মতুয়া দর্শন
শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ
মতুয়া মত সত্য পথ

গান নং ০১-১২

১ নং গানঃ আগমনীঃ তুক্ক সুর- একতালা
শ্রীহরি সেবিকা, ভুবন পালিকা, আনন্দে বিভোর হয়ে।
আলু থালু বেশে, সখীগণ পাশে, কহিতে লাগিল গিয়ে।।
আজি লো সজনী, মধুর কাহিনী, কহিব তোমাদের পাশে।
নিশি অবশেষে, আজি নিদ্রা বেশে, শুনিনু ঘুমের অলসে।।
কে যেন কহিছে, তপন উদিছে, পোহাইল বিভাবরী।
সে স্বর শুনিয়া, নয়ন মেলিয়া, দেখিয়া উঠিনু শিহরী।।
জ্যোতি বিথারিণী, সুপ্রিয় বাদিনী, বালা এক মম ঘরে।
সেই দেব বালা, কহিতে লাগিলা, করুণা করিয়া আমারে।।
হরি দয়াময়, জীব ভাগ্যদয়, আসিবে অবনী পরে।
যশোমন্ত ঘরে, পূর্ণার উদরে, ক্ষীরোদ সাগর ছেড়ে।।
কৃষ্ণা ত্রয়োদশী, মধুমাসে পশি, পোহাল সুখের শর্বরী।
প্রভাত হইতে, এ সারা জগতে, আনন্দে বলিবে হরি।।
এ কথা কহিয়া, জ্যোতি বিথারিয়া, দেব বালা গেল চলে।
আনন্দ বারতা, কহিবারে হেথা, এসেছি সুপ্রভাত কালে।।
সকলে মিলিয়ে, হরিগুণ গেয়ে, চল হরি দরশনে।
চির আকিঞ্চন, হইবে পূরণ, দেখে সে দুর্লভ ধনে।।
বল হরি হরি, বদন ভরি, আনন্দে মিলিয়া সবে।
হরি আগমনে, এ ভব ভুবনে, আনন্দ স্রোত বহিবে।।
জগজীব তায়, শ্রীহরি কৃপায়, আনন্দে ডুবিয়া রবে।
সুধন্যের ধন, শ্রীহরি চরণ, হৃদয় উপরে রাখিবে।।
অমূল্য রতন, হৃদয় ধারণ, করিয়া স্বার্থক হইবে।
এ ভবে আসা, মনের আশা, কিছু বাকী না রহিবে।।
------- মহর্ষি শ্রীসুধন্য কুমার ঠাকুর
 
২ নং গানঃ তাল- গড়খেমটা
পাগলের ডঙ্কা বাজে হরিচাঁদ বলে
নগরে জয়ধ্বনি করে সকলে।
 
রামাগণে বামা স্বরে করে মঙ্গল আচরণ,
চৌদ্দ মাদল সঙ্গে লয়ে অবধৌতের আগমন,
প্রেমরসে হয়ে মগন, করে মধুর সংকীর্তন,
প্রেমের পাগল যতজন, মিশে গেছে এক কালে সকলে।
 
শঙ্খ বাজে ঘণ্টা বাজে, কংশ কাঁসি করতাল,
ভৈরব ভৈরবী রাগে ভেরীতে ধরেছে তাল,
রুদ্র তাল, ব্রহ্ম তাল, মৃদঙ্গে ধরেছে তাল,
জয় ঢোল টিকারা তাল, হরিনামে উঠল তাল,
তারা মাতালো আকাশ পাতাল, মদ খেয়ে যেন মাতাল,
কেউ নাচে তাল বেতালে, সুতালে।
 
উড়িতেছে জয় পতাকা, হরিনামের হিল্লোলে,
ছিলরে শমনের দখল গেলরে, এককালে,
শমন দূতে বলে রাজ্য নিল পাগলে,
রাজা প্রজা সকলে মিশে গেছে ঐ দলে,
কত যোগীজনা যোগ ভুলে, যজ্ঞোপবীত ফেলে,
নাচে দু’বাহু তুলে, ভাসে দু’নয়ন জলে,
প্রেম কহ; রাধে বলে দেয় গড়াগড়ি ভুতলে, সেতালে।
 
