মতুয়াবাদ তথা মতুয়াদের জন্য অশনি সংকেত- পর্ব-৩
মতুয়াবাদ তথা মতুয়াদের জন্য অশনি সংকেত- পর্ব-৩
নব্য মতুয়াদের শ্রেণি বিভাগ (পূর্ব পোস্ট হতে চলমান)
উগ্রপন্থী মতুয়াঃ
এই শ্রেণির মতুয়ারা খানিকটা জঙ্গি ভাবাপন্ন। এই শ্রেণির মতুয়ারা হরিচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ মেনে চলেন বা চলতে চান বটে কিন্তু অন্যান্য মতকে মোটেও গুরুত্ব দেন না। যদিও হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুর কোন মতকে খারাপ বলেন নি, কিন্তু এই শ্রেণির মতুয়ারা তা মানেন না। দেব-দেবীর পূজা নিয়ে বা এই ধরণের মতামত নিয়ে এদের সাথে সাম্যবাদী মতুয়াদের প্রায়শই দ্বন্দ্ব বাঁধে।
অগুরুবাদী মতুয়াঃ
মতুয়াদের এই শ্রেণি গুরুবাদকে অস্বীকার করেন। মতুয়াদের নাকি গুরু নেই। এমনকি হরিচাঁদ বা গুরুচাঁদ ঠাকুর নাকি গুরু করতে নিষেধ করেছেন বলেও প্রচার চালায়। যদিও লীলামৃতে বা হরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধাতে এমন কোন বিধি নিষেধ নাই। এই শ্রেণির মতুয়ারা লীলামৃত বিকৃত করতেও অপেক্ষা করে না। কারণ আমরা প্রথম সংস্করণে পাই,
"অদীক্ষিত না করিবে তীর্থ পর্যটন।
মুক্তি স্পৃহা শুন্য নাই সাধন ভজন।।"
এটা পরিবর্তন করে তারা কতক সংস্করণে লিখেছে
"দীক্ষা নাই, করিবে না তীর্থ পর্যটন।
মুক্তি স্পৃহা শুন্য নাই সাধন ভজন"
বেদ বিরোধী মতুয়াঃ
সম্পূর্ণ লীলামৃতে কোথাও বেদ বিরোধী কোন বাক্য না থাকা স্বত্বেও এই শ্রেণির মতুয়ারা বেদ বিরোধী। লীলামৃতে বেদবিধির বিরোধী বক্তব্য আছে। বেদ এবং বেদবিধির মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। বেদবিধি কি? বেদবিধি হচ্ছে বামুন কর্তৃক রচিত বেদের ব্যাখ্যাকারক গ্রন্থ মনুসংহিতা। বিরোধটা মুলত এই মনুসংহিতার বিরুদ্ধে। যা দ্বারা বামুনরা নমশূদ্রদের দমিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বর্তমান কিছু মানুষ এই সূক্ষ্ম পার্থক্য না বুঝে কথায় কথায় বেদ মানি না, বেদ মানি না বলে চিল্লান শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত এই শ্রেণির বেশীরভাগ মতুয়া বেদ চোখেও দেখেনি কোনদিন।
এছাড়াও আরও কিছু কিছু ভিন্ন ধরণের মতুয়াদের সন্ধান পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। এ বিষয়ে আর বিশদ লিখব না। পরবর্তী পর্বে মতুয়াদের ভিতরের কলহ সম্পর্কে আলোকপাত করব।
হরিবোল।