মতুয়াবাদ তথা মতুয়াদের জন্য অশনি সংকেত- পর্ব-৪
মতুয়াবাদ তথা মতুয়াদের জন্য অশনি সংকেত- পর্ব-৪
মতুয়াদের আভ্যন্তরীণ কলহ
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে কলহ বা মতবিরোধ রয়েছে। যেমন মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ কি উপায়ে হবে, এটা নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের মতুয়াদের মধ্যে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে।
একদল বলছে মড়া মাটিতে পুতে রাখতে, আবার অন্যদল চাইছে দাহন করতে। একদল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর মাথার চুল ফেলে দেয়ার পক্ষে, অন্য দল বিপক্ষে। এর পক্ষে বিপক্ষে নানা ধরণের যুক্তি তারা খাড়া করে। কিন্তু লীলামৃত বা হরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা এ বিষয়ে বিশেষ কোন নির্দেশনা দিয়েছে বলে ত মনে হয় না। মহেশ ব্যাপারি হরিচাঁদ ঠাকুরের সময়ে একটা শ্রাদ্ধের বর্ণনা আছে, যা তৎকালীন বিধান অনুসারেই হয়েছিল। এবং অন্যান্য কিছু শ্রাদ্ধের বর্ণনা আছে যাতে বিশেষ কোন বিধান দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। তবে জ্ঞাতিভোজের পরিবর্তে মহোৎসব করার কথা বেশ কয়েক জায়গায় দেখা যায়। এছাড়া কোন বিধান দেখা যায় না। কিন্তু এখনকার মতুয়ারা নতুন নতুন বিধান চালু করছে।
একদল ধ্বজা বাধার পক্ষে, অন্যদল না বাধার পক্ষে। এসব নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে প্রতিনিয়ত। এত বছর হয়ে গেল মতুয়াদের এখনও গ্রহণযোগ্য কোন সামাজিক অনুষ্ঠান বিধি তৈরি করা যায়নি। যা কিছু তৈরি করা হয়েছে তাও অনেক সময় হরিলীলামৃত ও হরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধার সাথে দ্বৈত মত পোষণ করে। যার দরুন আরও বিভেদ তৈরি হচ্ছে।
আজ এই পর্যন্ত। পরবর্তী পর্বেও মতুয়াদের আভ্যন্তরীণ কলহের অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
হরিবোল।