পাষণ্ড দলন হরিনাম লয়ে পাগল আসিল,
মাতায়ে হিন্দু যবন, পাষণ্ড সব শাসিল,
রাজ ভয় নাশিল, বিঘ্ন বিনাশিল,
দুঃশীল সুশীল ঐ দলে সব পশিল,
তারা রস ভরে রসিল, মধু রসের বাণী বলে,
হরে হরে ভিড় দিল, সকলে।
 
জয় হরিবল গৌর হরিবল, পাগলের হুঙ্কারধ্বনি,
যেন মদে মত্ত সিংহ বীর্য শুনে সে সিংহ ধ্বনি,
হৃদয় ধরে সেই ধ্বনি, মহানন্দ দেয় ধ্বনি,
গুরুচাঁদের জয়ধ্বনি, তারকচাঁদ তা কৈ বলে, তা ভুলে।
 
৩ নং গানঃ তাল-যৎ
ভজ ভজ মন জয় শ্রীশচীনন্দন।
ভজ পদ্মাবতী সুতবসু, জাহ্নবী জীবন ধন।
 
ভজ অদ্বৈত গোঁসাই, হারে হারে রে যার গুণের সীমা নাই।
যাহার কৃপাতে পাই, চৈতন্য নিতাই,
যার হুঙ্কারে গোলক নড়ে, শ্রীগৌরাঙ্গের আগমন।
 
ভজ ব্রহ্ম হরিদাস, গুপ্ত মুকুন্দ শ্রীবাস
গদাধর দামোদর শিবানন্দ গৌরিদাস,
গৌর ভক্তবৃন্দ সঙ্গে লয়ে করে মধুর সংকীর্তন।
 
এমন দয়াল অবতার, হারে হারে রে হয় নাই, হবে নারে আর।
সংকীর্তন মাঝে গোরাচাঁদ, ডাকে বাড়ে বার,
তোরা দুঃখী তাপী আয় কে নিবি অনর্পিত প্রেমধন।
 
লেগে সে চাঁদের কিরণ, হারে হারে রে প্রফুল্লিত হীরামন,
গোলকচাঁদ সেই চাঁদের সুধা করে বরিষণ,
মহানন্দের মন চকোরে করে পিব পিব অনুক্ষণ।
 
৪ নং গানঃ তাল-যৎ
হরি বল হরি বল
ভবে আর কি আছে বল।
ও মন দুর্বলের বল আছে কেবল, হরিবল পথের সম্বল।
 
ও মন জীবনে মরণে সাথী, হরিনাম সঙ্গের সঙ্গতি নিদানে,
হরি বললে শমন আসবে না সন্নিধানে।
এমন হরি নামে করে হেলা, কল্লি কিরে এমন পাগলা।
বোঝা যাবে পারের বেলা, সম্বল বিহীন হ’তে হ’ল।
 
মনরে বল হরি বদন ভরি, হরিচাঁদ পারের কাণ্ডারী ভবার্ণবে,
হরি বললে হরি সবাকে পার করিবে।
যে জন হরি বলে দাঁড়াবে কুলে, দয়াল নিতাই নিবে, নৌকায় তুলে,
পার করে দেয় বিনামূল্যে, আমার নিতাইয়ের মত নাই দয়াল।
 
ও মন হরের্ণাম কেবলং হরের্ণামৈব কেবলং গতির্ণান্ত্যেবং
গতির্ণান্ত্যেবং নাস্ত্যেবং গতির্ণান্ত্যেবং।
বললে ত্রিসত্য অঙ্গীকার করে, বেদশাস্ত্র তন্ত্র সারে,
ধর্ম বলতে এ সংসারে, সকল ধর্ম হরিনামে র’ল।
 
