোলক চাঁদের শক্তি আসি, মহানন্দের হৃদয় পশি,

তাইতে হল মন উদাসী, নয়ন ভেসে যায়।

গোলকচাঁদের বিয়োগেতে, বিচ্ছেদ জ্বালা ওঠে চিতে,

ত্রিতাপ জ্বালা জুড়াইতে, নদীর জলে সাঁতার দেয়।

২।       বিচ্ছেদ আগুন সইতে নারে, জলে গেলে দ্বিগুণ বাড়ে,

নদীর জল তাই গেল সরে, এখন হবে কোন উপায়।

শূন্যে হল দৈব্যবাণী, শোন ওরে যাদুমণি,

তোমার সঙ্গে দিন রজনী, থাকব আমি সবসময়।

৩।      তখন দৈববাণী শুনে কানে, শান্তি পেয়ে মনে প্রাণে,

হরিচাঁদের গুণগানে, বঙ্গদেশে ভাসাইয়া দেয়।

সাজিয়ে সে প্রেমের পাগল, মানুষ গরু করল পাগল,

বিনোদ বলে আমি কেবল, বাকী রলাম এ ধরায়।

 

১৪ নং গান- তালঃ যৎ

ভক্ত ব্রজনাথের গুরুভক্তি অতিশয়,

থাকত গুরুপাটে দিন রজনী, গুরু সেবায় দিন কাটায়।

১।       একদিন গুরুর নামে মত্ত হয়ে, বাহ্যস্মৃতি হারাইয়ে,

গুরু মাতা দেখতে পেয়ে, কার্যান্তরে যেতে কয়।

তার মন প্রাণ একাগ্রতা, ব্রজ তখন কয় না কথা,

রাগ করে তার গুরুমাতা, গুরুর কাছে গিয়ে কয়।

২।       ও তার গুরু আসি ক্রোধভরে, পাদুকার প্রহার করে,

ব্রজনাথ কয় ধীরে ধীরে, কি কর কি মহাশয়।

গুরু বলে ওরে ভণ্ড, নাই কোন তোর কর্মকাণ্ড,

আজি তোরে তাই করি দণ্ড, দূর হয়ে যা অন্যথায়।

৩।      ব্রজ ভাসে নয়ন জলে, উদয় হল ভীষণ জঙ্গলে,

অপরাধী দেহ বলে, উচাটন মৃত্যু ইচ্ছায়।

জ্যোতির্ময় এক মূর্তি আসি, ব্রজনাথের হৃদয় পশি,

বলে আমি দিবানিশি, রব সদা তোর হৃদয়।

৪।       যে দিন হরিচাঁদের দেখা পাব, সে রূপেতে মিলাইব,

কলির সব জীব উদ্ধারিব, নাম বিলাব এ ধরায়।

যে দিন হরিচাঁদের মিলন হল, রূপে জ্যোতি মিশে গেল,

পূর্ণচন্দ্র প্রকাশ পেল, সে তত্ত্ব না বিনোদ পায়।

 

১৫ নং গান- তালঃ যৎ

গোঁসাই মৃত্যুঞ্জয়ের জীবন চরিত সুধাময়,

ছিল সত্যনিষ্ঠা শুদ্ধাচারী দৈব্যযোগে ব্যাধি হয়।

১।       রসপিত্ত ব্যাধি হয়ে, কাঁদে সদা আকুল হয়ে,

ভুরি ভুরি ঔষধ খেয়ে, কিছুতে আরোগ্য নয়।

লোকের মুখে শুনতে পেল, ওড়াকান্দি ঠাকুর এলো,

কঠিন ব্যাধি যত ছিল, মুখের কথায় মুক্তি পায়।

২।       মনে ভাবি কি করিব, এ ব্যাধির কি মুক্তি পাব,

না যদি পাই প্রাণ ত্যজিব, বিষ কিনিয়া সঙ্গে নেয়।

হরিচাঁদ হরিচাঁদ বলে, বুক ভেসে যায় নয়ন জলে,

ওড়াকান্দি উদয় হলে, হরি এসে দেখা দেয়।

৩।      হরিচাঁদ কয় মৃত্যুঞ্জয়, কি লাগিয়া আলি হেথায়,

বিশ্বাস না তোর পাষাণ হৃদয়, বিষ খাবি তুই শেষ সময়।

বিষের টুপলি নিয়ে কেড়ে, ঠাকুর তাহা ভক্ষণ করে,

আমিত দেখ মলেম নারে, বিষ খেলে কি প্রাণ যায়।

৪।       হরিচাঁদের সে ভাব হেরি, মৃত্যুঞ্জয় যায় গড়াগড়ি,

কেন্দে কেন্দে চরণ ধরি, চোখের জলে বুক ভাসায়।

চরণ পরশ যখন পেল, তুচ্ছ ব্যাধি দূরে গেল,

পঞ্চানন কয় হরি বল, বিনোদরে তোর নাই উপায়।


 
শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free