পূর্বতন মহাপুরুষ এবং অবতারগণের প্রতি ব্যবহার
আজকের সময়ে আমরা যেসব শাস্ত্রকে সনাতনী শাস্ত্র হিসেবে পাচ্ছি বা জেনে আসছি, তার কোনটাই অবিকৃত নাই। যুগে যুগে কালে কালে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে স্বার্থসিদ্ধির খাতিরে সনাতনী সম্প্রদায় কিংবা অসনাতনী সম্প্রদায় এসব শাস্ত্র বিকৃত করেছে। ফলে এসব শাস্ত্র খুঁজে নির্ভেজাল সত্য পাওয়া দুষ্কর। তাই এসব শাস্ত্রের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে ভগবান হোক কিংবা মহাপুরুষ হোক, কারো নিন্দা বা কটু বলা উচিত নয়। এসব শাস্ত্রকে ততটুকুই মান্যতা দিতে হবে যতটা আজকের সময়ের সাথে, সমাজের সাথে মানানসই, বাকীটা এড়িয়ে যাও। ভুল বলার প্রয়োজন কি, না মানলৈই হল। আরেকজনকে তুমি বোঝাও এই যে, আমার মত এটি, এটি সমাজের সাথে, সময়ের সাথে, মানুষের প্রয়োজনের সাথে ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে, সুতরাং ইহা গ্রহণ করা যায়। তাই বলে তার বিশ্বাসকে আঘাত করার জন্য তাদের মান্য ভগবান বা মহাপুরুষের নামে নিন্দা করা উচিত নয়। কারণ আমরা যেসব নিয়ে এত নিন্দা স্তুতি করছি, আদৌ ঐসকল মহাপুরুষের এসব গুণাবলী ছিল কিনা, তা জানি না। স্বীকৃত বিকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে, কাউকে মন্দ বলা উচিত নয়।