নামের তুলনা নাহিক দিতে, প্রভু আনলেন অবনীতে অতি যতনে,
নামের মর্মার্থ কেবল সেই প্রভু জানে,
গোলক বলে তারক তোরে বলি, এবার ধন্যরে যুগ ধন্য কলি,
কলির জীব ত্বরাব বলি, আমার হরিচাঁদ জগতে এল।
(আমার গৌর নিতাই ন’দে এল)
 
৫ নং গানঃ তাল-যৎ
হরি বল মন রসনা
ভবে এমন জনম আর হবে না।
ওরে ঘটে যুগ পুষ্পবন্ত, এমন দিন তোর আর হবে না।
 
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম
যে নামে জীব প্রাপ্ত হয়, সেই মোক্ষধাম।
হল যে নাম জপে শিব যোগী, শিব শ্মশানে হল বৈরাগী,
কাঁদে যে স্বরূপের লাগি, ন’দেয় সে রূপ কাঁচা সোনা।
 
ধন্য কলি যুগ ধন্য, ধন্য নিতাই শ্রীচৈতন্য, ধন্য হরিনাম,
এমন নামে মন রসনা হ’সনে বাম,
বিলায়ে নামের সহিত প্রেমধন, রাধার খাস ভাণ্ডারের রতন,
সযতনে কত যতন, পেয়ে রতন হারায়ো না।
 
প্রহলাদ শুক নারদ ব্যাস আদি, যে নাম জপে নিরবধি, যা না পায়,
এবার তাই পেল জীব, আর কি জীবের আছে ভয়?
ছিল অনর্পিত চরিং চিরাৎ, সমর্পিত সচৈতন্যাৎ,
ধন্য প্রভু সেই সীতানাথ, পূর্ণ হ’ল তার বাসনা।
 
যুগ মন্বন্তর যায় কতবার ব্রহ্মার দিবসে একবার, এইবার,
জেনে সারাৎসার, সার দোকানী দোকান সার,
আমার গোলকচাঁদ যায় দোকান সেরে, হরিচাঁদের প্রেম বাজারে,
গুরুচাঁদের রূপ সাগরে, তারক কেনে ডুব দিলি না।
 
৬ নং গানঃ তাল-যৎ
আর কিছু লাগে না ভাল,
আমার গৌর নিতাই ন’দে এল।
হরিনাম তরণী নৌকাখানি, পারঘাটে নিতাই সাজাল।
 
হরিনাম তরণী ধর এটে, বাওরে অনুরাগের ব’টে থাকতে দিন।
যে জন দীন দরিদ্র অর্থহীন দীনেরও দীন,
কারু লাগবে না আর পারের কড়ি, ভব সমুদ্র দিতে পাড়ি,
ব্রহ্ম হরিদাস দাঁড়ি, পারের বড় সুযোগ হ’ল।।
 
সত্য ত্রেতা দ্বাপরেতে, দাখিলকার ছিল ঘাটেতে রবিসুত,
তারে বেদখলী করেছে নিতাই অবধুত,
এবার হাল আইন নোটিশের জোরে, সে ঘাট নিয়াছে খাস করে,
পার করে দেয় যারে তারে, চল ভব পারে চল।
 
দয়াল নিতাই ডাকে বাহু তুলে, আয়না তোরা সবে মিলে, কে যাবি পার,
তোদের পাপের বোঝা দে আমাকে নিলাম ভার,
পারের কড়ি কেবল প্রেমভক্তি, যার যেমন আছে শক্তি,
নিতাই দিচ্ছে নিজ শক্তি, সাক্ষী জগাই মাধাই র’ল।।
 
গোঁসাই মৃত্যুঞ্জয় কয় ওরে তারক, গুরুচাঁদ জ্ঞানাঞ্জন শলক এবারে,
হল অষ্টবিংশ মন্বন্তরের পরে,
কেনে ডুবলিরে সংসার সাগরে, এমন নাবিক পাবি নারে।
গোলকচাঁদের হুহুঙ্কারে, হরিচাঁদ পার করতে এল।।
 
