মতুয়াদের সামাজিক বিধি ও কিছু কথা-১- সাধারণ আলোচনা
মতুয়াদের সামাজিক বিঁধি ও কিছু কথা-১
সাধারণ আলোচনা
একদল মতুয়া চীৎকার করছে। এটা বৈদিক এটা, কর না; ওটা বৈদিক, ওটা কর না। কিন্তু কি করতে হবে এটা কেউ বলছে না। কোন রীতিনীতি পরিবর্তনের আগে অবশ্যই এর পরিবর্তে কি রীতিনীতি পালিত হবে তা ঠিক করা বাঞ্ছনীয়। এক কথায় মতুয়া রীতিতে করতে হবে। কিন্তু সেই মতুয়া রীতি কি এটা কেউ বলছে না।
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিষয়ে মতুয়াদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত মত রয়েছে। কেউ প্রচলিত মতে পালন করে, আবার কেউ কিছু কিছু পরিবর্তন করতে চাইছে। কেউ কেউ এই রীতির পরিবর্তন করতে গিয়ে সামাজিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। হবার কথা, কারণ সমাজ সহজে পরিবর্তন গ্রহণ করে না, তারপরে মতুয়াদের এইসব রীতিনীতি বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণাও নেই। মতুয়াদের গ্রন্থেও এই বিষয়ে তেমন লিখিত নেই।
মতুয়াদের এসব অনুষ্ঠান ঠিক কিভাবে করা উচিৎ? তার কোন অথেনটিক বই নেই। কেউ কেউ কিছু লেখার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাতেও গোলমাল পাকানো। যেমন নবকুমার রায় ঠাকুর প্রণীত “শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ পূজা বিধি” বইতে পূজার উপকরণ (পৃষ্ঠা-৭) অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, “ঠাকুর পেঁপে, রসগোল্লা খাইতেন না, ইহা পূজায় দিবে না।” এবং “ছাগল, কপোত, হাস, এই তিনে হরিভক্তি নাশ”। মতুয়াদের প্রধান দুই গ্রন্থ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত ও গুরুচাঁদ চরিত বইতে এরকম কোন বাণী আছে বলে তো মনে হয় না। নবকুমার রায় ঠাকুর ১৬ বছর গুরুচাঁদ ঠাকুরের সান্নিধ্যে ছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে উনি এই কথা লিখেছেন। কিন্তু বিচরণ পাগল সাড়া জীবন গুরুচাঁদ ঠাকুরের সান্নিধ্যে থেকেও এরকম কোন কথা লেখেন নি। এই পোস্টে সাধারণ আলোচনা করলাম। পরবর্তীতে প্রতিটি অনুষ্ঠানের কি কি বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা বলা হবে।
শ্রীধাম ওঢ়াকাঁদি কর্তৃপক্ষ বা মতুয়া সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব অনুষ্ঠান পালনের রীতিনীতি কি হবে তা লিখিত ভাবে প্রকাশ করলে ভালো হয়। তবে তা অবশ্যই লীলামৃত ও গুরুচাঁদ চরিতের আলোকে হতে হবে। নচেৎ এই বিভ্রান্তি থেকেই যাবে।
হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল।