মহা-মহাপ্রভুর পঞ্চম আজ্ঞাঃ (গদ্য)
মহা-মহাপ্রভুর পঞ্চম আজ্ঞাঃ
চরিত্র পবিত্র ব্যক্তির প্রতি জাতিভেদ করিও না।
জাতিভেদ মহাপাপ, কারণ এক পিতার সন্তান হইয়া ভাই ভাই বিরোধ মাত্র।
পঞ্চ কন্টকঃ
জাতি বিদ্যা মহত্বঞ্চ রূপযৌবন মে বচ।
যত্ননে পরিবর্জ্জুয়েৎ পঞ্চৈতে ভক্তি কন্টকাঃ।
জাতিভেদ লৌকিক, এইটা ঈশ্বরকৃত নয়।
ইহার প্রমাণ দেখ আছে ভাগবতে।
মুচিরাম দাসে পূজা কৈল ধর্মসুতে।।
শ্রীশ্রীধাম ওড়াকান্দির পরম ভক্ত গোস্বামী লোচন দাস বাবাজী জাতিভেদ না করিয়া মুসলমান, বেবাজিয়া, মুচি ইহাদের পাকান্ন গ্রহণ করিতেন। তত্রাচ সব লোকে তাহার প্রসাদান্ন সাদরে গ্রহণ করিত। গোস্বামী হীরামন পাগল, তিনিও সকল জাতির অন্ন গ্রহণ করিতেন। ঐশী শক্তি দ্বারা মৃত মনুষ্য ও গরুর জীবন দান করিতেন। সাধু মহাত্মা প্রভৃতি সচ্চরিত্র লোক, ইহারা সব বেদ বেদান্তের উপরের লোক।
ত্রিপুরার শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাদঁ আশ্রমের শ্রীমৎ রাধাচাঁদ চক্রবর্তী (রাধা ক্ষ্যাপা নামে পরিচিত) শ্রীশ্রী গুরুচাদেঁর আদেশে বাংলার একেবারে পূর্বপ্রান্তে পাহাড় জঙ্গলে শ্রীশ্রীহরি নাম প্রচার করিয়া বহু হরিভক্ত করিয়াছেন।
শ্রীশ্রীধাম ওড়াকান্দির পরম ভক্ত, খুলনা জিলার অন্তর্গত লক্ষ্মীখালী নিবাসী শ্রীমৎ গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস (ডাকনাম গোপাল সাধু) একদা নাম সংকীর্তন স্থলে মহা-মহাপ্রভুর নাম ধ্বনি দিয়া মৃত মনুষ্যের জীবন দান করতঃ নাম মাহাত্ম্য দেখাইয়াছিলেন।