৭ নং গানঃ তাল-একতালা
জয় সীতা আর সীতানাথের জয়।
হল জগত ভরি জয় জয়।।
 
ওগো জয় শচী জয় জগ্নমাতা, জগন্নাথ মিশ্রের জয়।
জয় পদ্মাবতী সীতামাতা, হাড়াই পণ্ডিতের জয়।।
নাড়া দেয় গঙ্গাজল,  চন্দন তুলসীর দল, বলে শ্রীকৃষ্ণায়ঃ
তাইতে ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথি, গ্রহণের সময় জয় জয়।
(জনম নিলে সেই গ্রহণ কালে, আমার গৌর হরি)
 
নাড়ায়ে গোলকধাম, কি মধুর হরিনাম, এল নদীয়ায়,
যেমন শমনেরে ঘাস কাটাতে, লঙ্কায় এল জয় বিজয়।।
 
শান্তিপুরে ছাড়ে ডাক, চিত্রগুপ্ত অবাক, চিত্তে না জুয়ায়,
সেই বুড়ো নাড়ার নৃত্য দেখে, যম বলে ঐ নাড়ার জয়।।
 
নাচিছে সীতা মা বুড়টির সাধনা, এইত পূর্ণ হয়,
দিয়ে বাহু নাড়া, বুড়া নাড়া, বলেরে গৌরাঙ্গের জয়।।
 
নমঃ হরিচন্দ্রায়ঃ নমঃ গুরুচন্দ্রায়ঃ গোলকচাঁদের জয়।
তোরা জয় হরি বল, গৌরহরি বল, হবি যদি শমন জয়।।
 
৮ নং গানঃ তাল-গড়খেমটা
চল ভাই চলরে চলরে আনন্দ মেলায়।
 
পাগলের আনন্দ মেলা, পাগলচাঁদের খেলা।
দেখবি যদি নাই বিবাদী, এই বেলা কর মেলা রে।।
 
অষ্টবিংশ মন্বন্তরে ফিরেছে এই একদিন।
তোদের এ দিন যদি যায় গো বৃথা, আর পাবি না দিন রে।।
 
যাস যদি পাগলের মেলায়, ধর পাগলের বুলি।
ছিল জয় হরি বল গৌর হরি বল সেই পাগলের বুলি রে।।
 
রাই চরণ ভাণ্ডারী মেলায়, মুচ্ছিদ মহানন্দ।
তারকের ভাগ্যে কবে হবে, এই মেলার আনন্দ রে।।
 
৯ নং গানঃ তাল-যৎ
হরে কৃষ্ণ হরি বল
মন তোর সাধের দিন ত অন্ত হ’ল।
একবার দিনান্তে শ্রীকান্ত বল, ঐ দেখ দুরন্ত কৃতান্ত এল।।
 
আশী লক্ষ জন্ম পরে জন্ম নিলা নরোদরে,
মন আমার এবার অসার সংসারে, আপন সারা সার,
মন তোর কুলাবে না এ পশারে, কুল পাবি না এ সংসারে।
কেবল অনর্থক যাওয়া আসা রে, পারে সারাৎসারে লয়ে চল।।
 
হরিপদে দিয়ে হিয়ে, নাচ হেলে দুলে হয়ে কুতূহল,
প্রাণান্তে আর পান করিস না বিষয় হলাহল,
কর হরি বলে কোলাহল, যা হয়ে  গেছে তা’ত হল,
এবার হাল ছেড়ে হ’গে বেহাল, তবে পাবি হরির পদ কমল।।
 
হয়ে বলে গেছেরে ভাই যা আছে সামলে রেখে তাই,
মনরে হরি বললে পরে, ছোবে না আর শমন রে,
ভাব সে রাধার মনে, তবে ভাবনা কি মরণ রণে,
জীব জীবনে ভবনে বনে, কেবল হরিবল হরিবল।।
 
হরিনাম তরণী করে, যেতে হবে ভবপারে,
এইবার আছে সম্মুখে, অপার ভব পারাবার,
কেবল আসা যাওয়া বারে বারে, বিপদহারী বিনে কে নিবারে,
এল ভক্তি রতন কিনিবারে, এ হাট ভেঙ্গে গেলে তা কই হল।।
 
গোঁসাই গোলকচাঁদ কয় ওরে হরে, ছয় চোরে ধন নিল হরে,
এসময় সহজ প্রেমে কাতর, এ প্রেমে তার কর্ম নয়,
যদি ইচ্ছা ভবপারে, ডুব গে গুরুচাঁদের ভাব সাগরে,
বলে কয়ে চরণ ধরে, মহানন্দে লয়ে চল।।
 
১০ নং গানঃ তাল-ঠুংরি
ভেবে কেন দেখলি না মন, এবার তোর কি হবে রে।
দিন থাকিতে হরিচাঁদের চরণ ধর রে।
 
ভাই বল বন্ধু বল, কেহ কারুর নয়।
(লোভী মন, ও লোভী মন)
সে দিবে তোর মুখে আগুন, আপন বলিস কারে।।
 
পিতা পুত্র সম্বন্ধ পরিত্যাগ করিয়া
(লোভী মন, ও লোভী মন)
বাড়ীর বাহির করে দিবে, গোময় ছড়া দিয়ে।
 
দড়া কড়া অষ্ট কড়া, কড়ি সঙ্গে দিবে।
(লোভী মন, ও লোভী মন)
তাও ত সঙ্গে যাবে না শ্মশান ঘাটে রবে।
 
এ ঘর বাড়ী টাকা কড়ি, সকল পড়ে রবে।
(লোভী মন, ও লোভী মন)
পথের সম্বল এই হরিনাম সঙ্গে সঙ্গে যাবে।।
 
চরণ ধরে কর গে হরে হরিপদে আশ।
(দুরাচার ও দুরাচার)
জন্মে জন্মে হরি গোঁসাইয়ের দাসের অনুদাস।।
 
১১ নং গানঃ তাল-একতালা
এল গোলক ত্যাজে, ভবপারের কর্ণধার।
তরবি যদি ভবনদী, ওড়াকান্দি চল এবার।।
বৃন্দাবন নবদ্বীপ গোলক, শতাংশের তুল্য নয় যার।।
 
মুখে হরি হরি বলে, নেচে নেচে বাহু তুলে, হওরে আগুসার।।
ব্রজেশ্বরীর প্রেমাধার শুধিতে এবার, ওড়াকান্দি অবতার।।
 
নদীয়ায় হয়ে গৌরাঙ্গ, শুধিতে ঋণ কত রঙ্গ,
কচ্ছে অনিবার, তবু নিরন্তর দহিছে অন্তর
বুঝি তাই এল প্রাণ জুড়াবার।।
 
ব্রহ্মা ইন্দ্র পশুপতি, ভেবে পায় না দিবারাত্রি,
পদারবিন্দু যার জীবের ভাগ্যাকাশে।
সে জন এসে হরিনাম করছে প্রচার।।
 
বিষয় ত্যজে যে বৈরাগ্য, জন্ম মৃত্যু জ্বরারোগ্য,
হয়েছে সেই নর একবার যে গিয়াছে
সেই পেয়েছে ভব রোগের প্রতিকার।।
 
মহানন্দ বারে বারে, ডেকে বলে ওরে হরে,
তুইত দুরাচার যদি যাবি পারে চরণ ধরে,
গুরুচাঁদকে সহায় কর।।
--------------- হরিবর সরকার
 
১২ নং গানঃ তাল-টিমে তেওট
ধন্য কলিকাল ছুটল হরির প্রেম বন্যে।
যত মান্যমান অপ্রমাণ ছিল মান।
সবে ভেসে যায় সে যে ব্রজকুল কন্যে।।
 
কুল পাব বলে ত্যজে জাতিকুল, পড়ে অকুলে,
হয়ে প্রাণাকুল হয়ে, গুরুচাঁদ অনুকুল সকলে,
দিচ্ছে কুল অকুল পারের কাণ্ডারী, ব্যাকুল জীবের জন্যে।।

 
শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন। হরিবোল।
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free